ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মারামারি; মৃত্যুর পর লুটপাট


প্রতিদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো না কোনো অঞ্চলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে লোকজন তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারাদেশ লকডাউন থাকায় এসব খবর বেশ নিয়মিতই শিরোনাম হচ্ছে। গত ১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরে ১৬ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায় রজব আলী (২০) নামের ওই তরুণ।

রজব আলীর মৃত্যুর পর শুরু হয় আরেক নাটক। এই ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য করিমকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা ইছুব আলী। এরপর থেকে পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত পক্ষের কমপক্ষে ৩০ পরিবারের মানুষ। এই সুযোগে ইছুব আলীর লোকজন তাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ক্ষেতের ফসলও কেটে নেওয়া হচ্ছে।

কৌশলে বিবাদী পক্ষের লোকজন আসামি পক্ষের লোকদের বাড়ি পাহারার ব্যবস্থা করে। আসামি পক্ষের লোকদের দাবি সারদিন পাহারা দিয়ে রাতে শুরু করে লুটপাট। এলাকায় মানুষজন না থাকায় তাদের মাঠের পাকা ধানও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে নিহতের বাবা ইছুব আলী বলেন, 'আমাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের পক্ষের কোনো লোক লুটপাট করেনি। বরং তাদের ঘরের সকল মালামাল নিজেরাই সরিয়ে নিয়ে গেছে। তাদের মালামাল রক্ষা করার জন্য আমরা সারারাত পাহারা দেই।'

রজব আলী হত্যা মামলার বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে ৩০ পরিবারের ৪০টি গরু, ৬টি ষাঁড়, প্রায় দুইশ হাঁস-মুরগী, ৫ বিঘা পাকা ধান ও বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটের অভিযোগ করার অভিযোগ তুলেছে আসামীপক্ষ। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান লুটপাটের ঘটনা শুনেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রজব আলী হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।