নাগকন্যা - পর্ব (৩)

..... আলোর আর্টের শিক্ষিকা এসে বললেন

-মিসেস অধরা আলোর ব্যাপরে আপনার সাথে কিছু কথা ছিল।যদি কিছু না মনে করেন তাহলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম কিছু কথা।আর কথাগুলো কোন স্বাভাবিক কথা না।শুনার পর অবাস্তব ও লাগতে পারে।তবে আপনি আলোর মা আপনাকে বলা জরুরি। আপনি অভয় দিলে আমি কথাগুলো বলতে চাই।আমাকে বলার অণুমতি দিলে বলব।তবে আপনাকে কথা দিতে হবে কথাগুলো নেগেটিভভাবে নিবেন না।





 
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম।কি এমন অস্বাভাবিক কথা বলবে?যা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটার তা তো ঘটেই আছে।আমি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বললাম

-আপনি পুরোপুরি সাহস নিয়ে কথাগুলো বলতে পারেন।আমি খারাপ কিছু মনে করব না।আলোর মা হিসেবে আলোর সবকিছু জানার অধিকার আমার আছে।তাই আপনি অভয়ে বলেন।
উনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন

-ধন্যবাদ আপানকে আমাকে অভয় দেওয়ার জন্য।আপনি একটু সাহায্য করলে আমি আপনাকে ব্যাপারটা গুছিয়ে বলতে পারব।এতে করে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন। আপনার সাহায্য ছাড়া বিষয়টা বলা মুশকিল।
আমি শান্ত স্বরে বললাম

-বলুন কি সাহায্য করতে পারি।আপনি আমাকে অভয়ে সব বলুন।আমি সাহায্য করতে পারলে করব।
আলোর শিক্ষিকা মিস শিলা আমাকে বললেন
-আপনার ঘাড়টা কি একটু দেখতে পারি?
আমি বেশ অবাক হলাম এটা ভেবে যে উনি আমার ঘাড় কেন দেখতে চাচ্ছে?বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
-কিন্তু কেন?
আলোর শিক্ষিকা মিস শিলা আমাকে শান্ত হয়ে বললেন
-মনে কিছু নিবেন না একটু দরকার ছিল।
আমিও সাত পাঁচ না ভেবে উনাকে ঘাড়টা দেখালাম।উনি ঘাড়টা দেখার পর বললেন
-আলোর ঘাড়ে যে তীর চিন্হটা সেটা কি শুধু আলোর ঘাড়েই আছে নাকি আপনাদের বংশের অন্য কারও ঘাড়েও আছে?
আমি কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
-হঠাৎ এমন প্রশ্ন করছেন যে?এগুলো কেন করছেন।এগুলো জেনে কি হবে?
-একটু দরকার ছিল।
আমি শান্ত হয়ে বললাম
-আলোর ঘাড়েই এমন চিন্হ।
জবাবে আলোর শিক্ষিকা মিস শিলা বললেন

-কিছু মনে না করলে বলবেন আলো কি আপনার বংশধর নাকি অন্য কারও।কথাটা শুনে হয়ত খারাপ লাগতে পারে তবে দরকার ছিল বলেই জিজ্ঞেস করছি।মনে কষ্ট নিবেন না প্লিজ।


মিস শিলার কথা শুনে বেশ রাগ হল আলো যতই আমার মেয়ে না হোক।তবুও মিস শিলাকে আলো আমার মেয়ে না এটা বলতে বেশ দ্বিধা লাগছে।তাই একটু রাগ রাগ গলায় বললাম
-আপনি কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন আলো আমার মেয়ে না?এরকম অদ্ভুত প্রশ্ন কেন করছেন?
মিস শিলা আমার এরকম রিএক্ট দেখে কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায়।কিছুটা হতভম্ব হয়ে আমাকে বললেন
-দেখুন মিসেস অধরা আমাকে বললে বিষয়টা ভালো হত।আমি কোন কিছুই প্রমাণ করতে চাচ্ছি না তবে বিষটার সাথে অনেক বড় কিছু জড়িয়ে আছে।আপনি কিছু না বললে আমি তো বিষয়টার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাব।
আমি খানিকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম
-অনেক বড় কিছু জড়িয়ে আছে মানে কি?

-তাহলে শুনুন।প্রথমদিন যেদিন আলোকে নিয়ে এসেছিলেন সেদিনেই আলোর ঘাড়ের তীর চিন্হটা আমার সামনে আসতেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।আলোর চোখের লেন্সটা ঘুরতেছিল।তখনেই বুঝেছিলাম আলো সাধারণ মেয়ে না।কারন...

এটুকু বলেই মিস শিলা চুপ হয়ে গেল।আমি আর নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম।অস্থির গলায় বললাম
-কারন কি?চুপ হয়ে কেন গেলেন?কারনটা বলুন।
তখন মিস শিলা নিজের ঘাড়ের থেকে চুলটা সরিয়ে একটা তীর চিন্হ দেখিয়ে বললেন
-দেখুন আলোর তীরচিন্হটা আর আমার তীর চিন্হটা এক।আর এ তীর চিন্হটা শুধু মাত্র আমাদের বংশধররা পেয়ে থাকে।
এবার মিস শিলার কথা শুনে মেয়ে হারানোর একটা আভাস পাচ্ছিলাম।তাই কিছুটা রাগান্বিত হয়ে বললাম
-আপনি কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন আলো আমার মেয়ে না আলো আপনার বংশধর।আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছেন।

মিস শিলা আমাকে কিছুটা শাত্বণা দিয়ে বললেন
-আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন এমন কিছুই করব না আমি।আর আলো আমার বংশধর হলেও আলো মানুষের মেয়ে না।আর আমি তো মানুষের মেয়ে।
মিস শিলার কথা গুলোর মানে আমি বুঝতে পারছিলাম না।মনে হল কোন গল্প সাজিয়ে বলছে।তবুও জানার আগ্রহ থেকে বললাম
-আপনি আমাকে বুঝিয়ে বললে ব্যাপারটা সহজ হয় বুঝতে।আলো মানুষের বাচ্চা না এটার মানে বুঝতে পারছি না।বুঝিয়ে বলুন।

-তাহলে শান্ত হয়ে শুনুন।আমি হলাম নাগরাণীর বংশধর।আমার বংশে শত বছর আগে এক নাগরাণী মণি রক্ষার জন্য দুনিয়াতে এসেছিল।তখন সে নাগরাণী নাগ পিতার কাছ থেকে মানুষ হিসেবে থাকার বর পেয়েছিল।তখন থেকে তার সব বংশধরের একটা বৈশিষ্ট্য হল এ তীরচিন্হটা।তবে নাগ,নাগিনীর একটা ঐতিহাসিক বই আছে সেটাতে এটা লিখা ছিল যে, শত বছর পর পর এ পৃথিবীতে নাগরাজ্যের কোন নাগকন্যা আসবে।আর তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে তাদের তীরচিন্হটা নাগরাণীর বংশধরের সামনে গেলে আলোকিত হয়ে যাবে।



প্রথম যেদিন আমি আলোকে দেখি এ বৈশিষ্ট্য টা দেখেই বুঝতে পারি আলো কোন সাধারণ বাচ্চা না।আলো হল নাগকন্যা।তাই প্রথম দিন থেকেই আলোর উপর নজর দিতে থাকি।খেয়াল করলাম আলো একটা পুড়াবাড়ি অঙ্কন করে প্রায় সময় আর এ পুড়াবাড়িটা আমাদের বংশের সবাই একবার হলেও এ স্বপ্নে দেখবে আর যারা বিশেষ কেউ তারা এ পুড়াবাড়িটা বারবার স্বপ্ন দেখবে।প্রতিটা স্তরে এ পুড়াবাড়িটা অণুভব করবে।আমি সেদিন নিশ্চিত হয়েছিলাম আলো বিশেষ কোন নাগের কন্যা।আরও নিশ্চিত হলাম আজকে যখন সবাইকে বললাম মা বাবার ছবি অঙ্কন করতে তখন আলো মনের অজান্তেই নাগরাজ আর নাগরাণীর ছবি অঙ্কন করেছে।আর আলোকে জিজ্ঞেস করার পর আলো জবাবে বলল

-মিস আমি যখন ছবি আঁকতে নিয়েছিলাম তখন এ ছবিগুলোই আমার সামনে ভেসে উঠে।
এবার আমি পুনরায় নিশ্চিত হলাম আলো সাধারণ মানুষের মেয়ে না।এবার যদি সবকিছু জানার পর আলোর ব্যাপারটা খুলে বলতেন তাহলে বাকি ব্যাবস্থা করা যেত। কারন আলোর মত নাগ কন্যারা আসেই বিশেষ কোন উদ্দেশ্য সফলের জন্য।
আমি কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
-নাগমণি রক্ষার জন্য কি এসেছে আলো?
-নাহ এমন কিছু না।কারন নাগমণি রক্ষার ইতি আগেই ঘটেছিল।তবে আলো অন্য কোন উদ্দেশ্য সফলের জন্য এসেছে।তবে আমাকে বিষয়টা বললে আমি বুঝাতে পারতাম।এবার আপনি আমাকে আলোর জন্ম থেকে এ পর্যন্ত বিষয়টা যা ঘটেছে খুলে বলুন।

মিস শিলার কথা শুনে এবার আর কোনকিছু লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। মিস শিলাকে বললাম
-আলো আমার মেয়ে না।হাসপাতালে আমার বাচ্চা বদল হয়ে যায়।আমার ছেলে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমাকে মেয়ে বাচ্চা প্রদান করা হয়।আর এজন্য বেশ হতাশও হয়েছিলাম।তবে সেদিন নিয়তি মেনে নিয়েছিলাম।ছয় মাস বয়স থেকেই আলোর মধ্যে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করতাম।এতকিছুর হদিশ জানতে পারে নি কেন ঘটেছে।তবে জানার অনেক চেষ্টা করেছি।আজকে আপনার কথায় মনে হল আলো নাগকন্যা।এর আগে আলো কে সেটায় আমার আর আলোর বাবার কাছে অজানা ছিল।তবে আলো কেন এসেছে কি উদ্দেশ্য সফলের জন্য আমাকে একটু বলুন প্লিজ।
মিস শিলা খানিকক্ষণ চুপ থেকে আমাকে বললেন
-এটার উত্তর তো আমার কাছে জানা নেই।তবে একটা উপায় আছে।
আমি উচ্ছাস ভরা কন্ঠে বললাম
-কি উপায় বলুন?
-আমার বাড়িতে একজন প্রবীণ বৃদ্ধা আছে তিনি এসব কিছুর কারন হয়ত বলতে পারবেন।আপনি উনার কাছে যেতে পারেন।আমি আপনাকে নিয়ে যাবে।
আমি স্থির রাখতে পারলাম না নিজেকে।অস্থির হয়ে বললাম
-তবে তাই চলুন

-আজকে না মিসেস অধরা।আপনি অস্থির হবেন না।আপনি আমাকে আপনার বাসার ঠিকানা দিন আমিই আপনার বাসায় চলে যাব।কালকে আপনাকে নিয়ে যাব।আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ি যান।


আমি তখন আলোকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।সারাদিন সারা রাত শুধু মিস শিলার কথাগুলো মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল।আমি কি শাদাফ কে বলব সবটা।না থাক শাদাফকে বললে চিন্তা বেশি করবে।কালকে সবটা জেনেই শাদাফকে বলব।সারারাত এক অযাচিত অস্থিরতায় কাটল।সকালে মিস শিলা আসতেই যেন এক ক্ষুদ্র আলোর রশ্নির দিশা খুঁজে পেলাম।মিস শিলা এসে বললেন
-মিসেস অধরা আলোকে নিয়ে চলুন।

মিস শিলার কথামত আমি আর মিস শিলা আলোকে নিয়ে রওনা দিলাম।অনেক আঁকাবাঁকা পথ ধরে যেতে লাগলাম।পথগুলো বেশ অচেনা লাগল মনে হল এ পথ অচেনা কোন পথ।এ পথটা এ শহরের পথ না।এ পথটা শহরের কোন বাইরের পথ।মাথার উপর সূর্যটাকে চাঁদের মত লাগতেছিল।মনে হচ্ছিল সূর্যের ত্যাজ কমে চাঁদে রূপান্তরিত হয়েছে।এমন অদ্ভূত ঘটনা আমি এর আগে কখনও দেখি নি।শহরের মধ্যে এমন বিচিত্র রাস্তাও আছে সেটা আমার জানার বাহিরে ছিল।আলোর দিকে খেয়াল করে দেখলাম আলোর চোখ দুটো রক্তের মত লাল হয়ে আছে।মনে হচ্ছে আলো বেশ বিরক্ত।আর মিস শিলা আপন মনে গাড়ি চালাতে লাগল।কেন জানি না মনে হচ্ছে ভুল পথে এগুচ্ছি।কারন পথটা বেশ অদ্ভূত ছিল।অজানা সব গাছ।মাঝে মাঝে অজানা পোকামাকড় খেয়াল করলাম।মিস শিলাকে কি জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে ভুল পথে এগুচ্ছি কিনা।না থাক।কারন মিস শিলা তো নিজের বাড়ির পথ ভুল করবেন না।তাই চুপ হয়ে যেতে লাগলাম।কখনও সূর্য দেখতে লাল মনে হত আাবার কখনও দেখতে চাঁদের মত মনে হত।মনে হল এক মায়া রাজ্যের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা।রূপকথার গল্পের মত সব লাগতেছিল।তার উপর বাইরে থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে কখনও তপ্ত বাতাস আবার কখনও শীতল হিমেল বাতাস শরীরে শিহরণ দিতে লাগল।একসাথে শীত আর গরম আবহাওয়ার উষ্ণতা অণুভব করছিলাম।আধা ঘন্টায় কেন জানি না মনে হল অনেক টা পথ চলে এসেছি।অনেক পথ পাড়ি দিয়ে শহরের বাইরে চলে এসেছি।খানিকক্ষন পর পথের শেষে একটা বাড়ি পেলাম।

বাড়িতে ঢুকেই একটা ব্যাপার খেয়াল করে চমকে গেলাম কারন বাড়িটার বাইরে রাস্তার শুরুতে একটা কালো মূর্তি স্থাপিত ছিল মূর্তিটার চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাধা ছিল।এমন অদ্ভূত মূর্তি আগে কখনও দেখি নি।রাস্তাটা দেখিয়ে মিস শিলা বলল
-আপনি আমার পছিন পিছন আসুন।

আমি মিস শিলাকে ফলো করে আলোকে নিয়ে যেতে লাগলাম।পথ ধরেই হাঁটতে হাঁটতে একবার মনে হচ্ছিল রাত হয়ে গিয়েছে আবার মনে হচ্ছে দিন হচ্ছে।রাত দিনের এক মিশ্র প্রতিচ্ছায়ায় হাঁটছিলাম।অদ্ভূত সব গাছ।অবশেষে বাড়িটা পেলাম। বাড়িটা দেখে চমকে গেলাম।কারন বাড়িটাই বাইরে বেশ স্যাঁতস্যাঁতে এবং শ্যাওলার স্তূপ জমা ছিল।এমন বাড়িতেও কেউ থাকে।কিছুটা অস্বস্থি নিয়ে বাড়িটার ভিতর ঢুকে দ্বিতীয়বারের মত চমকালাম।কারন এটা বাড়ি না এটা মনে হচ্ছে কোন এক রাজমহল।এ যুগে এরকম বাড়ি আছে মিডিয়া জানলে হয়ত এসে ডকুমেন্টারি তৈরী করত বাড়িটাকে নিয়ে।ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিরা ফিল্ম বানাত এ বাড়ি নিয়ে।হয়ত এখনও মিডিয়ার অন্তরালে রয়ে গিয়েছে এ বাড়িটা।তাই মিস অধরাকে কৌতুহল মনে জিজ্ঞেস করলাম



-এ বাড়িটা কি আপনার?আপনি এ বাড়িতে থাকেন?
-নাহ আমি বাড়িতে থাকি না।এ বাড়িটা ঐ বৃদ্ধার।
কিন্তু মিস শিলা তো বলেছিল সে যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে বৃদ্ধা থাকে।তবে এ কার বাড়িতে নিয়ে আসল।নিজেকে বেশ সামলে জিজ্ঞেস করলাম
-আচ্ছা এ বাড়িটা শহরের কোন জাগায় পড়েছে।
মিস শিলা মুচকি আর রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বললেন
-সব জানতে পারবেন।আগে বৃদ্ধার কাছে চলুন।
আমি বললাম বৃদ্ধা কোথায়?
-ঐ যে উপরের ঐ রুমটায়।

আমি আর মিস শিলা উপরের ঐ রুমটায় চলে গেলাম।গিয়ে আমি আবারও অবাক হলাম।মনে হচ্ছে অবাক হওয়ার পালা যেন শেষ হচ্ছে না।রূমটা কেমন জানি অদ্ভূত।অদ্ভূত অদ্ভূত প্রাণীর পেইন্ট করা রূমে।কিন্তু রুমের কোথাও পেলাম না বৃদ্ধাকে।আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
-কিন্তু এ রুমে তো বৃদ্ধা নেই।

মিস শিলা আমাকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে একটা কিছু নির্দেশ করল আমি তা দেখে বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারন....


গল্পটির পরবর্তী পর্ব পেতে গল্পটি নিচের শেয়ার অপশন থেকে অথবা লিংক কপি করে ফেসেবুকে শেয়ার করুন

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।