অনেক দিন পর মা-বোনকে কাছে পেয়ে টুকটাক কথা বলছি আর হাসাহাসি, কিন্তু কথায় আছে না " যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়"। আমরা কথা বলছিলাম। তখন একটা মেয়ে আসলো। এসে মাকে বলল.....
- চাচি তোমাকে চাচু ডাকছে। সেই কখন থেকে খুজছে। (মেয়েটা)
ওকে দেখে মা চমকে গেল। আমি চিনার চেষ্টা করছি।
- শান্তা আপু তুমি যাও, আমরা আসছি। (মাইশা)
এবার বুজতে পেরেছি এটা শান্তা। ভাগ্য ভালো যে এ আমাকে চিনতে পারেনি। না হলে আবার কোন সমস্যা বাধিয়ে দিত। শান্তা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর বলল....
- ইনি কে?
- শান্তা চিনতে পারে নি। আমাকে বাচানোর জন্য মাইশা বলল
- ইনি আমার বান্ধবীর হাজবেন্ড আর এই আমার বান্ধবী (জান্নাতিকে দেখিয়ে) আমরা ওনাদের সাথে কথা বলছি। কথা বলে আসছি। (মাইশা)
- ওনারা কি বরপক্ষ?? (শান্তা)
- না, উনি কনের ভাইয়ের বন্ধু। এখন যাও, মনে হয় না আর কিছু জানতে হবে। (মাইশা)
- আমার জানার ইচ্ছা নেই। আমিতো শুধু চাচিকে ডাকতে এসেছিলাম। (শান্তা)
শান্তা চলে গেলে আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম।
- আমি যাই তোর বাবা দেরি দেখলে আবার রাগ করবে। (মা)
- ঠিক আছে মা।
মা চলে যাওয়ার পর আমি মাইশার কান ধরে বললাম, কিরে ও (জান্নাতিকে দেখিয়ে) আমরা বউ না। তুই মাকে মিথ্যা বললি কেন??
- আ.. ভাইয়া ছাড়। তুই আর কতদিন একা থাকবি। তাই ভাবলাম তোর একটা ব্যবস্থা করে দেই। এখন মা জানে জান্নাতি তোর বউ। এখন ওকে তো তোর বিয়ে করতেই হবে। আর ওকে আমার ভাবি হিসাবে পছন্দ। (মাইশা)
এটা বলেই দৌড়ে পালালো। মাইশা পালিয়ে গেল। এবার জান্নাতির পালা।
- এই তুমি কেন মাকে বলল তুমি আমার বউ?
- হলে সমস্যা কোথায়?? (জান্নাতি)
- কি বলছো এইসব।
- যা বলার সোজাসুজি বলছি, আমি আপনাকে ভালোবাসি। (জান্নাতি)
- জান্নাতি এইসব তোমার আবেগ।(আমি)
- না এইসব আবেগ না। আজ পর্যন্ত কাউকে দেখে আমার হার্টবিট বাড়েনি। প্রথম যেদিন আপনাকে দেখেছিলাম সেইদিন হয়েছিল। যদি আবেগ হতো তাহলে আগে কাউকে ভালো লাগতো কিন্তু লাগেনি। (জান্নাতি)
- জান্নাতি বুঝতে পারছো না কেন??
- বোঝার কিছু নেই। আমি বুঝতে পেরেছি আপনিও আমাকে পছন্দ করেন।
- মানে এইসব কি বলছো??
- আমি আপনার আর দুলাভাইয়ের কথা শুনেছিলাম। সেটা থেকে এটা বুঝতে পেরেছি আপনি আমাকে পছন্দ করেন। আর আমাকে যদি পছন্দ নাই করতেন তাহলে আমি যখন আপনার হাত ধরে নিয়ে এলাম ছাড়ানোর চেষ্টা কেন করলেন না! আর আমার দেওয়া পাঞ্জাবীই বা কেন পারলেন?
জান্নাতির কথায় আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। সত্যি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। ওর প্রতিটা দুষ্টুমি ওর প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। ওর সাথে লিজার অনেকটা মিল। কিন্তু লিজার মতো যদি ও মাঝ রাস্তায় ফেলে চলে যায়। অনেক রাস্তা একা হেটে এসেছি। ওর হাত ধরে নতুন রাস্তা হাটার ইচ্ছা আছে। কিন্তু ভয় হয় হারানোর।
- আমাকে ভালোবেসে ভুল করো না। কারণ যে আমাকে ভালোবাসে সে ভুল করে।
- আমি লিজা নাকি। আমি ওনার মতো নই যে বলব আপনাকে ভালোবেসে ভুল করেছি। আর মাঝ রাস্তায় ফেলে চলে যাব।
- তবু....
- ভয় পাবেন না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না। এখন আমি একটা জিনিস দিতে চাই।
- কি??
- জান্নাতি এসে আমার গালে চুমু দিল। তখনই ওখানে আসিক আর নিলা চলে এলো।
- বাহ! ভীষন এগিয়ে গেছস! ডুবে ডুবে আমার গাছের জল খাচ্ছিস অথচ আমাকেই লুকিয়ে রাখছিস! (আসিক)
আসিক আর নিলা এসে যাওয়াতে সমস্যায় পড়ে গেলাম। মনে মনে জান্নাতির উপর রাগ উঠছে। কি যে করে না। লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। ওদের দেখে জান্নাতি আমার পিছনে লুকালো।
- তুই এখানে?? (আমি)
- আমি যখন জানতে চাইলাম তোর আর জান্নাতির মধ্য কি চলে তখন বললি কিছু না। এখন সবার থেকে দুরে এসে দিব্বি প্রেম করছিস? (আসিক)
- জান্নাতি মনে হয় বাবা-মাকে বিষয় টা বলতে হয় তুই প্রেম করে বেড়াচ্ছিস। (নিলা)
নিলার কথা শুনে জান্নাতি কেঁদে দিবে এই রকম বস্থা। আমিও ভাবছি যদি জান্নাতির বাবা-মা জানতে পারে তাহলে আরেক সমস্যা হবে। জান্নাতি ভয় পেয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো।
- বাবা-মাকে বলতে হবে খুব তাড়াতাড়ি ভাইয়ার সাথে তোর বিয়েটা দিয়ে দিতে। (নিলা)
- ধন্যবাদ আপু। (জান্নাতি)
- এখন এত খুশি হতে হবে না। তুই যেহেতু ভাইয়াকে মাকে বলেছিস তুই ভাইয়ার স্ত্রী সেহেতু তোর সাথে ভাইয়া বিয়ে দিতেই হবে। (নিলা)
- তোকে কে বলল(জান্নাতি)
- মাইশা... এজন্যই খুজছিলাম। (নিলা)
- আরে না, ইয়াছিন তোকে খুজছিলাম অন্য এক কাজের জন্য। (আসিক)
- কি??
- তোর চাচাতো বোন শান্তা এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল, তুইকে, তোকে কবে থেকে চিনি। আরো অনেক প্রশ্ন। তোকে মনে হয় চিনতে পেরেছে। (আসিক)
- কি বলছিস এইসব??
- হ্যা সবধানে থাকতে হবে।
- ঠিক বলেছিস।
- এখন চল খাওয়া-দাওয়া করে নিই। আবার ফিরতে হবে তো। (আসিক)
- চল।
আমরা সবাই একসাথে খেতে বসলাম। কিন্তু আজ জান্নাতির দুষ্টুমি আরে বেড়ে গেল। শান্তাকে দুয়েকবার দেখলাম পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করতে। একবার বাবা সামনে পড়েছিলাম। কিন্তু খুব কষ্টে বেঁচেছি। আমি শুধু বলছিলাম যত তাড়াতাড়ি বরের বাড়ি থেকে চলে আসা যায়। অবশেষে সব কাজ শেষ হলো। আমরা ফিরে এলাম। রাস্তায় আসার সময় জান্নাতি আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে এসেছে। ফিরতে রাত হয়ে যায়।
........... To Be Continue
ওকে দেখে মা চমকে গেল। আমি চিনার চেষ্টা করছি।
- শান্তা আপু তুমি যাও, আমরা আসছি। (মাইশা)
এবার বুজতে পেরেছি এটা শান্তা। ভাগ্য ভালো যে এ আমাকে চিনতে পারেনি। না হলে আবার কোন সমস্যা বাধিয়ে দিত। শান্তা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর বলল....
- ইনি কে?
- শান্তা চিনতে পারে নি। আমাকে বাচানোর জন্য মাইশা বলল
- ইনি আমার বান্ধবীর হাজবেন্ড আর এই আমার বান্ধবী (জান্নাতিকে দেখিয়ে) আমরা ওনাদের সাথে কথা বলছি। কথা বলে আসছি। (মাইশা)
- ওনারা কি বরপক্ষ?? (শান্তা)
- না, উনি কনের ভাইয়ের বন্ধু। এখন যাও, মনে হয় না আর কিছু জানতে হবে। (মাইশা)
- আমার জানার ইচ্ছা নেই। আমিতো শুধু চাচিকে ডাকতে এসেছিলাম। (শান্তা)
শান্তা চলে গেলে আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম।
- আমি যাই তোর বাবা দেরি দেখলে আবার রাগ করবে। (মা)
- ঠিক আছে মা।
মা চলে যাওয়ার পর আমি মাইশার কান ধরে বললাম, কিরে ও (জান্নাতিকে দেখিয়ে) আমরা বউ না। তুই মাকে মিথ্যা বললি কেন??
- আ.. ভাইয়া ছাড়। তুই আর কতদিন একা থাকবি। তাই ভাবলাম তোর একটা ব্যবস্থা করে দেই। এখন মা জানে জান্নাতি তোর বউ। এখন ওকে তো তোর বিয়ে করতেই হবে। আর ওকে আমার ভাবি হিসাবে পছন্দ। (মাইশা)
এটা বলেই দৌড়ে পালালো। মাইশা পালিয়ে গেল। এবার জান্নাতির পালা।
- এই তুমি কেন মাকে বলল তুমি আমার বউ?
- হলে সমস্যা কোথায়?? (জান্নাতি)
- কি বলছো এইসব।
- যা বলার সোজাসুজি বলছি, আমি আপনাকে ভালোবাসি। (জান্নাতি)
- জান্নাতি এইসব তোমার আবেগ।(আমি)
- না এইসব আবেগ না। আজ পর্যন্ত কাউকে দেখে আমার হার্টবিট বাড়েনি। প্রথম যেদিন আপনাকে দেখেছিলাম সেইদিন হয়েছিল। যদি আবেগ হতো তাহলে আগে কাউকে ভালো লাগতো কিন্তু লাগেনি। (জান্নাতি)
- জান্নাতি বুঝতে পারছো না কেন??
- বোঝার কিছু নেই। আমি বুঝতে পেরেছি আপনিও আমাকে পছন্দ করেন।
- মানে এইসব কি বলছো??
- আমি আপনার আর দুলাভাইয়ের কথা শুনেছিলাম। সেটা থেকে এটা বুঝতে পেরেছি আপনি আমাকে পছন্দ করেন। আর আমাকে যদি পছন্দ নাই করতেন তাহলে আমি যখন আপনার হাত ধরে নিয়ে এলাম ছাড়ানোর চেষ্টা কেন করলেন না! আর আমার দেওয়া পাঞ্জাবীই বা কেন পারলেন?
জান্নাতির কথায় আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। সত্যি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। ওর প্রতিটা দুষ্টুমি ওর প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। ওর সাথে লিজার অনেকটা মিল। কিন্তু লিজার মতো যদি ও মাঝ রাস্তায় ফেলে চলে যায়। অনেক রাস্তা একা হেটে এসেছি। ওর হাত ধরে নতুন রাস্তা হাটার ইচ্ছা আছে। কিন্তু ভয় হয় হারানোর।
- আমাকে ভালোবেসে ভুল করো না। কারণ যে আমাকে ভালোবাসে সে ভুল করে।
- আমি লিজা নাকি। আমি ওনার মতো নই যে বলব আপনাকে ভালোবেসে ভুল করেছি। আর মাঝ রাস্তায় ফেলে চলে যাব।
- তবু....
- ভয় পাবেন না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না। এখন আমি একটা জিনিস দিতে চাই।
- কি??
- জান্নাতি এসে আমার গালে চুমু দিল। তখনই ওখানে আসিক আর নিলা চলে এলো।
- বাহ! ভীষন এগিয়ে গেছস! ডুবে ডুবে আমার গাছের জল খাচ্ছিস অথচ আমাকেই লুকিয়ে রাখছিস! (আসিক)
আসিক আর নিলা এসে যাওয়াতে সমস্যায় পড়ে গেলাম। মনে মনে জান্নাতির উপর রাগ উঠছে। কি যে করে না। লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। ওদের দেখে জান্নাতি আমার পিছনে লুকালো।
- তুই এখানে?? (আমি)
- আমি যখন জানতে চাইলাম তোর আর জান্নাতির মধ্য কি চলে তখন বললি কিছু না। এখন সবার থেকে দুরে এসে দিব্বি প্রেম করছিস? (আসিক)
- জান্নাতি মনে হয় বাবা-মাকে বিষয় টা বলতে হয় তুই প্রেম করে বেড়াচ্ছিস। (নিলা)
নিলার কথা শুনে জান্নাতি কেঁদে দিবে এই রকম বস্থা। আমিও ভাবছি যদি জান্নাতির বাবা-মা জানতে পারে তাহলে আরেক সমস্যা হবে। জান্নাতি ভয় পেয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো।
- বাবা-মাকে বলতে হবে খুব তাড়াতাড়ি ভাইয়ার সাথে তোর বিয়েটা দিয়ে দিতে। (নিলা)
- ধন্যবাদ আপু। (জান্নাতি)
- এখন এত খুশি হতে হবে না। তুই যেহেতু ভাইয়াকে মাকে বলেছিস তুই ভাইয়ার স্ত্রী সেহেতু তোর সাথে ভাইয়া বিয়ে দিতেই হবে। (নিলা)
- তোকে কে বলল(জান্নাতি)
- মাইশা... এজন্যই খুজছিলাম। (নিলা)
- আরে না, ইয়াছিন তোকে খুজছিলাম অন্য এক কাজের জন্য। (আসিক)
- কি??
- তোর চাচাতো বোন শান্তা এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল, তুইকে, তোকে কবে থেকে চিনি। আরো অনেক প্রশ্ন। তোকে মনে হয় চিনতে পেরেছে। (আসিক)
- কি বলছিস এইসব??
- হ্যা সবধানে থাকতে হবে।
- ঠিক বলেছিস।
- এখন চল খাওয়া-দাওয়া করে নিই। আবার ফিরতে হবে তো। (আসিক)
- চল।
আমরা সবাই একসাথে খেতে বসলাম। কিন্তু আজ জান্নাতির দুষ্টুমি আরে বেড়ে গেল। শান্তাকে দুয়েকবার দেখলাম পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করতে। একবার বাবা সামনে পড়েছিলাম। কিন্তু খুব কষ্টে বেঁচেছি। আমি শুধু বলছিলাম যত তাড়াতাড়ি বরের বাড়ি থেকে চলে আসা যায়। অবশেষে সব কাজ শেষ হলো। আমরা ফিরে এলাম। রাস্তায় আসার সময় জান্নাতি আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে এসেছে। ফিরতে রাত হয়ে যায়।
........... To Be Continue
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।