আপুর বান্ধবী যখন বউ - পর্ব (১৫)

রূপা , ঠিক আছে, আমারো তখন এবাবে কথা বলা উচিত হয়নি।
আমি ঃ আপনি কি করেন এখানে কোন কলেজে পড়াশোনা করেন।
রূপা ঃ আমি এখানে একটা কলেজে পড়াশোনা করি আর পার্টটাইম হিসেবে একটা শপিং মলে জব করি,।
আমি ঃ ও, আমি এখানে পড়ালেখা করার জন্য এসেছি,,  কানাডা নিউ ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।
রূপা ঃ তো, তো আপনি কি কোন পার্টটাইম জব করবেন না,,

আমি ঃ না, আমার জব করার খুব একটা প্রয়োজন নেই, আর আর্থিক কোনো সমস্যা নেই,
রূপা ঃ এখানে মানুষ আর্থিক সমস্যার কারণে কাজ করে না , সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য কাজ করে।
আমি ঃ পড়ালেখা ছাড়া অন্য কিছু আমার করার ইচ্ছা আপাতত নেই।
রূপা ঃ আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো।
আমি ঃ জি আমারো ধন্যবাদ আপনাকে।
রূপা ঃ স্বাগতম আপনাকে ।





তারপর আরিফা কে ফোন দিলাম,

আরিফা ঃ কেমন আছো তুমি, খাওয়া দাওয়া শেষ করছো, এত সকালে ঘুম থেকে উঠলে কিভাবে।
আমি ঃ আরিফা, আমি ভালো আছি, আর এখানে সকাল না, এখানে এখন রাত।
আরিফা ঃ আচ্চা খাওয়া দাওয়া শেষ করছো, আর তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে সেখানে।
আমি ঃ না কোন সমস্যা হচ্ছে নাহ এত চিন্তা করো না তো, খাওয়া দাওয়া শেষ করছি, তুমি নাস্তা করছো।
আরিফা ঃ হ্যা আমি নাস্তা করছি, আমি তোমাকে ভিডিও কল দিয়ে।
আমি ঃ ওকে দাও।

তারপর ভিডিও কল করে কথা হলো।
একটা ঘুম দিলাম, আর সকালে আবার রূপা ডাকছে।

আমি ঃ কি হলো সকালে ডাকছেন কেন।
রূপা ঃ আপনার খাবার এসে গেছে, তাই ডাক দিলাম।
আমি ঃ ধন্যবাদ কিন্তু এত সকালে ডাক দেওয়ার কি আছে, রুমের সামনে রেখে দিলেই হত।
রূপা ঃ একটা কথা বলার ছিলো যদি আপত্তি না করেন তাহলে বলি।
আমি ঃ বলেন কোনো সমস্যা নাই।
রূপা ঃ এই মাসের বাসা ভাড়াটা আপনি একা দিবেন আর আগামী মাসের টা আমি দিবো, আমার বাড়িতে টাকা পাঠাতে হবে, মায়ের চিকিৎসার জন্য।
আমি ঃ ভিতরে আসুন তারপর বলুন কি সমস্যা আপনার।

রূপা ভিতরে এসে বলে বলতে লাগলো।
রূপা ঃ আমি অনেক কষ্ট করে এই দেশে এসেছি , বাড়িতে মা আর বাবা আছে, বড় ভাই বিয়ে করে শশুর বাড়িতে চলে গেছে,,  প্রতি মাসে যা ইনকাম করি তা দিয়ে আমাদের সংসার আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো করেই চলে যায়, কিন্তু হঠাৎ করে মায়ের অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে মানতে পারলাম, কিডনিতে সমস্যা হয়েছে, এখন অপারেশন করা খুব জরুরি, তাই এই মাসের বাসা ভাড়াটা আপনি দিবেন।
আমি ঃ আপনার বাসা ভাড়ার টাকা দিয়ে আপনার মায়ের চিকিৎসা হয়ে যাবে নাকি।
রূপা ঃ কোন রকম চিকিৎসা করতে থাকি, তারপর না হয় টাকা হলে অপারেশন করাবো।
আমি ঃ ঠিক আছে, যদি আমি আপনার মায়ের অপারেশনের টাকা দেয়, তাহলে কেমন হবে।
রূপা ঃ আপনি আমার মায়ের অপারেশনের টাকা দিবেন কেন, কারো দয়ার দান নিতে চাই না।
আমি ঃ কোন দয়া আমি আপনাকে করছি না, আপনার পড়ালেখা শেষ হলে ভালো চাকরি পেলেই আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন, অবশ্য তার জন্য আপনাকে শোধ পরিষদ করতে।
রূপা ঃ কত টাকা লাভ দিতে হবে।

আমি ঃ চাকরি পেলে আমাকে ভালো করে ট্রিট দিতে হবে,
রূপা ঃ আর আসল দেওয়ার সময় কতদিন।
আমি ঃ বললাম তো চাকরি পেলেই দিতে হবে, চাকরি পেলেই দিবেন, সাথে শোধ স্বরুপ ট্রিট ।
রূপা ঃ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,।

আপনার একাউন্ট টাকা চলে যাবে কোন চিন্তা করবেন না,,
তারপর রূপা তার রুমে চলে গেল,
নাস্তা করে, কলেজের দিকে রওনা দিলাম, কলেজে বাঙালি বলতে এক দুইজন ছাড়া তেমন নেই বললেই চলে। শুরু করলাম পড়ালেখা ভালো করে।

এভাবে কেটে গেল ৬ মাস এখন রূপার সাথে আমার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক। আমরা একে অপরকে বন্ধু বলে মনে করি। Sunday  সব কিছু বন্ধ তাই শপিং করতে যাবো, এমন সময় রূপা বললো সেও শপিং করতে যাবে। দুজন মিলে শপিং শেষ করলাম, খাওয়া দাওয়া ঘুরাঘুলি করলাম। তারপর বাসায় এলাম। রাতে খাবার খেলাম, এমন সময় রূপার রুম থেকে চিৎকারের আওয়াজ।

আমি ভিতরে গিয়ে খুঁজে যাচ্ছি কিন্তু পাচ্ছিনা।

আমি ঃ রূপা আপনি কোথায়।
রূপা ঃ আমি বাথরুমে পড়ে গেছি please help me ।
আমি ঃ ঠিক আছে আমি আসছি।
তারপর বাথরুমে গিয়ে দেখি রূপা পড়ে আছে, পায়ে প্রচন্ড রকমের ব্যথা পেয়েছে।
রূপা ঃ আমি হাঁটতে পারছিনা কিছু একটা করুন প্লিজ, আমার পায়ে অনেক ব্যথা করছে।
আমি ঃ কোন কিছু না ভেবে কোলে তুলে বাহিরে এসে টাক্সি নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।

কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বললো।
ডাঃ প্রেশেন্টের  পা ভেঙ্গে গেছে এখন সে আগামী একমাস বেডরেস্টে থাকবে, আগামীকাল উনাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
আমি ঃ ধন্যবাদ ।

তারপর ভিতরে গিয়ে রূপা কে বললাম।

আমি ঃ আপনার পায়ে এমন আঘাত পাওয়ার কি কারণ।
রূপা ঃ টয়লেটের ছাদে ময়লা ছিল পরিস্কার করার জন্য চেষ্টা করছিলাম, তখন হঠাৎ করে পরে যায়।
আমি ঃ আপনি যদি ছাদ পরিস্কার করতে যেতেন তাহলে টয়লেটে টুল বা চেয়ার থাকতো। আমার সাথে মিথ্যা বলেন কেন।
রূপা ঃ আসলে বাথরুমে নাচানাচি করছিলাম।
আমি ঃ হা হা হা হা, খুব ভালো হয়েছে।
রূপা ঃ আপনার সব কিছু হয়েছে।
আমি ঃ আমি আবার কি করলাম ।
রূপা ঃ আপনি জানেন না।
আমি ঃ না।
রূপা ঃ থাক আর জানার দরকার নেই।
আমি ঃ আপনার ইচ্ছা, তবে আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন না, কারণ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
রূপা ঃ আমি বিশ্বাস করি না।
আমি ঃ সেটা আপনার পার্সোনাল বিষয়, এখন ঘুমিয়ে পড়েন ।
রূপা ঃ আপনি কোথায় থাকবেন।
আমি ঃ এখানেই আসি কোন কিছুর প্রয়োজন হলে বলবেন।
রূপা ঃ আপনি আমার সামনে থাকেন তাহলে আর কোন কিছুর প্রয়োজন হবে না।
আমি ঃ রূপা আপনি আমার বন্ধু, আপনার কাছে কোন কিছু লোকানোর কারণ নেই, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে, আমার জন্য একটা পাগলি মেয়ে পথের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছে।
রূপা ঃ থাক আর বলতে হবে না।

তারপর বাহিরে এলাম
রাতে রূপা ফোন করে বলে ভিতরে যেতে ।
তারপর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতাম, কিছুক্ষণ পর আবার বিছানায় শুয়ে দিয়ে বাহিরে চলে আসি।
সকাল বেলা রূপা কে নিয়ে বাসায় এলাম,

রূপা ঃ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি ঃ কেন।
রূপা ঃ আমাকে এভাবে সাহায্য করার জন্য।
আমি ঃ আমার হলেও আপনি আমাকে সাহায্য করতেন তা আমি জানি, অতএব ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
রূপা ঃ আমার অফিসে একটু খবরটা দিবেন তাহলে হয়তো বা তারা আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিবে না।
আমি ঃ ঠিক আছে আমি আপনার অফিসে খবর দিচ্ছি।
রুমে এসে গোসল করে রূপা কে খাবার দিয়ে বাহিরে চলে আসি,
কলেজে ক্লাস করে রূপার অফিসে গেলাম।
আমি ঃ শুভ অপরাহ্ন ।
ম্যানেজার ঃ শুভ অপরাহ্ন। কিভাবে সাহায্য করতে পারি।
আমি ঃ স্যার আপনার শপিং মলের একজন কর্মী গতকাল এক্সিডেন্টলি পা ভেঙ্গে ফেলেছে।
ম্যানেজার ঃ নাম কী উনার।
আমি ঃ উনার নাম মিস রূপা ।
ম্যানেজার ঃ উনাকে বলবেন উনি যেন সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরেন। আর যতদিন উনি কাজে না আসবেন ততদিন তার সেলারি বন্ধ থাকবে,
আমি ঃ ধন্যবাদ কিন্তু উনার চাকরিটা যেন না জায় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।
ম্যানেজার ঃ না উনিতো ঘন্টা হিসেবে কাজ করেন, পার্টটাইম হিসেবে না করে যদি সরাসরি জব করতো তাহলে আমরা তাকে বেতন দিতে পারতাম,, আপনি নিশ্চিতে থাকতে পারেন উনার চাকরি যাবে না।
আমি ঃ ধন্যবাদ এখন আমি আসি,,,
তারপর বাসায় এসে রূপা কে বললাম এই কাহিনী।
রূপা ঃ এই মাসে কি তাহলে বাসায় টাকা পাঠাতে পারবো না ।
আমি ঃ এই মাসের রুম ভাড়া আপনি দিবেন খাওয়ার বিল আপনি দিবেন কিভাবে দিবেন তা আমি জানি না।
রূপা ঃ আমার কাছে এখন কোন টাকা নাই, কিভাবে দিবো আমি ।
আমি ঃ তা আমি জানি না, আচ্ছা আপনি আপনার বাসায় প্রতিমাসে কত পাঠান ।
রূপা ঃ ৩০ হাজার ।
আমি ঃ ও ঠিক আছে, আপনি এখন রেস্ট নেন।

রুমে এসে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।
বাড়ি ভাড়া ও খাবার বিল দিয়ে আসলাম, আর রূপার বাবার নাম্বারে বিকাল করে দিলাম।
এখন বাসায় একটা ফোন দেওয়া দরকার। তাই ফোন দিলাম

আমি ঃ  বাবা কেমন আছো তুমি।
বাবা ঃ বেশ ভালো আছি।
আমি ঃ সকালের নাস্তা করছো।
বাবা ঃ হুম, করছি ।
কিছুক্ষণ বাবার সাথে কথা বলে মায়ের সাথে কথা বললাম।
তারপর তানিশার সাথে,
জানতে পারলাম আরিফা ওদের বাড়িতে গিয়েছে।
তারপর ফোন কেটে দিলাম।
আরিফা কে ফোন দিলাম,
আরিফা ঃ কেমন আছো তুমি।
আমি ঃ ভালো আছি কি করো এখন।
আরিফা ঃ বাসায় আসছি, মা বাবাকে দেখার অনেক ইচ্ছা করছিলো তাই।
আমি ঃ তুমি চাইলে ওখানেই থাকতে পারো, বিয়ের পর আমাদের বাড়িতে থাকতে হবে।
আরিফা ঃ আহারে কি কথা, আমি এখানে কেন থাকবো আমি তো আমার শশুর বাড়ীতেই থাকবো ।
আমি ঃ তোমার ইচ্ছা।
আরিফা ঃ এই জানো তানিশার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
আমি ঃ কি বলো বাবা মাকে ফোন দিলাম মা বাবা তো কিছুই বলল না।
আরিফা ঃ যদি তুমি তোমার পড়ালেখা শেষ না করে চলে আসো তাই মনে হয় বলেনি।
আমি ঃ কবে বিয়ে।
আরিফা ঃ আগামী মাসের প্রথম শুক্রবার।
আমি ঃ ও আচ্ছা, তুমি যে আমাকে এই কথা বলেছো তা যেন মা বাবা না জানে।
আরিফা ঃ ঠিক আছে, ।
আমি ঃ এখন রাখি।
আরিফা ঃ আবার রাতে ফোন দিবা কিন্তু ।
আমি ঃ এখানে এখন রাত সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন দিবো তখন তোমাদের ওখানে রাত থাকবে।
আরিফা ঃ আমিও তো তাই বললাম।

এরপর ফোন কেটে দিলাম।
মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, বলেন তো কেমন লাগে, আমার বোনের বিয়ে অথচ আমি জানি না।
বাসায় আবার ফোন করে বললাম,

বাবা ঃ কিরে আবার ফোন করলি যে কিছু লাগবে তোর।
আমি ঃ বাবা , আজ থেকে আমার নাম্বারে ফোন দিওনা, এখানে থাকা অবস্থায় পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করতে চাই না।
বাবা ঃ হটাৎ এমন কথা বলছিস কেন।
আমি ঃ আমি পরিবারের থার্ড পারসন তাই যোগাযোগ করতে চাইনা,।
বাবা ঃ এমন কথা বলছিস কেন।

আমি ফোন কেটে দিলাম, বাসার সাথে আর যোগাযোগ করবো না, যা ইচ্ছা করুক।

এভাবে কেটে গেল আরো একটা বছর, আমার পরীক্ষা শেষের দিকে, আর দুইটা পরীক্ষা আছে, বাসার সাথে যোগাযোগ নেই, মাঝে মাঝে আরিফার কাছ থেকে বাসার খোঁজ খবর নেয়, আর আরিফার কাছ থেকে আমার বাসার লোকজন আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে তা আমি ভালো করেই জানি।

রূপা ঃ আমি তো কয়েক দিন পর দেশে যাবো, আপনি কি এখানে থাকবেন।
আমি ঃ আমার আর দুইটা পরীক্ষা আছে পরীক্ষা শেষ হলেই দেশে চলে যাবো, অনেক দিন ধরে মা বাবাকে দেখিনা, বোনের কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি,
রূপা ঃ আমি আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই, এখন যদি বলতে না পারি তাহলে জীবনে এই না বলাটা আমাকে একটু একটু করে কুরে কুরে খাবে আর তার জন্য সারাজীবন শুধু কেঁদেই যাবো যে একবার যদি বলতাম,
আমি ঃ  কি বলবা তার জন্য এত ভূমিকা করতে হচ্ছে  কি বলবা বলো তো কোন সমস্যা নাই।
রূপা ঃ আমি আপনাকে ভালোবাসি।
আমি ঃ কিছুদিন পর আমার বিয়ে, আর আপনি আমাকে প্রপোজ করছেন।
রূপা ঃ বিয়ে ঠিক করেছেন বিয়ে করেন নী।
আমি ঃ আমার কথা আমি বাদ দিলাম, আমার আরিফার কথা চিন্তা করেন, মেয়েটা নিজের বাবার বাড়ি থেকে পরে আছে আমাদের বাড়িতে, অনেকেই হয় তো অনেক কথা বলে, তা সহ্য করে যেই মেয়েটা আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে তাকে ভুলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়,,,
রূপা ঃ আমি আপনাকে ভালোবাসে ফেলেছি,, আমার জীবনে আপনাকে চাই,,।
আমি ঃ আপনাকে অনেক আগেই আমি বলছি আপনি আমার কথা বুঝতে চেষ্টা করছেন না কেন,।
রূপা ঃ আমি ভালবাসি আপনাকে।
আমি ঃ আপনাকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
রূপা ঃ আপনি যদি আমাকে মেনে না নেন তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।
আমি ঃ আমাকে জোর করলে আমি আত্মহত্যা করবো।
রূপা ঃ তাহলে আপনি আমার সাথে এভাবে কেন থাকলেন, আমার পরিবারের এত খোঁজ খবর কেন রাখলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম নিজের হাতে কেন সেবা করলেন, আমার পরিবার কে টাকা দিয়ে কেন সাহায্য করলেন,  আমি ভেবেছিলাম আমাকে ভালবেসে আপনি এসব করেছেন, তাহলে কি আপনি আমার উপর করুনা করেছেন।
আমি ঃ তুমি ভুল বুঝছো তুমি আমার কাছের বন্ধুদের মাঝে একজন, তোমাকে করুনা করার মত ক্ষমতা আমার নেই,, আমার মনটা তো আগেই আরিফা কে না দিতাম তাহলে হয় তো তোমাকে ভালবাসতাম।
রূপা ঃ আমি আপনার ছোট বউ হিসেবে থাকতে রাজি আছি।
আমি ঃ রূপা তুমি পাগল হয়ে গেছো।
রূপা ঃ হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি তোমার জন্য পাগল হয়ে গেছি,,।
আমি ঃ আরিফা যদি শুনতে পায় যে আমি তোমার সাথে একি বাসায় ছিলাম তাহলে আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে। আজ থেকে দুই বছর আগে আফিফা আমাকে সাথে নিয়ে একটা ছবি তুলে ছিলো আর সেই ছবি গুলো ফেইসবুকে পোস্ট করেছিলো সেই জন্য আমার গালে তিনটা থাপ্পর দিয়ে ছিলো।
রূপা ঃ আমি এসব বুঝিনা না, তুমি আমাকে ভালবাসবে

আমি ঃ ভেবেছিলাম দেশে গিয়ে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব কিন্তু তুমি তা করতে দিবে না মনে হয়।
রূপা ঃ একটাবার আমাকে বল ভালবাসি।
আমি ঃ আমার ভালবাসা অন্য একজন কে ঘিরে।

রূপা আমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে থাকলো
নিজেকে ছাড়িয়ে একটা দিলাম গালে ঠাস করে উঠলো।
তারপর রূপা তার রুমে চলে গেল।
মনটা অনেক খারাপ লাগছে রূপার উপর হাত তোলাকা কোন ভাবেই উচিত হয়নি।
আমি রূপার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে টোকা দিচ্ছি।

আমি ঃ রূপা দরজা খুলো।
রূপা ঃ আমি দরজা খুলতে পারবো না।
আমি ঃ আমি দুঃখিত তোমার উপর হাত তোলাটা আমার উচিত হয়নি I am sorry  এখন please দরজা খুলো।
রূপা ঃ আমি মরলেই কি তোমার তো কিছু আসে যায় না।
আমি ঃ আসে যায় অনেক কিছুই আসে যায়।
রূপা ঃ কি আসে যায় বলো।
আমি ঃ তোমার কিছু হয়ে গেলে তোমার মা বাবা কে মানুষের কাছে হাত পেতে চলতে হবে, তা আমি মেনে নিতে পারবো না,  আর তুমি যদি চাও তোমার জন্য আমি নিজের ক্ষতি করবো তাহলে তাই করবো, কিন্তু আমি কাউকে ঠকাতে পারবো না, আমি আমার সমাজের কাছে ঠকবাজ হিসেবে পরিচিত হতে চাইনা, তুমি কি চাও তোমার কারণে আমার পরিবারের কাছে ছোট হয়ে যায়, তুমি কি চাও তোমার এই একটা ভুলের জন্য তোমার পরিবারের ক্ষতি হোক, তুমি কি চাও আমার ভালোবাসার বাগান নষ্ট হয়ে যাক।

রূপা ঃ আচ্চা তাহলে সারাজীবন আমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখবে।
আমি ঃ ঠিক আছে, এখন দরজা খুলো আর পড়তে বসো ।
তারপর রুমে এসে পড়তে বসলাম।
আজকে পরীক্ষা শেষ হলো,
বিমানের টিকেট কেটে আসলাম,
রূপা আর আমি একি সাথে এক সাথে বসে বাংলাদেশে যাবো।
রূপা ঃ আচ্চা দেশে গিয়েই কি তুমি বিয়ে করবে।
আমি ঃ রূপা তোমার মাথায় কি এই কথাটাই ঘুরে।
রূপা ঃ পরীক্ষা দিলাম অথচ রেজাল্ট না নিয়ে দেশে যাওয়াটা কি ঠিক হবে।
আমি ঃ তুমি আরো এখানে থাকতে চাইলে থাকতে পারো, ভিসা তো আছেই কোন সমস্যা নাই, যখন মন চাইবে তখন চলে আসবে,

আমাকে তো যেতেই হবে।

রূপা ঃ পরীক্ষায় যদি ফেল করি তাহলে তো আবার এসে পরীক্ষা দিতে হবে।
আমি ঃ হুম তবে আমার পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে ফেল করার মত পরীক্ষা দেয়নি।
রূপা ঃ আচ্চা চলো আল্লাহ ভরসা যা হয় দেখা যাবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুজন মিলে শপিং মলে গেলাম, ইচ্ছা মত জিনিস কিনলাম, তারপর বাসায় এসে পেক করে রওনা দিলাম, আর বাসায় ফোন করে বলে দিলাম যে আমি আসছি, পুরোটা রাস্তা কথা বলতে বলতে চলে এলাম, ঢাকায় এসে নামলাম, সব কিছু চেক করে বাহিরে এলাম, আমি আর রূপা পাশাপাশি হেটে আসছি।

দূরে আরিফা মা বাবা আংকেল আন্টি তানিশা আর তানিশার স্বামী দাঁড়িয়ে আছে। আর তার অন্য পাশে দাড়িয়ে আছে,  রূপার মা বাবা

আমি ঃ রূপা আমার মা বাবা ঐ দিকে দাঁড়িয়ে আছে,
রূপা ঃ আমার মা বাবা এদিকে দাড়িয়ে আছে,
আমি ঃ তাহলে তুমি তোমার মা বাবার কাছে যাও আমি আমার মা বাবার কাছে যায়,,
রূপা ঃ তুমি কিন্তু আমার সাথে দেখা করবে,,
আমি ঃ অবশ্যই দেখা করবো, আর তুমি আমার বাসায় যেও।

রূপা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করলো, অনেক কিছুর জন্য ক্ষমা চাইলো আমি ছাড়াতে চেষ্টা করছি কিন্তু পাচ্ছিনা, এই দিকে আরিফা আমার দিকে তাকিয়ে আছে, এই হয়ছে, এখন দেখি আমার দিকেই আসছে,,
পুলিশ দেখা যায় আরিফা কে আটকানোর চেষ্টা করেছে,, কি বলে যেন চলে আসছে ।
আমি ঃ রূপা প্লিজ ছাড়ো তোমার পিছনে আরিফা দাড়িয়ে আছে,,
আরিফা ঃ এই তুই আমিরুল কে জড়িয়ে ধরেছিস কেন,, 
এসেই আমার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।
আমি ঃ এইটা কি করলা, আমাকে মারলে কেন।
আরিফা ঃ এতদিন এই মেয়ের সাথে লটর পটর করেছিস  আর বলেছিস পড়ালেখা করার জন্য বিদেশে গিয়েছিস।
রূপা ঃ আপনার নাম কি আরিফা ।
আরিফা ঃ নাম আরিফা হোক আর যায় হোক তুই আমিরুল কে ঝড়িয়ে ধরে ছিস কেন।
রূপা ঃ জড়িয়ে ধরেছি আমি আর মারলেন আমিরুল কে এটা কেমন কথা,,
আরিফা ঃ তোর কোন কথা আমি শুনতে চাই না,, আর আমিরুল তুই বাসায় চল তোকে দেখাচ্ছি মজা।
আমি ঃ চলো ।
রূপা ঃ এক মিনিট ধারাও আরিফা আর আমিরুল তুমিও ধারাও,।
আরিফা ঃ কেন কি সমস্যা তোমার।
রূপা ঃ সমস্যা আমার না আরিফা সমস্যা তোমার, তোমাকে যে পাগলের মত ভালবেসে তাকে এমন যায়গায় না মারলেও পারতে,, আমি আমিরুল কে কতবার প্রপোজ করেছি তা আমি নিজেও জানি না, প্রতিবার শুধু বলেছে, আমার জন্য আরিফা অপেক্ষা করছে, তোমাকে যে পাগলের মত ভালবেসে তাকে না মারলেও পারতে,, আর আমিরুল কে জড়িয়ে ধরার যথেষ্ট কারণ আছে, ঐ আমার জীবনের সেরা একজন মানুষ, অনেক বার আমাকে সাহায্য করেছে, ওর মত বন্ধু পাওয়াতেই আমি খুশি, এমন একটা ছেলে পেলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে,,, তুমি না মারলেও পারতে।
আমি ঃ রূপা তুমি চুপ করো, আরিফা চলো ।
আরিফা ঃ দাড়াও, রূপা তুমি বলো।
রূপা ঃ আমিরুল আর আমি একি বাসায় ছিলাম কোনো দিন বাজে কথা তো দূরের থাক বাজে নজরেও তাকায় নি,,।
আমি ঃ রূপা প্লিজ তুমি যাও তোমার মা বাবা অপেক্ষা করছে, আর হ্যা আগামী মাসে আবার চলে যাবো,, খোদা হাফেজ।

আরিফা ঃ সরি , আমি তোমাকে বুঝতে চেষ্টা করিনি।
আমি ঃ বাবা মা অপেক্ষা করছে এখন চলো।
তারপর বাসায় আসলাম, একটু পর  তানিশা আমার রুমে এলো ।
তানিশা ঃ কেমন আছিস,
আমি ঃ আপনি কে, আমি আপনাকে চিনি না, আমার কোন বোন নেই,।
তানিশা ঃ আমার উপর রাগ করিস কেন, সবটাই তো মা বাবা করেছে, আমাকে বলতে না করেছিলো তাই বলিনি।
আমি ঃ তুই এখন এখান থেকে না গেলে আমি বাসা থেকে চলে যাবো, তোর দশটা পাঁচটা ভাই ছিলো না, একটা ভাই ছিলো তুই বলতে পারতি আমাকে, আর সবার ব্যবহার আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে, কয়েকটা দিন এখানে আসিস না, আমি আবার কানাডায় চলে যাবো, তখন সারাজীবনের জন্য এই বাড়ি গাড়ি সব কিছু তোর হবে,।
তানিশা ঃ প্লিজ তুই চুপ কর, আমার আর সহ্য হচ্ছে না।
আমি ঃ আমার কেমন সহ্য হয়েছে, তুই যা আমার চোখের সামনে থেকে,
আরিফা এলো আমার রুমে।
আরিফা ঃ ফ্রেশ হয়ে আসো, সবাই খাওয়া দাওয়া করার জন্য অপেক্ষা করছে।
আমি ঃ তুমি যাও আমি আসছি।
ফ্রেশ হয়ে খাবার খাওয়ার জন্য গেলাম।
বাবা ঃ তোর পরীক্ষা কেমন হলো।

আমি ঃ (আসতে করে বললাম, ) ভালো।
মা ঃ কেমন রেজাল্ট হবে বলে মনে হয়।
আমি ঃ ভালো ।
আংকেল ঃ আমি জানি আমিরুল ভালো রেজাল্ট করবে।
আন্টি ঃ এখন ভালো একটা দিন দেখে বিয়ের দিনটা ঠিক করাই ভালো।
বাবা ঃ আল্লাহর দিন সব দিনি ভালো।
আংকেল ঃ আগামী সপ্তাহের মাঝে একটা দিন ঠিক করেন ভাই।
আমি হাত দুয়ে চলে আসছি।
মা ঃ খাবি না।
আমি ঃ খিদা নেই।
আরিফা ঃ কেন কি হয়েছে।

আমি ঃ থাপ্পর খেয়ে পেট ভরে গেছে ভরে গেছে, আর খেতে পারবো না, আর সামনের মাসে আমি আবার চলে যাবো, দেশে আসাটা আমার উচিৎ হয়নি, সবাই দান দুভলা দিয়ে বরণ হলেও আমার বরন চর থাপ্পর দিয়েই হয়,
সবাই বড় বোনের বিয়ে থাকতে পারলেও আমার না থাকাটাই সবার কাছে বেশি ভালো মনে হয়, আমি মনে করি এখানে আমি না থাকলেই সবার জন্য অনেক ভালো হবে।
বাবা ঃ এইটা কোন ধরনের বেয়াদবি করছিস।
আমি ঃ কিছু করার নাই বাবা, তোমরা আমাকে বাধ্য করেছো।
আরিফা ঃ সরি আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমি ঃ তোমার কোন ভুল থাকতে পারে না, ঠিক এই একটা কারনেই আমি দুই বছরের জন্য দেশ ছেড়ে ছিলাম, আর এইবার ছাড়বো সারা জীবনের জন্য।
মা ঃ আমরা না হয় একটা ভুল করেছি তাই বলে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক হচ্ছে না।
আমি ঃ তোমরা তো আমাকে কাছের মানুষ ভাবো না, আর আরিফা  তুমি কখনো আমাকে বিশ্বাস করেছো, আগের বার কি হলো তুমি মারলে কান ধরে উটবোস করালে তার আবার মায়ের কাছে মার খাওয়ালে, আচ্চা আমি কি তখন সত্যিই আফিফার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম, নাকি রাব্বানী হোসাইনের সাথে গিয়েছিলাম। আজকে আমার অপরাধ ছিল কি, বলো রূপা আমার সাথে দুই বছর ছিলো একবারে চলে যাচ্ছে হয়তোবা আর কখনো দেখা হবে না এই ভেবে আবেগ আপ্লুত হয়ে ঝড়িয়ে ধরেছিল, তখন আমার কি উচিত ছিলো ওকে ডাককা মেরে ছাড়িয়ে দেওয়া,  আপনারা সবাই মিলে আলোচনা করে দেখেন এখন আমি রেডি কথা বলছি তা কি আমার যায়গা থেকে ঠিক নাকি ভুল।

আংকেল ঃ হ্যা আমাদের অন্যায় হয়েছে, কিন্তু এখন তুমি যেই সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছো তা আরো বড় অন্যায়।
আরিফা ঃ আমি তোমার পায়ে পড়ি দয়াকরে ক্ষমা করে দাও, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না, যদি আবার বিদেশে চলে যাও তাহলে নিজের হাতে মেরে ফেলো আমাকে, আমি আর থাকতে পারছি না।
আমি ঃ আগে বিশ্বাস করতে শেখো তার ভালবেসো।
আরিফা ঃ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি ঃ পারবো না তোমাকে ক্ষমা করে জীবনের বাকিটা সময় তোমার হাতের থাপ্পর খেতে পারবো না।
আরিফা ঃ আর জীবনেও তোমাকে মারব না।
আমি ঃ তার গ্যারান্টি কি।
আরিফা ঃ এত গুলো মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি আর কখনো হবে না।
আমি ঃ ঠিক আছে, কিন্তু তানিশা তুই কখনো আমার সামনে আসবি না, আর তোর জামাই কে বলবি আমার সামনে যেন না আসে।
বাবা ঃ আমিরুল আমার জামাই কে নিয়ে কোন কথা বলবি না,,
আমি ঃ ঠিক আছে, বললাম না, এই আমি গেলাম, আজকের পর আর আসবো না, আরিফা তুমি যাবে আমার সাথে ।
আরিফা ঃ কোথায়।
আমি ঃ যেখানে মন চায় সেখানে।
আরিফা ঃ চলো।

আংকেল ঃ আমি এখনো বেঁচে আছি, আবার বাসায় চলো তোমরা।
আমি ঃ চলেন, আংকেল আপনার মেয়ে কে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকবো।
আংকেল ঃ আমার কোন আপত্তি নেই।
মা ঃ না, আমার ছেলে আমার বাড়িতেই থাকবে, দরকার হলে আমার জামাই যাবে আবার আমার মেয়ের জামাই যাবে।
বাবা ঃ কি বলছো এসব  তুমি, তোমার মাথা ঠিক আছে।

মা ঃ আমার মাথা একদম ঠিক আছে, বারবার বলেছিলাম আমিরুল কে ছাড়া বিয়ে দিওনা, আমার একটা মাত্র ছেলে, বিয়ে দিলে তো দিলেই একটা বার জানানোর প্রয়োজন মনে করলে না, ওর কি জানার অধিকার ছিলো না।
বাবা ঃ তাই বলে কি আমার মেয়ের জামাই কে কথা বলবে।
মা ঃ তোমার মন চাইলে বাসা থেকে বের হয়ে যাও, আমার ছেলে আমার কাছেই থাকবে।
বাবা ঃ তাহলে আমি কোথায় থাকবো ।

মা ঃ ফুটপাতে হাজার হাজার মানুষ থাকে তাদের সাথে থাকবে।
বাবা ঃ তুমি এমন কথা বলতে পারলে।
আমি ঃ থাক আর কাউকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে হবে না, আমি তোমাদের কে একটু ঝালাই তে চাইছিলাম,তোমরা সবাই ঝলেছ আর কোন কথা হবে না,
আংকেল ঃ আমি আগেই বুঝতে পারছিলাম তাই তালে তাল মিলিয়ে যাচ্ছিলাম।
সবাই হা হা হা করে হাসতে লাগলো।
আমি ঃ তবে আমার বিয়েতে তানিশা থাকতে পারবে না, তানিশা দেখুক কাছের মানুষদের বিয়ের সময় না থাকতে পারলে কেমন লাগে, এইটা ওর শাস্তি।
তানিশা ঃ আমার কি করার আছে বাবা মা আমাকে না করেছিল।
আমি ঃ এখন আমি না করছি, আসবি না।

চলবে....................

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।