You are not alone.. I am with you.don't worry . I am always with your pain.....
খুব সকালে বালিশের নিচে মাইকেল জ্যাকসন এর গানটা বাঁচতেছিল ফোনটা বের করে দেখি আঙ্কেল ফোন দিয়েছে।
- হ্যালো আঙ্কেল
- কিরে তুই কি এখনো ঘুমাচ্ছিস। কখন যাবি..??
- এইতো আঙ্কেল আমি ৩০ মিনিটে আসতাছি
- হুম তারাতারি এয়ারপোর্টে আই আমি অপেক্ষা করছি
- ওকে আঙ্কেল।
তারপর
ওঠে ফ্রেস হয়ে হাল্কা নাস্তা করে টেক্সি নিয়ে রোওনা হলাম এয়ারপোর্টের
দিকে। চলুন যেতে যেতে আমার পরিচয়টা দিয়ে ফেলি। আমি তাসরিফ আদিয়াত
ইয়াছিন। আমার বাবা মা আছে কিন্তু তাদের থেকে আজ আমি আলাদা। কেন আলাদা
সেটাও জানতে পারবেন। বলতে গেলে আমি আমার বাবা মার দুই মাত্র সন্তান। বুঝলেন
না দুই মাত্র বলতে আমার ছোট বোন নিলীমা আছে। থাক এখন গল্পে আশা যাক। আমি এখন
এয়ারপোর্টে...
আজ আমি প্রায় ৮ বছর পর নিজের দেশে যাচ্ছি।
দেশে ফেরার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আপনজনদের দেখতে খুব ইচ্ছা হল। তাই ফিরে
এলাম। জানি না তারা কেমন আছে। আমাকে মনে রেখেছে কিনা তাই জানি না। হয়তো
মনে নেই। কারন তাদের চোখে আমি অপরাধী। কিন্তু যে অপরাধে অপরাধী সে অপরাধ
আমি করিই নি। তাও ওদের চোখে অপরাধী। আজ থেকে ৯ বছর আগে এই অপরাধের জন্য
বাড়ী ছাড়াতে হয়েছিল। তার ১ বছর পর দেশ ছাড়ি।
১৮ ঘন্টা
ফ্লাইটেতে থাকার পর হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশন্যাল এয়ারপোর্টে প্লেন অবতরন
করলো। অনেক সময় পর দেশের মাটিতে পা রাখলাম। এটার অনুভুতিটা আলাদা।
এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলাম। অনেক সময় পর এই ঢাকা শহরটাকে দেখছি। এখন
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই একটা হোটেলে উঠলাম। আজ ভীষণ ক্লান্ত। কাল
আমার শহর বগুড়ার উদ্যশে রওনা দিবো।
হোটেলের রুমের বিছানায় শুয়ে
আছি। বিছানাটা আরামদায়ক তবু ঘুম আসছে না। ফেলে আসা সময় বড্ড মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে পুরনো বন্ধুদের, মনে পরছে পরিবারের লোকেদের। আর আরেক জনের কথা
বড্ড মনে পরছে। জানি না সে কেমন আছে?? তবু বলি যেখানেই থাক ভালো থাক। শেষ
রাতে দিকে চোখটা লেগে আসলো।
পরের দিনঃ
হোটেল থেকে চেকআউট করে
বেরিয়ে পড়লাম। আগে একটা রেস্টুরেন্টে ডুকলাম। আমি একটা টেবিলে বসে
খাবারের অর্ডার দিয়েছি। আরেক টেবিলে দুইজন বসে আছে। একজন মহিলা আরেক জন
পুরুষ। পুরুষটা আমার দিকে বার বার তাকাছে। কিছুক্ষন পরে লোকটা উঠে আমার
কাছে। কাছে আসার পর বুজতে পারলাম কে।
- আপনাকে কেমন যেন চেনাচেনা লাগছে??
- কেমন চেনাচেনা লাগছে?
- মনে হয় আগে কোথাও দেখিছি।
- আমার মনে হয় না। কারন আমি ৮ বছর পর কাল দেশে এসেছি।
- ও (লোকটা উল্টা দিকে ঘুরে চলে যাচ্ছিল)
- কিরে ফকির আমাকে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি।
- (লোকটা ঘুরে) ইয়াছিন।
আমি
শুধু মাথা নাড়লাম। লোকটা ছিল আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড আসিক। ওকে ফকির বলার
কারন আগে ও অনেক কিপটা ছিল। পকেটে টাকা থাকতেও বলতো টাকা নাই। কিন্তু এখন
দেখে মনে হচ্ছে না যে ও আর আগের মত কিপটা আছে। আসিক এসে আমাকে জড়িয়ে
ধরলো। এত বছর পর নিজের বেস্টফ্রেন্ড দেখে যে কেউ এমন করবে।
-
এত গুল বছর কোথায় ছিলি? জানিস তোকে কত খুজেছি। কারন তোর বাড়ির কেউ বলেনি
তুই কোথায়?? অনেক চেষ্টা করেছি শোনার জন্য তারা বলে নি।
- মৃত্য মানুষের খবর কেউ দিতে পারে! আমি তাদের জন্য মৃত।
- কেন??
- তুই জানিস না। আমারতো মনে হয় সবাই ওটা জানে।
- কিছুটা জানি। কিন্তু আমি পরিপূর্ণ বিশ্বাস তুই ওই কাজটা করতে পারিস না।
- দুনিয়াটা কি আজব। তুই বন্ধু হয়ে আমাকে বিশ্বাস করলি আর আমার পরিবারের লোকজন তা বিশ্বাস করলো না।
- ওগুলো রাখ। এতদিন তুই কোন দেশে ছিলিস।
- ছিলাম পৃথিবীর কোন এক দেশে সেটা না হয় না জানলি।
- ওকে চল তোকে আরেক জনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
আসিক আমাকে ওই মহিলার কাছে নিয়ে গেল, যার সাথে বসে ছিল।
.
- এই হলো আমার স্ত্রী নিলা। আর নিলা এই আমার স্কুল লাইফের বেস্টফ্রেন্ড ইয়াছিন। যার কথা আমি তোমাকে বলেছিলাম....
- ও আপনি তাহলে সেই ইয়াছিন
- হ্যা
- জানেন ও সব সময় আপনার কথা বলতো। আপনাকে ও ভিষণ মিস করতো।
- এত মিস করে আমার জানা ছিল না। আচ্ছা আমি ওখানে বসি।
- ওখানে বসবি মানে। তুই আমাদের সাথে বসবি কতদিন তোর সাথে কথা হয় না। (আসিক)
- না, এখানে তুই আর তোর স্ত্রী বসেছিস, সেখানে আমি তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কেন থাকবো।
- আমি বলেছি তাই থাকবি। (আসিক)
কি আর করার। ওদের সাথে বসে খেয়ে নিলাম। খেয়ে বেরিয়ে আসলাম।
- এখন কোথায় যাবি?? (আসিক)
- এখন বগুড়া যাবো। তারপর সেইখান থেকে গ্রামে।
- গ্রামে থাকবি কোথায়? আমি জানি তুই তোর বাড়িতে যাবি না। (আসিক)
- দেখি কি করা যায়।
- আমার সাথে আমার বাসায় চল। দুইদিন পরে আমিও গ্রামে যাবো। প্রিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর অনুষ্ঠান গ্রামে হবে। (আসিক)
- এই ছোট প্রিয়াটা আজ এত বড় হয়ে গেছে যে আজ ওর বিয়ে।
- আগে চল গেলেই দেখতে পারবি। (আসিক)
আজ
ঢাকাতেই থাকতে হবে। অবশ্য ভালো হল। গ্রামে কোথায় থাকতাম। আমি কখনও
বাড়িতে যেতাম না। কারন আমার পরিবার কেউ আমার মুখ দেখতে চায় না। এখন তারা
শহরে নাকি গ্রামে এটা জানি না। হয়ত এখন শহরেই আছে। গ্রামে তো শুধু
দাদু-দাদিমা থাকে। আমার শহর বেশি পছন্দ ছিল না। তাই আমি গ্রামে দাদুর কাছে
বেশি থেকেছি। আর ওখানেই পড়াশুনা করেছি। আসিক আর আমার গ্রাম একটাই। আসিক আর
আমি স্কুলে একসাথে পড়েছি। পরে ও এক কলেজে চলে গেল আর আমি আরেক
কলেজে।
................ To Be Continue
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।