সাপের সাথে সহবাস - পর্ব (২৪)



নিশাত কেমন যেনো চুপটি করে নিরব হয়ে রইলো। সেটাইতো আমি কেনো এখানে আসলাম আর আমার দেখা মেয়েটির নুপুরের শব্দ আর মেয়েটি সামনেই ছিলো তবে?????? আচ্ছা বাদ দাও আকাশ। ওনি বোধয় অসুস্হ্যবোধ করছেন তুমি তোমার ভাইকে রুমে নিয়ে যাও। তুমি??? নিধিয়া, এইতো আমিও যাবো প্রায় ভোর হতে আসলো যাও তোমরা। না না কি বলো এতো রাতে এখানে একা থাকবা এটা কি করে হয়ে। তুমিও বরং চলে যাও রুমে। আচ্ছা,, নিশাতকে নিয়ে আকাশ চলে গেলো। নিধিয়া একটু দাড়িয়ে কিছুক্ষন পরে রুমে গেলো। ছাদে কেউ ছিলোনা। যখনি সিড়ি বেয়ে নিচে নামে তখনি একটা ছায়া ও ওর সামনে দেখতে পায়, যেন, ওর পিছনেই দাড়িয়ে। নিধিয়া পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখে কিছু নাই। নিধিয়া যেনো তেনো মেয়ে ছিলো না।খুবই সাহসী মেয়ে ছিলো। তবে ও একটু চিন্তিত ছিলো নিশাতও আওয়াজ পেয়েছে ও আওয়াজ পেয়েছে কিন্তু কেন নিশাত ছাদের ধারে চলে যাচ্ছিলো। রহস্য কি??? এবার বলি নিধিয়া কিন্তু শুধু স্টুডেন্টস তা কিন্তু না। সে সাইকো ও প্যারানরমাল নিয়ে কাজ করছে। আর ওর গুরুদেব আছে তিনি যেখানে যাওয়ার নির্দেষ দেন নিধিয়া সেখানে চলে যাই কারন গুরুদেবের সব কথাই সত্যিতে রুপান্তরিত হয়। অনেক স্টেটমেন্ট নিয়ে কাজ করেছে কিন্তু নিধিয়া নিজেও জানতো না একদিন তার জীবনে কি থেকে কি হয়ে যাবে।
পরদিন সকালে বনে যাবার জন্য প্রস্তুত সবাই। যার যার ব্যাচ নিয়ে রেডি সবাই। সারাদিন বনের ভিতর ঘোরাঘোরি আর অপরুপ দৃশ্য কখন যে সন্ধ্যার কাছাকাছি চলে এসেছে কেউ বুঝতেই পারিনি। যার যার ব্যাচ নিয়ে বন থেকে বেরিয়ে আসছে সবাই। হঠাৎ করে একটা বাঘ নিধিয়ার সামনে গর্জে উঠলো। সবাই চিৎকার করে বাঘ বাঘ বলে পালিয়ে গেলো। কি বেপার পাশে এতো কুচকাওয়াজ কেন..??? নিশাত জানতে চাইলো বনে নাকি বাঘ পালাও পালাও সব। সবাই কিছুক্ষের মধ্যে বন থেকে বেড়িয়ে ক্যাম্পে দাড়ালো।ম্যাম বললো সবাই ওকে আছো?? জি ম্যাম।সন্ধ্যার আচ্ছন্ন প্রায়। নিশাত। কি বেপার ওই ঝগড়ুটে মেয়েটা কোথাই, কি যেনো নাম?? বলতেও পারছেনা কাউকে। সবাই কি ভেবে বসবে কারন নিশাত কোন মেয়ের সমালোচনা কখনো করিনি। মেয়েরা ভেবেই নিবে নিধিয়া বোধয় সেই ভাগ্যবতী মেয়ে........ কিন্তু না রাত হতে আসতে লাগলো কিরে আকাশ কি যেনো মেয়েটা হ্যা নিধিয়া তাকে তো দেখছিনা। হ্যা তাই তো?? নিধিয়া,সার সার নিধিয়া তো নাই আমাদের সাথে। ও মাই গড বলো কি??? নিশাত ভয়ের আভা পাচ্ছে। কিছু না বলে পিছন থেকে কখন জঙ্গলের ভিতর ঢুকে গেছে কেউ জানে না!!!! আচ্ছা গাইস এখানে তো বাঘ নেই তবে বাঘ বাঘ বলে কেন আওয়াজ তুললে সবাই। তোরা কি কেউ চোখে দেখেছিস???? সবাই চুপ। কি হলো উত্তর দে নিধিয়ার জিবনসংশয় থাকতে পারে। আকাশ টনির কলাট চেপে ধরে একটা কিল দিলো সত্যি বল টনি, তুই কিছু???? টনি ম্যামের পা জড়িয়ে বললো ম্যাম আমাকে ক্ষমা করে দিন ম্যাম আমাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ। আমি বুঝতে পারিনি। আমি মজা করতে চেয়েছিলাম সবাইকে ভয় দেখাইতে চেয়েছিলাম। এরকম হয়ে যাবে জানতাম না। সবাই টনির মারপিট শুরু করলো।সার পর্যন্ত দুইগালে ঠাস ঠাস করে চড় দিলো। রাসকেল তুমি জানো কত বড় বিপদে ফেলেছো তুমি নিধিয়াকে। সকাল না হওয়া পর্যন্ত বনের ভিতর যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভবেনা । কারন এখানে জংলী আদিবাসী বাস করে। সিট। পুলিশ প্রসাসনের বাইরে। ও মাই গড স্টুপিট তোমার ভুলের জন্য আমাদেরকে কৈফিয়ত দিবে হবে গার্ডিয়ানের কাছে। সার সরি। জাস্ট স্যাটাপ। রাবিস।তুমি জানো, জংলী আদিবাসিরা নিধিয়াকে পেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে। কেন সার জিঙ্গেস করলো সবাই??? এটার রহস্য আমার জানা নেই, তবে ওদের কোন দেবতা দেবি এইসব নিয়ে রিতী কি রিতিনিতি ওরা পালন করে। রাতে একটা পাখি পক্কি জঙ্গলে পা দেইনা ওদের ভয়ে। নিশাত,নিশাত,আকাশ বললো দুর একজনকে পাচ্ছিনা নে আবার নিশাতও গায়েব!! এ আবার কোথায় গেলো। ডাল মে কুচ কালা হে??? সামথিং সামথিং। একটু হাফসেরে বাচলো আকাশ ঠিক নিশাত জঙ্গলে গেছে নিধিয়াকে উদ্ধার করতে। চারিদিকে নিধিয়া নিধিয়া বলে চিৎকার করলো কোথাও জনমানব চিন্হ নেই। কোথাই খুজি মেয়েটাকে। দুর জাস্ট গেটলস্ট রাবিসের মতো কোথায় লুকিয়ে আছে কে জানে??? অনেক খোজাখুজি। নিশাত পিছন থেকে কিছু একটাই হোচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলো। চোখ জুড়িয়ে গেলো নিশাতের নিধিয়া অচেতনভাবে ঘুমিয়ে আছে।বোধয় জ্ঞান হারিয়েছে। দুর মেয়েটাকে ডাকবে কিভাবে?? ওর গায়ে তো হাত দিতেও পারছেনা। এদিকে রাত গভীর হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিধিয়াকে নিয়ে বেড়িয়ে যেতে হবে। এই মেয়ে,এই ঝগড়ুটে মেয়ে ওঠো। দুর বাবা এটাকে যে কি করি?? কোথাও পানিও নাই যে মুখে ছিটিয়ে জ্ঞান ফিরাবে। গালে হাত দিয়ে এই মেয়ে এই মেয়ে ওঠো। অনেক ক্ষন পর নিধিয়া চোখ খুললো নিশাতকে ওর গায়ের উপর থেকে ভয় পেয়ে চিল্লিয়ে উঠলো।আপনি আমার গায়ের উপর কেন?? নামেন বলছি নামেন। মেয়েদের দেখলেই এরকম অসভ্যতা করতে হয় ভদ্রতা শিখেননি আরে চুপ।।একটু চারিদিকে তাকিয়ে দেখুনতো কোথায় আপনি?? নিধিয়া অবাক চারিদিকে অন্ধকার।একি আমি এখানে কেন? সেটা তো আপনি ভালো বলতে পারবেন মিস নিধিয়া। ও বাঘ!! কোন বাঘ নেই এই বনে এটা আমাদের সার ম্যাম আগেই বলে দিয়েছে। হ্যা তাইতো আপনি ঠিক বলেছেন। তাহলে??? বাঘ বাঘ!!! কেউ হয়তো মজা করেছে। বুঝেছি এবার আমি এটা টনির কাজ ছিলো। টনি বার বার আমাকে দুর থেকে খেয়াল করছিলো।।থ্যাংকস আমাকে হেল্প করার জন্য। নিজের কাছে একটু হালকা অপরাধি লাগছে। ইশ ওনাকে কত কথা বলে ফেললাম। সরি।। আচ্ছা সবাই কোথায়। সার ম্যাম..??? সবাই ক্যাম্পে। আমিও ক্যাম্পে ছিলাম।কেউ বিপদে পড়লে আমি হেল্প করি এটা আমার মায়ের আদেশ। বাহ ছেলেটাকে যতটা গম্ভির মনে করি ততটা নই।তবে ওনি মেয়েদের যে পছন্দ করেননা এটা বুঝে গেছি। নিশাত:। যাই হোক আপনি তাড়াতাড়ি ওঠেন আর চলেন।পরে সব কথা শোনা যাবে। নিশাত হাটতে শুরু করলো। আরে আপনি এখনো বসে আছেন ওঠেন। নিধিয়া পায়ের দিকে ইশারা করলো। বাঘ বাঘ করে যখন ভয়ে সবাই চিৎকার করছিলো তখন ও পালাতে গিয়ে হোচট খেয়ে সামনে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারিয়েছে।ওর পায়ে খুব ব্যাথা হাটতে পারবেনা বোধয়। আমি উঠতে পারছিনা, পায়ে ভিষন ব্যাথা। নিশাত নিধিয়ার হাত ধরলো উঠুন। নিশাতের বুকে কেমন একটা ছ্যাক দিয়ে উঠলো আহ করে আওয়াজ করলো।



বাবাগো!! আরে মশায় আপনি যেভাবে হাত ধরে টানছেন আমার হাত রিতীমত খুলে যাবে।আপনার হাত এতো শক্ত কেন??
আপনি আমার হাত ধরে টানছেন ব্যাথা পাচ্ছি আমি আর আপনি আহ করছেন কি আজব মানুষরে বাবা!!!
নিশাত কি যেনো কল্পনায় কি যেনো কোথায় হারিয়ে গেলো??
এই যে মিঃ হেলো???
আপনি কোথায় হারিয়ে গেছেন।

নিশাত একটু কল্পনা থেকে বেড়িয়ে এসে বললো হ্যা হ্যা বলুন!!

- নেন ধরুন! ঘাড় ধরে তুলুন।
- কি আমি আপনার গায়ে হাত দিতে পারবোনা। আমি কোন মেয়ের গা টাচ করিনা।
- সত্যি বলছেন টাচ করেননা??
- নাহ করিনা??
- তাহলে যে আমার গায়ের উপরে দেখলাম??
- না মানে মা......নে।
- হোচট!! হ্যা হোচট খেয়ে পড়ে গেছিলাম আমি।

- আপনি প্লিজ উঠুন কেমন একটু চেস্টা করুন উঠতে পারবেন।
- পারছিনা তো??
- না পারলে থাকুন।

এই বলে নিশাত চলে গেলে??

আরে আরে ও মশায় এই ঘনো জঙ্গলে একলা ফেলে কি মারবেন। আরে কেমন পুরুষ একলা একটা মেয়েকে বিপদে ফেলে চলে যাচ্ছেন।

চারিদিক থেকে নানা রকম পমুপাখির আওয়াজ আসছে।এক্টু ভয় ভয় দানা বাধছে। দুর লোকটা এভাবে ছেড়ে রেখে চলে গেলো। ভিতরে মন বলতে কিচ্ছু নাই পাষান একটা। এখন আমি কি করবো???

দেখি উঠার চেস্টা করি, নাহ পড়ে যাচ্ছি শুধু। চারিদিকে তাকালে একটু ভয় লাগছে বই কি। একটু খোড়াতে খোড়াতে দাড়ালো কোনরকম।
- আরে শুনছেন ও মিঃ, প্লিজ আপনি কোথায়? আমার খুব ভয় করছে।
একটা কি যেনো পাখির আওয়াজ হলো কিচিরমিচির করে নিধিয়া ভয়ে পিছনে একটা বুকে মুখ গুজে জাপ্টে ধরলো।
অনেক শক্ত করে ধরে আছে।

নিশাত স্তব্ধ!!!!!! চোখ দুটো লাল। এই প্রথম কোন মেয়ে ওর বুকে এভাবে জড়িয়ে মুখ লুকিয়েছে। সারা শরীর শিহরিত। প্রতিটা পশমের কোনায় কোনায় কি যেনো নিশাতকে বোঝাচ্ছে প্রেমসুখের অনুভুতি। অনেক্ষন পরে নিধিয়া আস্তে আস্তে মুখ তুলে সামনে তাকাতেই দেখে নিশাতের বুকে।
- আরে আরে আরে আপনি?? আপনি তো আচ্ছা একে তো আমাকে একা ছেড়ে গেছেন আবার আমাকে একা পেয়ে বুকে জড়িয়ে নিছেন??
- ও হেলো?? (হাতে তুড়ি বাজালো নিশাতের চোখের সামনে।)
- নিশাত নিজেকে সামলিয়ে আপনি কি চুপ করবেন। এতো কথা বলতে পারেন। আপনি নিজেই ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন।
- ইশ।...... তাইতো...... (দুজনে দুজনের ভিতর কেমন যেনো একটা লজ্জা বোধ করছিলো।)
- আপনি কি হাটতে পারবেনঁ.?????
- হ্যা পারবো (যদিও নিধিয়া পা বাড়াতে পারবেনা তারপরো ভয়ে ভয়ে বলে ফেললো পারবে।)
- চলুন তাহলে..
- জ্বি। (নিধিয়া ছেছড়াতে ছেছড়াতে হাটছে) 
- আপনি এরকম হাটতে থাকলে নির্ঘাত আজ এই জঙ্গলে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে যাবে তাও বের হতে পারবোনা।

- দেখছেনি তো পায়ের কি অবস্হা। 
- জ্বি??? নিশাত আর কিছু ভাবলো না সোজা কোলে তুলে নিলো নিধিয়াকে..... 
- আরে আরে নামান বলছি?......
- চুপ করেন তো কোন কথা বলবেননা এক ধমক মারলো। নিধিয়া চুপ এক ধমকেই। ওকে নিয়ে সাই সাই করে হেটে যাচ্ছে, কি শক্তরে বাবা হাত বডি।
মানুষ না অন্যকিছু কে জানে?? নিধিয়া নিশাতের চোখের দিকে একভাবে তাকিয়ে কি যেনো দেখছিলো..... মায়াবী দুটি চোখ। নিধিয়ার মনে জায়গা করে নিলো ক্ষনিকেই। নিধিয়া ওর দুই হাত দিয়ে নিশাতের ঘাড়ে ধরলো। নিশাত থমকে গেলো। এতক্ষন বেশ হাটছিলো নিধিয়া ঘাড় ধরাতেই আবারো নিধিয়ার দিকে তাকিয়ে পড়লো। দুজন দুজনকে তাকিয়ে দেখছিলো। কি যেনো একটা আকর্ষন হলো দুজন দুজনের প্রতি যদিও এটা মনে মনে।। নিশাত থমকে দাড়ালো??

- কি হলো থামলেন কেন???.
- জ্বি জঙ্গলে বের হবার পথই খুজে পাচ্ছিনা মনে হচ্ছে বার বার গোলকধাধায় ঘুরছি।
- বলেন কি????? এখন কি হবে?? কি করে যাবো ব্লা ব্লা......
- আপনি থামুনতো, নাহলে আমি কিন্তু আপনাকে এখনি মাটিতে ফেলে দিবো??
- এই না না এই আমি চুপ। ঠিক প্রতিশোধ নিবো মনে মনে নিধিয়া রাগ পুষে রাখলো। আচ্ছা আমার না খুব ক্ষুধা লেগেছে??
- কি?? এখন এই বিপদে আপনার খেতে হবে??.আরে আপনার খাওয়া আসছে কিভাবে?? (কি মেয়েরে বাবা এখন কিনা খেতে চাই)
- নামেন।
- কিহলো আর যাবেননা??
- নাহ যাবোনা??
- কেন??
- আজ রাত জঙ্গলেই কাটাতে হবে ভোর না হলে বোঝা যাবেনা কোনদিকে বের হবার পথ।
- বলেন কি সারারাত কি জঙ্গলে কাটাবো।।। সত্যি যদি বাঘ আসে??
- আগেই বলেছি এই জঙ্গলে বাঘ নেই। বেশ কড়া গলায় বললো নিশাত। (রাগী,বদজ্জাত লোকটা আমাকে বেশি রাগ দেখাচ্ছে ঠিক সময়মতো শোধ করবো)
- আচ্ছা চলেন সামনে একটা আলো মনে হচ্ছে?? কাছে যেতেই কুঠির মনে হচ্ছে!! এই জঙ্গলে আবার কুঠির কোথা থেকে????
- জানি না?? না গেলে বুঝবো কি করে??? চলুন তো সামনে দেখি??
- শোনেন আপনি দয়া করে কথা একটু কম বলেন তো!! উফ এতো কথা বলেন??? ভ্রু জোড়া কুচকে কেমন অঙ্গি ভঙ্গিতে নিশাতের দিকে নিধিয়া তাকিয়ে রইলো।
- আরে চলুন তাকিয়ে লাভ নাই। দেখি আপনার জন্য কুঠিরে থাকার ব্যবস্হা করতে পারি কিনা। আর প্লিজ মুখটা একটু বন্ধ রাখবেন কেমন!!!!!
কুঠিরের সামনে প্রায় চলে আসলো। আরে কুঠির মনে হলেও ওটা কুঠির না। আলো চারিদিকে সুন্দর বেশ। কুঠিরের বারান্দায় প্রবেশ করতেই দেখে অনেক ফলফলাদি, মিস্টি, পায়েস। একেবারে টাটকা ফল সব। আরে বাহ কত খাবার নিধিয়া এতই ক্ষুধার্ত ছিলো যে নিশাতের দিকে না তাকিয়েই হুট করে নেমে খাওয়া শুরু করলো???
- আরে আরে আপনি???
- দেখুন অনেক কথা বলেছেন দয়া করে খেতে দিন" আর আপনিও খান পারলে
- কি মেয়েরা বাবা রাক্ষসের মতো খাচ্ছে??
- কি বললেন????
- কই না না কিছু বলেনি। আপনি খাচ্ছেন খান।। আমি বাইরে আছি আপনার খাওয়া শেষ হলে বলবেন কেমন!!"!!
- আচ্ছা আচ্ছা (ফল চাবাতে চাবাতে নিধিয়া বললো।)
কিছুক্ষন পরে নিধিয়া বললো হ্যা আমার খাওয়া শেষ। আচ্ছা আপনি কিছু খাবেননা??
- নাহ আমার ক্ষিধে নেই।
- কেন মিথ্যা বলছেন বলুন তো?? যান খেয়ে নিন আহ কি তৃপ্তি।
নিশাত অবাক! কিচ্ছু নেই আর। চুপ করে কিচ্ছু বললো না। মনে মনে ভাবলো বেচারার বহুত ক্ষিধে পেয়েছিলো বোধয়। - আচ্ছা কুঠিরের ভিতর চলুন।
ভিতরে প্রবেশ করে অবাক দুজনে! সুন্দর একটা সাদা ধবধবে সুন্দরী কোন মেয়ের মুর্তি। আরে এতো সুন্দর করে মুর্তি মানুষ বানাতে পারে?? পরীকেও হার মানাবে??? রুপকথার অপ্সরা, দুই হাতে বালা, পাতলা একটা শাড়ী, স্তন বরাবর কোমরে নাভি পর্যন্ত শাড়ির ভাজে সব দেখা যাচ্ছে। আরে এভাবে কিভাবে জ্যান্ত মুর্তি বানাই মানুষ। যদি ইনফরমেশনটা কেউ পেতো সরকারী কর্মকর্তা মুর্তি উধাও হয়ে যেতো। প্লিজ প্লিজ আমার একটা ছবি তুলে দিননা অপসরার সাথে। মোবাইল টা অন করেই নেটওয়ার্ক......


চলবে.....

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।