আপুর বান্ধবী যখন বউ - পর্ব (১৭)



তারপর নিচ থেকে বাবা মা আংকেল আন্টি তানিশা দুলাভাই সবাই আসলো।আন্টি  তো চিৎকার দিয়ে কান্না করতে শুরু করেছে।
আংকেল কোন কথা বলতে না।
বাবা ঃ কিরে আমিরুল কি হয়েছে, তোর মাথায় রক্ত আবার আরিফা নিচে পরে আছে কারণ কি, তোরা কি ঝগড়া করেছিস ।
আংকেল ঃ হাসপাতালে নিয়ে চলো, তারাতাড়ি মনে হয় ওরা দুজন মারামারি করেছে।
আমি ঃ আংকেল তেমন কিছু না, আসলে হটাৎ করে আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিল তখন মাথায় আঘাত লাগার কারণে রক্ত বের হয়, আর তা দেখে আরিফা অচেতন হয়ে গেছে।
মা ঃ তানিশা তুই নিচ থেকে পানি নিয়ে আয়, এদের কে নিয়ে আর পারা গেল না, এরা ছবির চেয়ে নাটক বেশি করে।
তানিশা পানি আনলো এদিকে আন্টি কেঁদেই যাচ্ছে।
চোখে পানি দেওয়ার পর হুস ফিরল।
আরিফা ঃ আমিরুল কোথায়।
আমি ঃ এইখানেই আছি ।
আরিফা ঃ তোমার মাথা থেকে রক্ত পরা বন্ধ হয়েছে,
আমি ঃ না এখনো একটু একটু ব্যাথা করছে আর হালকা রক্ত পড়ছে।
আরিফা ঃ চলো তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়, আমার কারণে তোমার মাথা কেটে গেছে।
আমি ঃ চুপ করো, বাসায় হালকা চিকিৎসা করলেই হবে, এত ইমার্জেন্সি না।
বাবা ঃ না হাসপাতালে চল, অনেক রক্ত পরেছে।
আংকেল ঃ ঠিক বলছেন।
আন্টি ঃ আমার মনে হয়, আরিফা তোমাকে ধাক্কা দিছে, তখন মোবাইলে শুনলাম তো আরিফা তোমাকে মারে।
আমি ঃ না আন্টি ও আমাকে মারেনি।
মা ঃ তাহলে পরে যাবি কেন।
আমি ঃ আরিফা দৌড়ে আমার কাছে আসছিলো তখন নিজেকে সামলে রাখতে পারেনি তখন আমার উপর পরে গেছে, আর আমি মাটিতে পড়ে গেছি, এই আরকি।
তানিশা ঃ আচ্চা এসব কথা বাদ দাও, এখন ডাঃ কে ফোন দিয়ে আনো আর মাথাটা ব্যেন্ডেস করো, তাহলে ঠিক হয়ে যাবে।
দুলাভাই ঃ তানিশা একদম ঠিক বলছে বাবা, এখন একটু চিকিৎসা করলেই ঠিক হয়ে যাবে।
তারপর আর কথা বাড়ালাম না, ডাঃ এসে কিছু ঔষধ দিয়ে গেল , আর মাথাটা ব্যেন্ডেস করে দিলো।
সন্ধ্যায় আংকেল আন্টি আরিফা কে বলছে এখন চল বাসায় যায়।
আরিফা ঃ আমিরুল কে এইভাবে রেখে যাওয়াটা ঠিক হবে না বাবা।
বাবা ঃ আরিফা আগে তুমি তানিশার বান্ধবী হয়ে ছিলে, কিন্তু এখন তো তোমার সাথে আমিরুলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে, তাই তোমাকে এখন তো বাসায় যেতে হবে।
আরিফা ঃ আমি তো ভেবেছিলাম যে আমিরুল কে সাথে নিয়ে শপিং করবো।
আংকেল ঃ আমিরুল দুদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যাবে তখন করিস।
আমি ঃ আরিফা ধারাও ।
আরিফা ঃ আমি জানতাম তুমি আমাকে যেতে দিবে না।
আমি ঃ তুমি একটু ধারাও আমি আমার রুম থেকে আসছি।
তারপর রুমে গিয়ে একটা লাগেজ নিয়ে এলাম।
আমি ঃ আরিফা এখানে তোমার বিয়ের সব কিছু কেনা আছে।
আরিফা ঃ সব কিছু মানে মেয়েদের কি কি লাগে তুমি কিভাবে জানবে।
আমি ঃ শপিং করার সময় আমার সাথে একটা মেয়ে ছিলো
যেই মেয়েটার সামনে তুমি আমাকে মেরে ছিলে।
আরিফা ঃ তুমি কি রূপার কথা বলছো।
আমি ঃ বাহ তোমার দেখছি নামটাও মনে আছে, হ্যা রূপা ছিলো সাথে।
আরিফা ঃ আমার ইচ্ছে ছিলো নিজের হাতে শপিং করবো।
আমি ঃ এখানে তোমার আংকেল আন্টির জন্য সব কিছু আছে,
বাবা ঃ এই ধারা ধারা তুই বিয়ের আগেই শশুর বাড়ির জন্য এত কিছু আনলী অথচ আমাদের জন্য আনলিনা ।
আমি ঃ আনবো না, কারণ তানিশার বিয়ের সময় তুমি আমাকে বলনি।
মা ঃ তাহলে ঘরে আর দুইটা লাগেজ কার কার জিনিস এনেছিস।
আমি ঃ একটা আমার জন্য আরেকটা বন্ধুদের জন্য।
মা ঃ কাজটা কিন্তু ঠিক করলি না।
আমি ঃ তোমরাও কাজটা ঠিক করোনি।
তানিশা ঃ হয়ছে হয়ছে, তোর জিনিস কেউ চাইছে নাকি।
আমি ঃ আরিফা এখন বাসায় যাও।
আরিফা ঃ ঠিক আছে আগামীকাল আবার আসবো।
আমি ঃ না, বিয়ের আগে আর আসার দরকার নেই।
আরিফা ঃ তাহলে তুমি আমাদের বাসায় যাবে।
আমি ঃ সেটা দেখা যাবে।
তারপর আরিফা চলে গেলো, মনে হয় রাগ করেছে, যেতে চায়নি, এক প্রকার জোর করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাসায় গিয়ে ফোন করে বলো যে বাসায় গিয়েছে।
এভাবে দুইটা দিন কেটে গেলো,
বাবা ঃ আমিরুল তুই বাসায় থাক আমরা শপিং করতে যাবো।
আমি ঃ শপিং করতে যাবে মানে ।
বাবা ঃ আমাদের তো কেনাকাটা করার প্রয়োজন তা ছাড়া আমার একটা মাত্র ছেলে সব কিছু তো চমৎকার হতে হবে।
আমি ঃ ধারাও তোমাদের ব্যাগ নিয়ে যাও। এইটা তোমাদের ব্যাগ এখানে তোমাদের যা দরকার সবি আছে।
মা ঃ তাহলে ঐ দিন তাহলে না করলি কেন।
আমি ঃ এমনি, করেছিলাম, এখানে তানিশার দুইটা শাড়ি আর দুইটা জামা আছে সব কিছু ম্যাচিং করে কেনা, তানিশা আর আরিফার সব কিছু রূপা কিনেছে।
আর তোমাদের দুজনের সব কিছু আমি কিনেছি।
বাবা ঃ গায়ে হলুদের সব কিছু কিনেছিস।
আমি ঃ না, গায়ে হলুদের সব কিছু সবাই মিলে কিনবো।
বাবা ঃ তাহলে  সবাই মিলে গায়ে হলুদের কাপড় চোপড় তা লাগে সব কিছু কেনাকাটা করি।
মা ঃ সব কিছু আবার নতুন করে কিনবো।
বাবা ঃ আমিরুল যেহেতু একবার কিনেছে তাহলে আর আমার কেনার কি দরকার।
মা ঃ আমি আমার ছেলের জন্য আবার সব কিছু কিনবো তোমার কোন সমস্যা আছে।
বাবা ঃ ঐ ওর নিজের পছন্দ মত কিনেছে এখন আবার লাগবে নাকি।
মা ঃ বেশি কথা বললে রাতের খাবার বন্ধ করে দিবো।
বাবা ঃ আমি কি না করেছি, আমি বলেছি তোমার ছেলের ইচ্চাটাকে মেনে নিতে।
মা ঃ টাকা খরচ করতে ভয় পাচ্ছো তা ভালো করেই জানি।
আমি ঃ ঠিক আছে চলো   ।
মা ঃ আমিরুল তুই একটু আরিফাদের ফোন করে দেখ তো ওরা কি বের হয়েছে নাকি।
আমি ঃ এখানে আবার ও আসছে কেন।
বাবা ঃ দুই পরিবার একসাথে শপিং করবে, তাই তো আমার চিন্তা হচ্ছে।
মা ঃ এই তুমি টিপ্টামী বন্ধ করো তো।
তানিশা ঃ মা আমরা রেডি চলো বের হয়।
মা ঃ আমিরুল ফোন করে দেখ ওরা কখন বের হয়েছে কিনা।
তানিশা ঃ বের হয়েছে আমার সাথে কথা হয়েছে, তোমার ছেলেকে আরিফা ফোন দিয়েছিল নবাব জাদা ফোন ধরেনি।
আমি ঃ মিথ্যা বলিস কেন আমাকে ফোন দিলো কখন।
এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো।
তানিশা দরজা খুলে দিলো।
তানিশা ঃ আরে এত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি, মা আরিফা আর আংকেল আন্টি চলে এসেছে।
তারপর সবাই মিলে কথা বলছে, হাসাহাসি করছে।
আরিফা চোখে ইশারা করছে আমাকে আমার রুমে যেতে।
আমি ঃ মা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
মা ঃ ও হ্যা তুই তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে।
আমি  আমার রুমে এলাম বাথরুমে গিয়ে গোসল করে বের হয়ে দেখি আরিফা আমার রুমে এসে বসে আছে।
আমি  ঃ কি ব্যপার তুমি এখানে।
আরিফা ঃ ঐ তোর সমস্যা কি রে, তুই আমার ফোন রিসিভ করিস না কেন।
আমি ঃ কি বলছো এসব , আমি আবার কখন তোমার ফোন রিসিভ করলাম না।
আরিফা ঃ ফোন চেক কর।
আমি ফোন চেক করে দেখি ২৯ কল।
আমি ঃ আসলে ফোনটা সাইলেন্ট করি ছিলো।
আরিফা ঃ এবার বল তকে কি করব, মারতে পারবো না, কানধর,।
আমি ঃ কান ধরবো কেন।
আরিফা ঃ আমি বলছি তাই, ফোন না ধরার শান্তি।
আমি ঃ পারবো না।
আরিফা ঃ তাহলে গালে একটা দিবো।
আমি ঃ দাও দেখি তোমার কত বড় সাহস, তুমি দিবা আর আমি কানাডা চলে যাবো।
আরিফা ঃ কি এত বড় সাহস আমাকে ছেড়ে কানাডা যাওয়া , যাওয়াচ্ছি ।
বলেই আমাকে বিছানায় ফেলে দিলো,
ইচ্ছা মত কিস করলো,
তারপর ছাড়লো।
আমি ঃ এইটা কি হলো।
আরিফা ঃ এইটাই তোমার শাস্তি, আর কখনো ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে তোমাকে জীবনের মত শেষ করে ফেলবো আর আমিও শেষ হয়ে যাবো।
আমি ঃ ঠিক আছে আর বলবো না, এইবার তোমার মুখ পরিষ্কার করে আসো বাথরুম থেকে মুখে তো লিপস্টিক বড়ে আছে।
আরিফা একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলল তোমার মুখেও ।
আমি ঃ তুমি আগে পরিস্কার করে আসো, আর তারপর আমি করছি।
আরিফা ঃ ঠিক আছে।
তারপর রেডি হয়ে বসার রুমে এলাম,
মা ঃ চলেন এবার বের হয়।
আন্টি ঃ ঠিক বলছেন।
এখন গাড়িতে উঠার পালা
আমি ঃ আংকেল আমরা একটা গাড়ি দিয়ে যায়, আর আপনারা একটা দিয়ে।
বাবা ঃ ফাইজলামি করিস। আমরা সব বয়সী একসাথে যাবো, তরা চারজন একসাথে যা ।
তানিশা ঃ ঠিক বলছো বাবা তোমরা একটা দিয়ে যাও আমরা একটা দিয়ে।
তারপর তানিশা প্রথমেই গাড়িতে উঠে পরে,
আমি ঃ কি তানিশা তুই আরিফার সাথে বসে থাক।
দুলাভাই ঃ আমি আমার বউকে ছাড়া যাবো কেন।
তানিশা ঃ এই তুমি সামনে আসো, তুমি আমার পাশে বসে ড্রাইভ করবে দুজন মিলে রোমান্টিক ভাবে যাবো,
আমি ঃ ঠিক আছে যাও কোন সমস্যা নাই, যেতে পারো,।
আরিফা ঃ আমিরুল তুমি এমন করছো কেন।
আমি ঃ কোথায় কেমন করছি ।
আরিফা ঃ এখানে চুপ করে বসো।
আমি ঃ ঠিক আছে বসছি।
তারপর চুপচাপ বসে আছি কোন কথা নেই।
শপিং শুরু করলো আমার জন্য সাধা একটা পাঞ্জাবী ।
আরিফার জন্য হলুদ রঙের একটা শাড়ি।
এভাবে সবার জন্য ম্যাচিং করে কিন লো।
আরিফা ঃ আমিরুল তুমি পছন্দ করে একটা শাড়ি কিনে দাও।
আমি ঃ তোমাকে নীল রঙের শাড়িতে বেশ মানাবে।
আরিফা ঃ তাহলে কিনে দাও।
একটা শাড়ি বের করে কিনে দিলাম।
শপিং শেষ।
বাবা ঃ চলো সবাই কিছু খেয়ে নেয়।
আংকেল ঃ আমারো খুদা লাগছে।
আরিফা ঃ সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করবো।
আমি ঃ আংকেল  শপিং তো এখনো শেষ হয়নি।
আংকেল ঃ কেন সবার জন্য তো কেনা হয়েছে।
আমি ঃ কেউ কি বাদ যায়নি।
আরিফা ঃ না সবার জন্য কেনা হয়েছে।
আমি ঃ আপনার এতিমখানার বাচ্চাদের জন্য কিনেছেন।
আরিফা ঃ সরি সরি একদম ভুলে গেছি।
আংকেল ঃ আমিও ভুলে গিয়েছিলাম।
আরিফা ঃ তোমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় চলে যাও, আমি আর আমিরুল বাচ্চাদের জন্য শপিং করে দিয়ে আসবো ।
দুলাভাই ঃ আমিরুল তাহলে গাড়ির চাবি তোমার কাছে রাখো।
আরিফা ঃ মা বাবা তোমরা আমার এগুলো নিয়ে যাও, আমিরুল তোমার কাপড় গুলো আংকেল আন্টির কাছে দিয়ে দাও।
আমি ঃ এই তানিশা কেটে ভাত খা এই গুলো তুই নিয়ে যাবি।
দুলাভাই ঃ আমি নিয়ে যায়।
আমি ঃ আপনারা দুজন মিলে নিয়ে যান।
এরপর আমরা আলাদা ভাবে শপিং করতে শুরু করলাম।
চার ঘন্টা পর শেষ হলো, আরিফা সব বিল দিলো।
আরিফা ঃ চলো এবার কিছু খেয়ে নেয়।
আমি ঃ এগুলো দিয়ে তারপর খাওয়া দাওয়া করবো।
আরিফা ঃ কিন্তু এগুলো নিয়ে যাবো কিভাবে অনেক গুলো।
আমি ঃ ধারাও দেখছি কি করা যায়।
তারপর মিজান কে ফোন দিলাম।
আমি ঃ কিরে কয় তুই।
মিজান ঃ কে আমিরুল।
আমি ঃ হুম।
মিজান ঃ দেশে কবে এলি।
আমি ঃ কয়েকদিন হয়েছে ।
মিজান ঃ কয়েক দিন ধরে আসছিস অথচ এখন ফোন দিলি তুই কিরে মানুষ নাকি বেইমান ।
আমি ঃ অপরাধ যেহেতু করেছি তো সাজা যা ইচ্ছা দিতে পারিস, তুই এখন শপিং মলে আয় আমি ট্রিড দিবো।
এভাবে সাইদ কেউ আনলাম।
সাইদ ঃ কিরে কেমন আছিস,।
আমি ঃ ভালো আছি তুই কেমন আছিস।
এমন সময় মিজান আসলো
আমি ঃ তোরা এই গুলো নিতে আমাদের কে একটু সাহায্য কর।
মিজান ঃ তার মানে সার্ত ছাড়া আমাদের ফোন দেসনি।
আমি ঃ এই গুলো নিয়ে চল ।
তারপর আর কোন কথা বলল না।
দুইটা রিক্সা নিয়ে যেতে থাকলাম।
রিক্সা থামলো।
আরিফা ঃ চলেন ভিতরে যায়।
তারপর সব কিছু দেখে মিজান আর সাইদ কোন কথা বলছে না।
আমি ঃ চল এখন খেতে যায়।
মিজান ঃ দোস্ত তরে ভুল বুঝেছিলাম।
সাইদ ঃ আমি মনে মনে পুরোটা রাস্তা তরে কিস্তি দিয়ে আসছিলাম।
আমি ঃ বাদদে তো।
আরিফা ঃ আজকে আমি ট্রিট দিবো।
আমি ঃ আমি দিবো।
সাইদ ঃ আপনাদের দুজনের ট্রিট আমরা গ্রহণ করলাম।
মিজান ঃ আমিও খাবো।
আমি ঃ মিজান আর সাইদ তরা দুজন তোদের পুরো পরিবারকে নিয়ে সামনের শুক্রবার আমাদের এখানে থাকবি, আর তার আগে তরা আমার বাসায় আসবি, আমাদের বিয়ে শুক্রবারে।
সাইদ ঃ তাইলে তো আজকে ডাবল ট্রিট দিবি।
মিজান ঃ দুইজন খাওয়াবে তাহলে তো ডাবল হলো।
এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে ওরা দুজন চলে গেলো।
আমি আর আরিফা বসে আছি।
আরিফা ঃ এখন আমার হাত ধরে হাঁটবে ।
আমি ঃ দাও হাত দাও।
তারপর হাট হাঁটতে আরিফার বাসায় চলে এলাম, আরিফা খাওয়া দাওয়া করে যাও।
আমি ঃ কি খাওয়াবে।
আরিফা ঃ কি খাবে ।
আমি ঃ ঐটা দিবে।
আরিফা ঃ এখানে কেন রাস্তায় যখন ছিলাম তখন বলতা।
আমি ঃ ঠিক আছে, এখন চলি পরে কথা হবে।
আরিফা ঃ এদিক সেদিক তাকিয়ে দিলো একটা কিস।
আমি ঃ এবার ছাড়ো।
আরিফা ঃ আরো লাগবে।
আমি ঃ না, বাসর ঘর পর্যন্ত চার্জ হয়ে গেছে।
বাসায় এলাম,
মা ঃ আমিরুল এদিকে আয়।
আমি ঃ কি ।
বাবা ঃ আগামীকাল আমার সাথে আমার অফিসে যাবি ।
আমি ঃ কেন।
বাবা ঃ ব্যবসার কাজ বুঝে নিবি তাই।
আমি ঃ এখনি।
বাবা ঃ দুদিন পর বিয়ে, বেকার হয়ে বিয়ে করার দরকার কি।
আমি ঃ কিন্তু অফিসের অর্ধেক তো তানিশা তাহলে ওর জামাই কেও সাথে নিয়ে যাবো।
তানিশা ঃ আমি বাবার সম্পত্তি চাই না, তবে মায়ের সম্পদ আমার জন্য ঐ টাতে হাত দিবি না। আমি সময় হলে চেয়ে নিবো।
আমি ঃ মা দেখছো তোমার সম্পদ থেকে কিভাবে বঞ্চিত করছে।
মা ঃ কিছুই করার নেই, তোমারটা তুমি বুঝে নাও।



চলবে.............

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।