যে গল্পে তুমি নেই - পর্ব: ০৪

 
এই অবস্থা দেখে আমি পেছনে তাকাই, তাকাতেই আমি অনেক বড় একটা ধাক্কা খেলাম, কারন পেছনে ভাবি দাঁড়িয়ে আছে, আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো।
ভাবিঃ নিশিতা তুই এখানে কি করিস?
নিশিতাঃ কই কিছু না।
ভাবিঃ যা ঘুমাতে যা।
নিশিতা মাথা নিচু করে চলে যায়, ভাবি কিছুক্ষণ আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমিও নিজের রুমে চলে যাই। রাতে বসে বসে ভাবছি ভাবি আবার নিশিতাকে ওদের বাসায় পাঠিয়ে দিবে কিনা।


এমন সময় আফছার কল দিলো,
আমি কল ধরে কথা বলতে বলতে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
কারন আমার রুমে নেটওয়ার্ক থাকে না।
আমি ছাদের উঠার জন্য সিঁড়ি রুমের দিকে যাচ্ছি এমন সময় ভাইয়া আর ভাবির রুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আসতে লাগলো।
এতো রাতে আবার কি নিয়ে ঝগড়া করছে কে জানে!
 আমি আফছারকে পরে কল দিবো বলে কলটা কেটে দিলাম, দরজার পাশে লুকিয়ে শুনার চেষ্টা করলাম ওরা কি বলে সেটা শুনার জন্য…..
ভাবিঃ এই শোনো আমি সকলের জন্য রান্না করতে পারবো না।
ভাইয়াঃ মানে কি? এখানে নতুন কেউ আসছে নাকি??
ভাবিঃ পুরাতনদের কথাই বলছি।
ভাইয়াঃ দেখো পাগলামি করো না। তুমি না করলে করবে কে? আম্মুও অসুস্থ হয়ে গেছে।
ভাবিঃ সব কিছু কি আমাদের ঠেকা পড়েছে নাকি?
ভাইয়াঃ মানে!
ভাবিঃ তুমি সারা দিন অফিস করবা, এতো কষ্ট করবে, আমি সারাদিন মালির মতো বাসার কাজ করবো আর অন্যরা বসে বসে খাবে।
ভাইয়াঃ অন্যরা কোথায় ফেলে! আব্বু আম্মু আর তুষার থাকে এ বাসায়, বাইরের কেউ তো থাকে না।
ভাবিঃ তো ও বসে বসে খাবে কেন?
ভাইয়াঃ কে?
ভাবিঃ তোমার ভাই? ও কিছু করতে পারে না। ফ্যামিলিটা কি শুধু তোমার একার নাকি?
ভাইয়াঃ আরে আজব, ও এখনো ছোট। পড়ালেখা করতেছে।
পড়ালেখা শেষ হোক তারপর তো ও চাকরি করবেই।
ভাবিঃ তাই বলে এতো বড় হয়েও বসে বসে খাবে?
ভাইয়াঃ দেখো ইশিতা, আব্বু যখন ইনকাম করতো তখন আমিও এই ভাবে বসে বসে খাইছি। পড়ালেখা শেষ করেই চাকরি নিয়েছি।
ভাবিঃ বাবার হোটেল আর ভাইয়ের হোটেল এক না।
ভাইয়াঃ তারমানে তুমি বলতে চাচ্ছো তুষারকে কাজ করতেই হবে।।
ভাবিঃ একদম কারেক্ট, বসে বসে খাওয়া চলবে না।
ভাইয়াঃ এই তুমি পাগল হয়ে গেছো, ও কি করবে এখন?
ভাবিঃ যেটা মন চায় সেটাই করুক বাট বসে বসে খাওয়া চলবে না।
আর তোমার আব্বু আম্মুকে কি শুধু আমরা খাওয়াবো নাকি?
ভাইয়াঃ মানে!
ভাবিঃ উনারা তো শুধু তোমার বাবা মা নয়,
তুষার  এরও।
সেই হিসেবে ওর ওতো অনেক দায়িত্ব আছে। তুষার কেও উনাদের খাওয়াতে হবে।
ভাইয়াঃ ওয়েট ওয়েট, তুষার  খাওয়াবে মানে কি? আমরা কি এখনো আলাদা হইছি নাকি??
তুষার  বিয়ে সাদি করে বউ নিয়ে আলাদা আছে???
ভাবিঃ দেখো এতো কিছু আমি বুঝি না, আমি সবার জন্য রান্না করবো না।
ভাইয়াঃ তোমার মাথা কি একেবারে খারাপ হয়ে গেছে?
ভাবিঃ হে হে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তুমি দেখছো না আমাদের সন্তান আসবে, ওর ওতো একটা ভবিষ্যৎ আছে।
ওর জন্য চিন্তা করা লাগবে না?
ভাইয়াঃ ইশিতা আমাদের সন্তান এখনো পৃথিবীতে আসে নি। সো এখন এগুলো নিয়ে কথা বলবে না। আরে আব্বু আম্মু আমার জন্য কিনা করেছে আর তুমি বলছো ওদের না খাওয়াইতে।
ভাবিঃ আমি তো একবারও বলিনি উনাদের খাওয়াবো না।
ভাইয়াঃ তাহলে কি বলতে চাচ্ছো?
ভাবিঃ খুব সিম্পল তুষার টাকা ইনকাম করে তোমার হাতে দিবে, তাহলেই সে এই বাসা খেতে পারবে।
ভাইয়াঃ ইশিতা ভুলে যেও না টাকা আমি ইনকাম করি তুমি না। সো কে খাবে আর কে খাবে না সেটা আমি ডিসাইড করবো।
ভাবিঃ ও আচ্ছা তার মানে এই বাসায় আমার কোনো দাম নেই, আমি উড়ে এসেছি।
ওকে ওয়েট আমি কালকেই বাবার বাড়ি চলে যাবো।
ভাইয়াঃ উলটো বুঝো কেন?
ভাবিঃ শোনো, আমি এতো কিছু জানি না। তুমি তুষারকে আর খাওয়াবে না, আর আব্বু আম্মুর জন্য জকেও টাকা দিতে হবে। নাহলে.....
ভাইয়াঃ নাহলে কি?
ভাবিঃ নাহলে আমি এই বাসা ছেড়ে চলে যাবো।
ভাইয়াঃ ওকে চলে যাও।
ভাবিঃ হুম যাবো, তবে একদিনের জন্য নয়। সারা জীবনের জন্য।
ভাইয়াঃ মানে!
ভাবিঃ তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে।
ভাইয়াঃ এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
ভাবিঃ তুমি আমার কথায় রাজি কিনা সেটা বলো।
ভাইয়াঃ কোন কথা?
ভাবিঃ তুষারকে আর একটা টাকাও দিবে না এন্ড সংসারের জন্য টাকা দিতে হবে।
ভাইয়াঃ এটা অসম্ভব।
ভাবিঃ ওকে তাহলে কালকে সকালে ১০ লাখ রেড়ি রাখবে। আমি চলে যাবো।
ভাইয়াঃ ১০ লাখ মানে? আমাকে বিক্রি করলেও তো ১০ লাখ হবে না। আর কিসের ১০ লাখ?
ভাবিঃ কাবিন, ১০ লক্ষ টাকা। রেড়ি রাখবে, দেখি তোমার গায়ে কতো চর্বি হয়েছে।
ভাইয়াঃ দেখো সে হুট করে চাকরি পাবে কই।
ভাবিঃ সেটা সে বুঝবে, তাকে নিয়ে তোমার চিন্তা করা লাগবে না। টাকা না দিতে পারলে বাসা থেকে বের করে দিবে।
ভাইয়াঃ এটা কি করে সম্ভব?
ভাবিঃ সব সম্ভব, আমি কথা বলার সময় তুমি শুধু চুপ থাকবে।
ভাইয়া আর ভাবির কথা শুনে আমার শরীর কাঁপতে লাগলো, আর এক সেকেন্ডও দরজার সামনে থাকলাম না। নিজের রুমে চলে গেলাম।
নিশিতাকে ভালোবাসার জন্য ভাবি এইভাবে শাস্তি দিবে কখনো কল্পনাও করিনি।
তবে আমি আরো আগে থেকে টের পেয়েছি ভাবি আমার আর আব্বু আম্মুর খাওয়াদাওয়া দেখতে পারে না। অনেক বার চাইছে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে। কিন্তু আব্বুর ভয়ে পারে নি।
এখন আব্বুর বয়স হয়ে গেছে, যেভাবে মন চায় সেভাবে বলছে। আব্বুকে ঘুম থেকে ডেকে এনে বলতে ইচ্ছা করছে
“দেখো তোমার শিক্ষিত বউমার আচরণ, তুমি না বলেছিলে বউ অনেক ভালো, তোমাদের অনেক সেবা করবে, এটাই কি ভালোর নমুনা। শুয়ে শুয়ে ভাবছি মেয়েরা মায়ের জাত সেজন্য কিছু বলতে পারি না। মাঝেমাঝে ইচ্ছা করে ভাবির দুই গালে দুইটা চড় বসিয়ে দিই। রাতে আর ঘুমালাম না, ছাদে গিয়ে বসে রইলাম। সকালবেলা নিশিতা ছাদে আসলো….
নিশিতাঃ এতো সকালে ছাদে, ঘুমাও নি?
আমিঃ না।
নিশিতাঃ কেন?
আমিঃ এমনিই।
তারপর নিশিতা আমার পাশে বসলো, আমার একটা হাত ধরে কাঁধে মাথা রেখে কথা বলতে শুরু করলো। নিশিতার এই রকম আচরণ দেখে আমার মনটা একটু হালকা হলো। নিশিতার সাথে কথা বলতেছি এমন সময় ভাবি আমাদের পিছনে এসে অনেক জোরে একটা চিল্লানি দিলো। ভাবির চিল্লানি দেখে নিশিতা ভয়ে কাঁপতে থাকে, চিৎকার শুনে ভাইয়া আব্বু আম্মু সবাই ছাদে আসে।
আব্বুঃ কি হইছে?
ভাবিঃ আপনার ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন।
ভাইয়াঃ আচ্ছা সবাই নিচে চলো, আশেপাশের সবাই তাকিয়ে আছে।
নিচে গেলাম। ভাবি কল দিয়ে উনার আব্বু আম্মুকে আসতে বললেন।
ততক্ষণ কেউ কোনো কথা বলছে না।
প্রায় ১ ঘন্টা পর ভাবির আব্বু আম্মু আসলো
আব্বুঃ এই তুষার কি হইছে?
আমিঃ আব্বু আমি নিশিতাকে ভালোবাসি,
আর নিশিতাও আমাকে।
ভাবিঃ মিথ্যা কথা, নিশিতা জীবনেও ওরে ভালোবাসেনি ও জোর করে নিশিতার সাথে.... ছিহ! ভাগ্যিস আমি ছাদে গিয়েছিলাম।
আমিঃ ভাবি আপনি এসব কি বলছেন?
ভাবিঃ সত্যি বলছি।
ভাইয়াঃ তোর লজ্জা করে না, এতো বড় হয়ে এখনো এগুলো করিস।
খাস তো বসে বসে, দুই টাকা তো এনে দিতে পারিস না। আবার এগুলো করে বেড়াস।
লজ্জা করে না তোর?
আমিঃ বাহ! তুই তোর বউয়ের কথা শুনে আমাকে এটা বললি?
তখন ভাবির আব্বা বলে…
আংকেলঃ বেয়াই সাব, আপনার বাসায় আমার ছোট মেয়েকে পাঠিয়েছি বড় মেয়েটাকে দেখার জন্য, আর আপনারা এই প্রতিদান দিলেন?
আব্বা কোনো কথা না বলে সোজা আমার সামনে এসে ঠাসস ঠাসস করে দুইটা চড় আমার গালে বসিয়ে দেয়।
বাবাঃ কুলাঙ্গার কোথাকার, এই জন্যই তোকে জন্ম দিয়েছি।
আমিঃ বাবা আপনি অন্তত আমাকে বিশ্বাস করুন। আপনি খুব ভালো করে জানেন আমি কেমন।
বাবাঃ দেখতেই তো পারছি কেমন ভালো। অন্যের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করিস।
আমিঃ ওকে ফাইন, আমি যেহেতু নিশিতার সাথে খারাপ কিছু করেছি আমিই নিশিতাকে বিয়ে করবো।
ভাবিঃ বিয়ে করবি মানে? তোর কাছে কে নিশিতাকে বিয়ে দেবে। অন্তত আমি বেঁচে থাকতে জীবনেও দিবো না।
আমিঃ কেন কি নেই আমার মাঝে?
ভাবিঃ তুই আরো বড় কিছু হলেও নিশিতাকে তোর হাতে তুলে দিবো না।
ভাইয়াঃ এখনো বসে বসে খাস, বিয়ে করার কথা মুখে আনতে লজ্জা করেনা?
আমিঃ তুই মনে হয় অনেক ইনকাম করে রাখছিস?


মাত্র এক বছর ইনকাম করেই তোর এই অবস্থা? আব্বা যে সারা জীবন তোকে বসিয়ে বসিয়ে খাইয়েছে?

তখন আম্মা এসে আমার মুখে আরো একটা চড় মারে,,,,

আম্মুঃ কুলাঙ্গার! তোর ভাইকে এই কথা বলতে তোর একটুও লজ্জা করলো না? যে তোকে খাওয়াই তাকেই তুই এই কথা বললি?
আমিঃ ওকে আমাকে আর খাওয়াতে হবে না। আব্বু আমি যেইটুকু সম্পত্তি পাবো আমারটা আমাকে বুঝিয়ে দেন। আমি নিশিতাকে বিয়ে করবো।
আব্বুঃ আমি মারা যাওয়ার পর যেটা ইচ্ছা সেটা করিস। এর আগে এক রত্তিও কেউ পাবি না।
ভাবিঃ দুই টাকার মরদ নাই আবার সম্পত্তি নিতে আসছে।
আমিঃ ভাবি আমার মাথা গরম করবেন না, তাহলে কিন্তু আমি ভুলে যাবো আপনি আমার ভাবি।
ভাবিঃ কি করবি তুই হে, কি করবি? মনে রাখিস তুই যতই চালাকি করিস না কেন, নিশিতাকে পাবি না।

আমি সোজা নিশিতার কাছে গেলাম, ওর ঝাঁকিয়ে দিয়ে বললাম,
- নিশিতা বলো তুমিও আমাকে ভালোবাসো, বিয়ে করতে চাও? বলে দাও নিশিতা,,
নিশিতা কয়েকবার ভাবির দিকে তাকালো তারপর না সূচক মাথা নাড়ালো, মুহূর্তেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
নিশিতার আব্বু বললো….
আংকেলঃ বেয়াই আপনার ছেলের এতো বড় সাহস আমার মেয়ের গায়ে হাত দেয়,
আমি কিন্তু দুজনকেই (ভাবি/নিশিতা) আমার বাসায় নিয়ে যাবো।
আর জীবনেও আসতে দিবো না আপনার বাসায়
আব্বু কোনো কথা না বলে আমাকে আরো কয়েকটা লাগিয়ে দেয়।
আমিঃ আব্বু নিশিতা মিথ্যা বলছে, ও ভাবির ভয়ে এমনটা করছে।
ভাবিঃ এই ফালতু এই, তোর মতো আমি এতো মিথ্যুক নই। আমার বোনের রুচি এতো টা খারাপ না যে তোকে বিয়ে করবে।
নিজেকে আর কন্ট্রোল রাখতে পারলাম না, ভাবির গায়ে হাত তুলে ফেললাম। হুম ভাবিকে চড় বসিয়ে দিলাম।
মুহূর্তেই সবাই অবাক হয়ে গেলো।
ভাবিঃ বাবা আমি আর এই বাসায় থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো (কাঁদতে কাঁদতে)
ভাইয়া আমার কান্ড দেখে ডাইরেক্ট আমার উপর আক্রমণ করে, একটা লাথি দিয়ে মারতে থাকে। একবারের জন্যও ভাইয়ার চোখের দিকে তাকাই নি।
যে ভাই জীবনে কোনো দিন আমার গায়ে হাত তুলে নি সেই ভাই আজকে ভাবির মিথ্যা কথা শুনে আমার গায়ে হাত দিল
আব্বু আর ভাইয়া দুজনেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিলো।

বের হওয়ার সময় ভাইয়াকে বললাম- একদিন সত্যিটা ঠিকই জানবি, মনে রাখিস আমাকে আর পাবি না।

আর কোনো কথা না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। আসার সময় ভাবির মুখে স্পস্ট হাসির চিহ্ন দেখলাম। ভাইয়ার আচরনে আমার কোনো দুঃখ নেই কিন্তু নিশিতা? নিশিতা আমার সাথে এমনটা করতে পারলো? আরে আমি তো অর জন্যই মার খেলাম, এতো অপমানিত হলাম। সত্যিটা বললে কি এমন হয়ে যেতো? বাসায় না থাকতে দিলে নাই, আমি নিশিতাকে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতাম। আসলে মেয়েদের চেনা জীবনেও সম্ভব না। স্বার্থের জন্য সব করতে পারে।
আমার সাথে নিশিতা এমন করবে আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। সে যদি সত্যি কথাটা বলতো তাহলে ভাবি ছাড়া সবাই পজেটিভ থাকতো। ওয়াদা করলাম আর জীবনে কোনো দিন ওই বাসায় গিয়ে থাকবো না, কোনো দরকার ছাড়া যাবো না। আর আব্বু আম্মু ছাড়া ওদের কারো সাথে কোনো দিন কথা বলবো না।

বাসা থেকে বের হয়ে একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে বসে রইলাম। বসে বসে কান্না করতেছি এমন সময় কেউ একজন আমার কাঁধে হাত রাখে। পেছনে তাকাতেই….

To be Continue………

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।