আরশিতার প্রশ্ন - পর্ব: ০২

আরশিতার প্রশ্ন

প্রত্যেকটা থানায় আরশিতার ছবি মেইল করে বললাম যাতে বাস স্ট্যান্ড, সবগুলো পয়েন্ট, চেক করে তারপর যেনো গাড়ি ছাড়ে। বাসার দারোয়ান করিমকে কল দিলাম, বললাম "আরশিতা বাসায় আসলে আমাকে আর মিহিকে যেনো তাড়াতাড়ি জানায়"।
আমার মাথায় কোনোকিছু কাজ করছিলো না। হুট করে কি হয়ে গেলো?
একদিকে আরশিতাকে খুজে পাচ্ছিনা, অন্যদিকে রেপ হওয়া মেয়েটার খুনিরাও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই মেয়েটাও কলেজের সামনে থেকে কিডন্যাপ হয়েছিলো।

কিছু ভাবতে পারছিনা আমি। টেবিলে রাখা পানির গ্লাসটা থেকে একটু পানি খেলাম। এমন সময় খেয়াল করলাম ওই বুড়ো লোকটা আবারো এসেছেন, ওইদিন ও এসেছিলেন। লোকটার দিকে তাকালাম, স্পষ্ট দেখতে পেলাম বুড়ো লোকটার চোখ থেকে অবিরাম পানি পড়ছে। ওইদিন আরশিতার করা প্রশ্নের টেনশনে কোনো কথা বলা হয়নি ওনার সাথে, যদিও এখনো আমার মাথায় হাজারটা টেনশন ঘুরছে। সবচাইতে বড় টেনশন তো আমার কলিজার টুকরা মেয়েটাকে খুজে পাচ্ছিনা, তারপরেও ওনার দিকে তাকিয়ে কেনো জানিনা খুব মায়া হলো।
চেয়ার থেকে উঠে ওনার কাছে গেলাম। বললাম-
-চাচা, কি সমস্যা আমাকে বলুন"?
ওনি চোখগুলো বাম হাত দিয়ে মুছলেন। চোখের পানিগুলো লুকানোর বৃথা চেষ্টা। কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন-
-আমার মাইয়াটারে ৩দিন ধইরা খুইজা পাইতাছিনা স্যার"।
কথাটা শুনে আমার বুকটা ধুক করে উঠলো। আরো একটা মিসিং কেস? কি হচ্ছে এসব?? প্রথমে একটা মেয়ে নিখোঁজ, তারপর রেপ, তারপর লাশ, এখন আরশিতা নিখোঁজ, সাথে ওনার মেয়েও। উফফফফ, আমি কিছু ভাবতে পারছিনা। কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলাম। চাচাকে জিজ্ঞাস করলাম-
-চাচা আপনার মেয়ে কিসে পড়ে? কোনো ছবি নিয়া আসছেন ওর"?
-বাজান ও তো কলেজে পড়ে। আমি পড়ালিখা কিছু করতে পারিনাই, আমার স্বপ্ন ছিলো মেয়েটারে উকিল বানামু, কিন্তু ওইদিন কলেজ থাইকা আমার মেয়ে আর ফিরে নাই। এইযে তার ছবি"। ছবিটা দেখিয়েই ওনি কান্না শুরু করলেন। আমি অসহায় একটা বাবার কান্না দেখতে থাকলাম। যদিও আমারো এখন ইচ্ছা করছে জোরে জোরে কান্না করতে, কিন্তু পারছিনা। চাচার কাধে হাত রেখে বললাম-
-আপনার মেয়েকে আমরা খুজে বের করবো, টেনশন করিয়েন না"।
এমন সময় মোবাইলের রিংটা বেঁজে উঠলো, দারোয়ান করিম কল দিছে। ধরলাম। করিম বললো-
"স্যার আরশিতা ম্যাডাম তো বাসায় আইছে মাত্রই"।
কথাটা শুনা মাত্র আমি তাড়াতাড়ি রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
.
বাসায় গিয়ে দেখি আরশিতা চুপচাপ বিছানায় বসে আছে। ভীত চেহারা। আরশিতার কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে অনেকগুলো চুমু খেলাম। বললাম-
-আম্মু কোথায় গেছিলে স্কুল ছুটির পর? তুমি জানো পাপা তোমাকে না পেয়ে কতোটা টেনশনে ছিলাম"।
আরশিতা ভীত চেহারা নিয়ে বললো-
"আমি আমার ফ্রেন্ড রিফাতের সাথে খেলতে গেছিলাম পাপা"।
আমি বুঝতে পারলাম আরশিতা কিছু লুকাচ্ছে। আমার মেয়েটা এমন ই, সহজে কিছু বলতে চায়না"।
এই বিষয়ে ওর সাথে আর কোনো কথা বললাম না, ভাবলাম সময় হলে এমনিতেই সব জানা যাবে"।
.
পরেরদিন সকালে স্কুলে যেতে আরশিতার আবারো একিই আবদার "স্কুলে যাবোনা"।
মেয়েটা কি প্রতিদিন রেডি হওয়ার সময় এমন করে? কি জানি, মিহিই তো প্রতিদিন আরশিতাকে রেডি করায়। একপ্রকার জোর করেই আরশিতাকে রেডি করালাম, সত্যি বলতে মিহির অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
মিহিকে কল দিয়ে বললাম বাসায় চলে আসতে।
.
আরশিতাকে নিয়ে স্কুলে গেলাম।
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে আরশিতা গাড়ি থেকে নামছেনা, আমার একটা হাত শক্ত করে ধরে আছে।
আরশিতার দিকে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলাম স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৩টা ছেলের দিকে ভীত চেহারায় তাকিয়ে আছে। এই ভীত চেহারাটা আমি গতকালকেও আরশিতার মুখে দেখেছি। আরশিতার গালটা স্পর্শ করে বললাম-
-আম্মু কি হয়েছে? ভয় পাচ্ছো"?
আরশিতা ছেলেগুলোর দিকে ইশারা করে বললো-
-পাপা ওই মানুষগুলো অনেক খারাপ, অনেক পচা"।
কৌতূহল জাগলো মনের ভিতর। জিজ্ঞাস করলাম-
-ওরা কি করেছে মামনী"?
আরশিতা ভয়ার্ত কন্ঠে বললো-
- গতকাল স্কুল ছুটির পর আমি আর আমার ফ্রেন্ড রিফাত, আর সুমা, আমরা ভূতদের নিয়ে কথা বলছিলাম।
আমি ওদের বললাম পাপা আমাকে বলেছে ভূত বলতে কিছু নেই।
ওরা হাসলো। রিফাত বললো ওদের বাড়ির পাশে যে জংগল আছে ওইখানে না'কি ভূত থাকে, আমাকে দেখাতে পারবে। আমি ভূত দেখার জন্য ওর সাথে গেলাম, সুমাও ছিলো আমাদের সাথে। জংগলের একটু ভিতরে যেতেই দেখলাম একটা ছোট টিনের ঘর থেকে একটা মেয়ে কান্না করছে। আমি ভীষণ ভয় পেলাম, রিফাত ও ভয় পাচ্ছিলো।
আমরা আস্তে আস্তে ঘরের কাছে গেলাম, গিয়ে দেখলাম এই ৩টা ছেলে একটা মেয়েকে অনেক মারছে, আর মেয়েটা অনেক কান্না করছিলো পাপা। আমরা ভয় পেয়ে সাথে সাথে ওইখান থেকে পালিয়ে আসি"।
আরশিতার কথাটা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলাম। কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করলো।
আরশিতা বললো "একটা মেয়েকে মারতে দেখেছে"।
তারমানে কি আরশিতা নোংরামি করতে দেখেছে? নোংরামিকে মারা বলছে?
সদ্য নিখোঁজ হওয়া মেয়েটাকে কি এই ছেলেগুলোই কিডন্যাপ করেছে? আরশিতা কি ওই বুড়ো চাচার মেয়েটাকেই দেখলো? রেপ হয়ে মারা যাওয়া মেয়েটার খুনিও কি এরাই?
স্বাভাবিক হয়ে আরশিতাকে বললাম-
"আম্মু তুমি স্কুলে যাও, ভয় পাওয়ার কিছু নাই। পাপা আছি'তো"।
আরশিতা গাড়ি থেকে নেমে স্কুলের ভিতর গেলো।

গাড়িতে থেকেই থানায় কল দিলাম। বললাম ৩-৪জন যাতে নরমাল পোশাকে স্কুলের সামনে আসে।
ওরা আসলো। আমরা ছেলেগুলোকে ফলো করা শুরু করলাম"।

সারাদিন ছেলেগুলো একদম নরমাল জীবন যাপন করছিলো, যেমনটা সবাই করে। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে ওরা ৩জন একটা মুহুর্তের জন্য ও আলাদা হয়নি, বিষয়টা অদ্ভুত।
রাত ১০টার দিকে ওরা একটা বাইক নিয়ে জংগলের দিকে গেলো, আমরাও পিছু পিছু গেলাম। জংগলের অনেক ভিতরে ছোট একটা টিনের ঘর, যেমনটা আরশিতা বলছিলো। ছেলেগুলো ঘরের ভিতরে ঢুকলো, পিছন পিছন গিয়ে আমরাও ঘরের ভিতরে ঢুকলাম।
ঘরে ঢুকে দেখলাম ওই বুড়ো চাচার মেয়েটা বস্ত্রহীন অবস্থায় অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। শরীর রক্তাক্ত।
বুঝতে বাকি রইলোনা কুত্তার বাচ্চাগুলো ওর সাথে কি কি করেছে।
কোনো কথা না বলেই আমি ওদের ৩জনের পায়ে গুলি করলাম। কয়েকটা লাত্তি মেরে বললাম-
-জানোয়ারের বাচ্ছারা, তোরা মানুষের ঘরে জন্ম নিছিস"?
৩টা ছেলেই পাগলের মতো হাসতে শুরু করলো। পায়ে গুলি লাগার পরেও কাউকে এভাবে হাসতে এই প্রথম দেখলাম। মনে মনে ভাবছি "ওরা কি সাইকো"? একটা ছেলে বললো-
-স্যার, আমরা সমাজের ভালা কাজ করতেছি"।
ছেলেটার কথা শুনে একদিকে অবাক হলাম অন্যদিকে প্রচন্ড রাগ হলো। বললাম-
-শালা কুত্তার বাচ্চা, রেপ করে মেয়েটার হাত পায়ের আঙুল কেটে খুন করা সমাজের ভালো কাজ"?
-স্যার আমরা যারে খুন করছি ওই মেয়েটা একটা বেশ্যা। কলেজে ৪০টা পোলার সাথে টাংকি মারে। এইযে আমাদের ৩জনরে দেখতেছেন না, আমরা ৩জন ছিলাম না,৪জন ছিলাম। সেই ছোট থাইকাই ৪জন ছিলাম জানে জিগার দোস্ত। ওই মেয়েটা আমাদের বন্ধুটারে ইউজ কইরা, ভালোবাসার লোভ দেখাইয়া, মায়ায় জড়াইয়া, ছাইড়া দিছে। আমার বন্ধুটা সহ্য করবার পারে নাই স্যার, সুইসাইড কইরা ফেলছে। মন ভাঙার কষ্টটা আপনি বুঝবেন না স্যার। আমার বন্ধুর মতো অনেক ছেলে সুইসাইড করবার চায়, শুধুমাত্র এসব বেশ্যা মেয়েদের মায়ায় জড়াইয়া। তাই আমরা ঠিক করছি দশ বারোটা পোলার সাথে টাংকি মারা কোনো মাইয়ারে আমরা এই দুনিয়ায় রাখমু না। আমার বন্ধুর মতো আর কাউরে মরতে দিমুনা। এইযে এই মাইয়াটারে দেখতাছেন না, এই মাইয়াও ওই টাইপের, অনেক পোলার জীবন নষ্ট করবো"।
ওদের কথা শুনে আমার এত্ত রাগ হলো, ইচ্ছা করছিলো এখানেই গুলি করে ৩টাকে মেরে দেই। মেয়েগুলো খারাপ হোক বা ভালো। ওদের রেপ করে, লজ্জাস্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, হাত পায়ের আঙুল কেটে, এরকম ভয়ংকর ভাবে মেরে ফেলার অধিকার তোদের কে দিছে"?
নিজের রাগটা কন্ট্রোল করলাম।
ওদেরকে থানায় রেখে আসলাম।
মেয়েটাকে ওসমানীনগর হসপিটালে নিয়ে যেতে বললাম। বুড়ো চাচাকেও ফোন করে বললাম যাতে ওনি হসপিটালে চলে আসেন।

ফোনটা রাখার সাথে সাথেই আমার কাছে একটা কল আসলো। আননোন নাম্বার। ধরলাম-
-হ্যালো পুলিশ অফিসার মেহরাব বলছেন"?
-জ্বী মেহরাব বলছি, কে আপনি"?
-স্যার আমি আপনাদের ওসমানীনগর নতুন হসপিটালটার হেড "ডাক্তার সিনহা"।
প্রচন্ড অবাক হলাম। ওসমানীনগর হসপিটাল? এই মেয়েটাকে আমি মাত্রই ওসমানীনগর হসপিটালে নিতে বলেছি। ওনি আবার বলা শুরু করলেন-
-স্যার আমাদের এইখানে লাস্ট ১সপ্তাহ ধরে অদ্ভুত সব কান্ড হচ্ছে। কোনো মেয়ে এখানে ভর্তি হলে তারা গলায় দড়ি দিয়ে সুইসাইড করছে। কোনো ছেলে ভর্তি হলে তারা নিজের ইচ্ছায় হাতের রগ কেটে, ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করছে। কোনো কারণ ছাড়াই। আমরা হসপিটালের সম্মানের জন্য এসব লুকিয়ে যাচ্ছিলাম। বুঝতেই তো পারছেন নতুন হসপিটাল"।
আমি ডাক্তারের কথা শুনে রীতিমতো ভয় পেলাম। মেয়েরা গলায় দড়ি দিচ্ছে? ছেলেরা হাতের রগ কেটে সুইসাইড করছে?? মাই গড। কি হচ্ছে এগুলো?
কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ডাক্তারকে বললাম-
-আমি আগামীকাল আপনার সাথে সরাসরি দেখা করে কথা বলতে চাই"।
-ঠিক আছে, সন্ধ্যায় চলে আসুন হসপিটালে"।
-হু ওকে"।
ফোনটা রেখে রেখে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বাসায় আসলাম। মনটা একটু হালকা লাগছিলো রেপ কেসটা সমাধান করে, কিন্তু ডাক্তারের কলটা আসার পর আরো একটা ভয়ংকর কেস চলে আসলো সামনে"।
রুমে ঢুকে দেখলাম মিহি চলে এসেছে। আমাকে দেখা মাত্রই বললো-
"তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও, টেবিলে খাবার দিচ্ছি"।
আমি কিছু সময় মিহির দিকে তাকিয়ে রইলাম৷ কেনো জানিনা আমার মনে হলো আমি অনেক বছর পর মিহিকে দেখছি, আমার ভালোবাসার মানুষটাকে দেখছি।

খাবার খেতে খেতে বললাম-
-আরশিতা কি ঘুমিয়ে গেছে"?
-হু অনেক আগেই ঘুমিয়েছে, এই কয়দিনে আমার মেয়েটাকে একদম শুকিয়ে ফেলেছো"।
মিহির কথা শুনে ফিক করে হাসলাম। মায়েদের মনটা সবসময় এমন ই হয়।
খাবার শেষ করে বিছানায় শরীরটা দিতেই চোখ লেগে আসলো। দেখলাম আরশিতা আমাকে জিজ্ঞাস করছে
"পাপা তোমরা যেটা দিয়ে হিসু করো ওইটা কি কোনো বাচ্চাকে খাইয়েছো"?
আমি তাড়াতাড়ি চোখটা খুলে বিছানায় উঠে বসলাম। একটু পানি খেলাম। বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে মনে মনে বললাম "আরশিতার মাথায় এই প্রশ্নটা কিভাবে আসলো এটা না জানা অবধি আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারবোনা। একদম না।

পরেরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য আরশিতা রেডি হলো। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুলগুলো ঠিক করছি, আরশিতা আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ঠিক এমন সময় হসপিটাল থেকে আবারো কল আসলো, ডাক্তার সিনহার কল। আরশিতার সামনে এসব বিষয়ে কথা বলাটা একদম ঠিক মনে করলাম না। আরশিতাকে বললাম-
"মামনী তুমি গাড়ির কাছে গিয়ে অপেক্ষা করো, পাপা একটা ফাইল খুঁজে বের করে তারপর আসছি"।
আরশিতা নিচে গেলো। ডাক্তার সিনহা আমাকে জানালেন গতকাল রাতে আরো একটা মেয়ে সুইসাইড করেছে। কোনো কারণ ছাড়া সুইসাইড? ভাবা যায়??
ওনার সাথে কথা শেষ করে যখন নিচে নামলাম, তখন দেখলাম দারোয়ান করিম আরশিতাকে একটা চকলেট দিয়ে আরশিতার গাল স্পর্শ করছে। আরশিতাকে কি কি যেনো বলছে। আমার মনের ভিতরে সন্দেহ জাগলো। তারমানে কি করিম আরশিতার সাথে ওইসব?

শেষ পার্ট আসছে...

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।