শামীম আহমেদ, সাইপ্রাস থেকে:
সোমবার সন্ধায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে সাইপ্রাসে
আজকে নতুন ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সাইপ্রাসে
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭২ জন। নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন। সেবা
নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে মোট ৮১ জন। সাইপ্রাসের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৭৯ জন
চিকিৎসাধীন রয়েছে তবে এদের মধ্যে ১৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি
আছেন।
অপরদিকে নর্দান সাইপ্রাসে আজ ১ জনসহ মোট আক্রান্তের
সংখ্যা ১০৯ জন, মৃত্যুর সংখ্যা মোট ৩ জন। উল্লেখ্য যে, আজ মোট ১৬৬৯ জনের
নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা হয়েছে তন্মধ্যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ আসছে।
সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত যে ২০ হাজার লোকের
নমুনা পরীক্ষার কথা রয়েছে আজ ১১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২ জনের করোনা
ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। এপ্রিলের ১১ তারিখ হতে সোমবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত
মোট ৯৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে সাইপ্রাসে সর্বমোট ৩৪,০৮৭
জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৭৭২ জনের করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
দেশটির বিভাগীয় স্বাস্থ্য সংস্থা অকিপি তে কর্তব্যরত কর্মকর্তাসহ পাবলিক ও
প্রাইভেট সেক্টরে এমনকি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাঝেও করোনার অস্তিত্ব
খুঁজে পাওয়া যায়। নিকোশিয়ার কোক্কিনোত্রিমিদীয়া পুলিশ স্টেশনে এক পুলিশ
সদস্য করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বেই সাইপ্রাসে বিখ্যাত
জোরপাস ব্যাকারী, হ্যালেনিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাঝেও করোনার অস্তিত্ব
মিলেছে। পাফোস হাসপাতালে রান্নার কাজে নিয়োজিত তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস
সনাক্ত হয়েছে। কিছু দিন আগে একই হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী দুইজনের করোনার
অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সাইপ্রাসে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি বিস্তার প্রতিরোধে
সরকার অনবদ্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে আজ সোমবার ৫
জন, গত রবিবার ৬ জন, শনিবার (১৮ এপ্রিল) ১১ জন, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ২০
জন, বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ২০ জন। পূর্বের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা
ক্রমান্বয়ে কমতেছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাইপ্রাসের প্রধানমন্ত্রী
নিকোস আনাস্তাসিয়াদিস সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাইপ্রাসে করোনার
প্রকোপ তুলনামূলক একটু নিয়ন্ত্রণের দিকে রয়েছে। সেবায় সুস্থ হচ্ছে ও
মৃত্যুর হার ইউরোপের সবগুলো দেশের চেয়ে সবচেয়ে কম। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের
ঝুঁকি এড়াতে দেশটিতে ৩০ পর্যন্ত লকডাউন চলমান। স্হানীয় জনসাধারণ আইন
রীতিমতো মানছে আবার কিছু সংখ্যক অমান্য করলেও প্রবাসীরা এ ব্যাপারে সবচেয়ে
সচেতন।
তাই গৃহবন্দী জীবনকে বিদায় জানাতে সবার মাঝে
অস্থিরতা বিরাজ করছে। গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু হতে চলছে, তাই সকলে অধীর
অপেক্ষায় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। তবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সাইপ্রাসের
অর্থনৈতিক অবস্থা নিচে নেমে আসছে যার প্রভাব এখানে বসবাসরত সকল প্রবাসীদের
উপর পড়বে।
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।