২১ বছরে পদার্পন করেছে দুই ভাই। ভার্সিটির হোস্টেলে ছেলে ও মেয়ের আবাসিক হল।
দুইভাই মন দিয়ে লেখাপড়া করছে।
আজ পহেলা ফাল্গুন। দুইভাই বেশ জাকজমক পোশাক পরে গায়ে একটু সুগন্ধি স্প্রে দিয়ে ক্লাসে গেলো।
আকাশ নিশাতকে বললো, তুই ক্লাসে রওনা দে আমি আসছি।আকাশ মা বাবার আত্মার মঙ্গল কামনার জন্য প্রতিদিন সকালে দুইটা ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিতো।
হঠাৎ নিশাতের বুক চিনচিন করে উঠলো ব্যাথায় কুকড়ে গেলো পাশে কাউকে দেখতে পারছেনা একবার আস্তে আওয়াজ দিলো আকাশ,
আকাশ তো দুরে শুনতে পারিনি বোধয়
চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া উপক্রম এমন সময় আলতো কোমল ছোয়ায় কে যেনো নিশাতকে স্পর্শ করলো তার ওড়নার আচলের ভাজে।
ওড়না সরিয়ে আরে আরে আপনার কি হয়েছে??
আর ইউ ওকে!!!!
এদিকে বসুন আপনার মনে হয় শরীর খারাপ লাগছে??
আপনার পরিচিত কেউ???
ইতোমধ্যে আকাশ উপস্হিত হলো নিশাতের কাছে,কি হয়েছে নিশাত তোর,
বললো ও কিচ্ছুনা কেমন একটা ব্যাথা অনুভব হলো যেনো??
নিশাতের ভিতর অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ও কোন মেয়েকে সহ্য করতে পারতো না,
আকাশ ধন্যবাদ জানালো মেয়েটিকে।
হাই,
আমি নিধিয়া কামরান।
হেলো,
আমি আকাশ।ও আমার ভাই নিশাত।
মেয়েটি বললো ওনি বোধয় অসুস্হ্য ওনাকে রুমে নিয়ে যান রেস্ট নিলে আরাম বোধ করবে।আকাশ নিশাতকে নিয়ে চলে গেলো রুমে। আধাঘন্টা পর নিশাত জেগে উঠলো।
কি রে তোর তো কপাল অনেক ভালো।
সুন্দরী মেয়ে তোকে কাধে নিয়ে বসিয়েছে
হোয়াট?????
স্টুপিডের মত কথা বলিস কেন।
আরে হে রে ঠিক বলছি। কি যেনো মেয়েটা দা--ড়া
ও নিধিয়া কামরান।
ওই মেয়েটাই তো তোকে পড়ে যেতে দেখে কাধে নিয়ে বসিয়েছে ক্লাবে।
দেখ মশকরা করবি না আমি মেয়ে টেয়ে মোটেও পছন্দ করিনা।
বুঝলি তুই।
আই হ্যাটস দেম।
আচ্ছা নিশাত শোন কি হয়েছিলো তোর বলতো,
জানি না রে বুকে কেমন একটা বিষময় ব্যাথা মনে হচ্ছিলো কেউ বোধয় আমার কলিজাটা দুই আধাখানা করে দিলো।
আচ্ছা নে তুই রেস্ট নে। আজ আর ক্লাসে যেয়ে লাভ নেই।আমি বাইরে একটু ঘুরে আসি।
উঠিস না যেনো চুপ করে রেস্ট নে।
এতো বইয়ের ভিতর মাথা গুজে রাখিস না তো।
বলেই বেরিয়ে গেলো আকাশ।
দু একটা সিগারেট খাই বই কি আকাশ।
কি যেনো ভাবে আর সিগারেট টান দেয়।
পিছন থেকে আরে আপনি সেই কি যেনো ও আকাশ না???
কোনরকম সিগারেট ফেলে আকাশ আরে আপনি এখানে যে??
হ্যা আমি প্রতি রাতেই এখানে আসি চাদকে একা গোপনে দেখবো বলে তা আপনি এখানে কেন???
না মানে মা.....নে ও বুঝেছি আর মানে মানে করতে হবেনা। পিছনে পড়ে থাকা সিগারেটের এক টুকরা ফেলে দেয়া অংশটি তুলে নিধিয়া বললো এই বেপার।
সিগারেট খাওয়া স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
জেনে শুনে না খাওয়াই উত্তম।
হ্যা। ঠিক বলেছেন।
যাই হোক সকালে তো জানতেই পারলাম না আপনি এবার কোন ইয়ারে কি বিত্যান্ত।
আমি ফাস্ট ইয়ারে নতুন ভার্সিটিতে।
আপনারা? এই তো গত বছর। আমরা ডিগ্রী নিয়ে এসেছি কলেজ থেকে।
আপনি তো খাটি বাঙ্গালি।
জ্বি।
আমরাও।
তা ওনার নাম কি যেনো....
নিশাত....
হ্যা ও রুমে রেস্ট নিচ্ছে।
আচ্ছা আমরা আপনি থেকে তুমি বলতে পারি??
আকাশ উত্তর দিলো হ্যা অবশ্যই।
অনেক কথা হলো গল্প হলো দুইজনে ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেলো।
রাত অনেক হলো। এত রাত পর্যন্ত ছাদে থাকলে সার ম্যামে আবার প্রবলেম করবে।
দুইজন রুমে চলে গেলো।
কিরে নিশাত আমি যা ভেবেছি তাই।
আচ্ছা কিরে তুই,
তুই কি একটু নিজেকে নিয়ে ইনজয় করবিনা।
সবসময় বইয়ের ভিতর..... উফ বাবা পারিসও বটে।
বাইরে কত কি সুন্দরী মেয়েরা আহা কিন্তু সবগুলে বিলাতি চামড়া।একটাও দেশী না।
এই জানিস ওই যে ওই মেয়েটা নিধিয়া ওর সাথে না আবার দেখা হলো ছাদে।
বেশ ভালো রে মেয়েটা।
আহা কি সুন্দর করে কথাগুলো বলছিলো....
যানা প্রোপস করে ফেল। প্লিজ কানের গোড়ায় এইগুলো বলা স্টপ কর।
বিরক্ত লাগে।আচ্ছা তোকে কতবার বলবো কোন মেয়েলি কাহিনি আমার কাছে বলবিনা।
দরজায় নক দিলো।
আপনাদের খাবার রেখে দিলাম।
কাজের বুয়া চলে গেলো।
নে খেয়ে নে আর কোথাকার কোন মেয়ে তাকে নিয়ে আমার কানের গোড়ায় কিচ্ছু বলবিনা কিন্তু।
নিশাত একটু জোরেই রেগে বললো।
পরদিন সকালে ক্লাস...
কি রে আর মাত্র পাচমিনিট দেরি এখনো ঘুম থেকে উঠিস নি,
আকাশকে আহা হা করছে স্বপ্নে বোধয় কোন মেয়ের সাথে প্রেমের গল্প করছে।
তুই কি উঠবি।এই আকাশ এই আকাশ উঠ বলছি।
দাড়া গরম পানি আনছি।
আকাশ পড়ি কি মরি এক লাফেই উঠে পড়লো।দিলি তো ঘুমের বারোটা বাজিয়ে.......
কি সুন্দর রে মেয়েটা আমার হাতে একটা গোলাপ দিলো।
এই থামতো বিগত ২ বছর ধরে তোর এই স্বপ্নটাই শুনে আসছি, কখনো শুনলাম না তুই কাউকে গোলাপ দিয়েছিস।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
ক্লাসে সময় হয়ে গেলো।এই তো চল চল আরে তোর প্যান্ট কই, আন্ডার প্যান্ট পড়েই কি ক্লাসে যাবি।
চল চল গোলাপ না মেয়েরা স্বপ্নে এসে দিয়ে যাই এবার গোলাপের কাটা ছুড়ে মারবে তোর এই হাল দেখে
অনেক হাসলো নিশাত।
তাড়াতাড়ি করে দুইভাই রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়লো ক্লাসে। আরো জোরে আয় তো??
পিছন ফিরে কথা বলতেই সামনে ধপ করে এক ধাক্কা অনেকগুলো বই আর খাতার পৃষ্টা বাতাসে উড়ছে, সবকিছুর মাঝে একটা সুন্দর চাদের মতো একটা মুখ। খুবই তাড়াহোড়ায় কাগজগুলো একসাথে গোছাচ্ছে। আরে মশায় দেখে চলতে পারেননা আপনি। চুপ করে হা করে দেখছে মেয়েটিকে। মেয়েটির কোন কথায় নিশাতের কান পর্যন্ত পৌছালো না। ইশ আমার আজ অনেক দেরি তারউপর আবার আপনি সব ফেলে দিলেন সব কাগজ গুছিয়ে একটা হাতের তুড়ি দিলো নিশাতের মুখের সামনে নিশাত হকচকিয়ে ভ্রু দুইটা কুচকিয়ে আওয়াজ দিলো।। দেখে চলতে পারেননা?? ছেলে মানুষ দেখলেই গায়ের উপর চাপতে হয়। আরে হে ইউ আপনি আমাকে ধাক্কা দিছেন হাম? আমি না বুঝেছেন?? একটু অবাক হয়ে উত্তর দিলো নিধিয়া। বাই দ্য ওয়ে আপনি না নিশাত। আকাশ বললো পরে কথা বলবো কেমন??? চল চল ক্লাসে। নিধিয়া বিরবির করে বলছিলো আচ্ছা লোক তো রে বাবা?? নিজেই ধাক্কা দিয়ে আবার আমাকেই উল্টা কথা শোনাচ্ছে। দুর ছাই সকালটা যে কার মুখ দেখে শুরু করেছিলাম কে জানে!!! ক্লাস শেষে আকাশ বললো আচ্ছা নিশাত তুই কি কখনো নরম হয়ে কথা বলতে পারিস না মেয়েদের সাথে। না পারিনা, মেয়ে দেখলে আমার মাথায় আগুন ধরে যাই। আচ্ছা শোন সকালের ওই মেয়েটাই কিন্তু তোকে সেইদিন......... থাক বুঝেছি আমাকে একটু কেয়ার দেখিয়ে মহাভারত কিনে নিয়েছে।
পিছন ফিরে কথা বলতেই সামনে ধপ করে এক ধাক্কা অনেকগুলো বই আর খাতার পৃষ্টা বাতাসে উড়ছে, সবকিছুর মাঝে একটা সুন্দর চাদের মতো একটা মুখ। খুবই তাড়াহোড়ায় কাগজগুলো একসাথে গোছাচ্ছে। আরে মশায় দেখে চলতে পারেননা আপনি। চুপ করে হা করে দেখছে মেয়েটিকে। মেয়েটির কোন কথায় নিশাতের কান পর্যন্ত পৌছালো না। ইশ আমার আজ অনেক দেরি তারউপর আবার আপনি সব ফেলে দিলেন সব কাগজ গুছিয়ে একটা হাতের তুড়ি দিলো নিশাতের মুখের সামনে নিশাত হকচকিয়ে ভ্রু দুইটা কুচকিয়ে আওয়াজ দিলো।। দেখে চলতে পারেননা?? ছেলে মানুষ দেখলেই গায়ের উপর চাপতে হয়। আরে হে ইউ আপনি আমাকে ধাক্কা দিছেন হাম? আমি না বুঝেছেন?? একটু অবাক হয়ে উত্তর দিলো নিধিয়া। বাই দ্য ওয়ে আপনি না নিশাত। আকাশ বললো পরে কথা বলবো কেমন??? চল চল ক্লাসে। নিধিয়া বিরবির করে বলছিলো আচ্ছা লোক তো রে বাবা?? নিজেই ধাক্কা দিয়ে আবার আমাকেই উল্টা কথা শোনাচ্ছে। দুর ছাই সকালটা যে কার মুখ দেখে শুরু করেছিলাম কে জানে!!! ক্লাস শেষে আকাশ বললো আচ্ছা নিশাত তুই কি কখনো নরম হয়ে কথা বলতে পারিস না মেয়েদের সাথে। না পারিনা, মেয়ে দেখলে আমার মাথায় আগুন ধরে যাই। আচ্ছা শোন সকালের ওই মেয়েটাই কিন্তু তোকে সেইদিন......... থাক বুঝেছি আমাকে একটু কেয়ার দেখিয়ে মহাভারত কিনে নিয়েছে।
আচ্ছা তুই এভাবে বলছিস কেনো বল,মেয়েটা কি দোষ করলো ধাক্কা তো তুই দিলি তাইনা।
তুই ও........ শুরু করলি মেয়েদের মতো প্যানপ্যানানি।
যাই বলিস মেয়েটা কিন্তু অনেক ভালো মনের।
যানারে প্রেমনাগর মেয়েটার কাছে গিয়ে প্রেম নিবেদন কর।
দুর কি বলিস আমি আর ও ফ্রেন্ড জাস্ট ফ্রেন্ড
হইছে।
শোন আগামী পরশু একটা ট্যুর আছে ভার্সিটি থেকে
সবাই যাচ্ছি কেমন।
না না ওইসব ট্যুর ফুর আমার দ্বাড়ায় হবেনা।
কামান ম্যান একটু বাইরে তাকিয়ে দেখ সব জোড়ায় জোড়ায়।
কেবল তুই একটা সন্নাসী।
শোন,যাচ্ছি তো যাচ্ছি বুঝলি।
আগের বারে তুই বাস খাদ থেকে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলি এবারো হতে পারে এরকম কিছু ঘটলে রক্ষা করতে পারবি তো না কি বল।
যদি আমি মারা যাই তাও তো লাশ.......
চুপ একটা কথাও বলবিনা তোকে কতবার বলেছি আমার সামনে তোর মরার কথা না বলতে
না বললে তো শুনিসো না।
দুইভাই জড়িয়ে কাদতে থাকলো।
তুই ছাড়া আর কে আছে বল আমার।
আচ্ছা বাবা যাবো আর কখনো এইসব মুখে আনবিনা।
চল কাল ক্লাস আছে।
নে ঘুমা এখন।
তুই ঘুমাবিনা না আমার অনেক পড়া বাকি আছে।
নিশাত একটা সাদা পৃষ্ঠায় এক সুন্দরী নারীর ছবি একে ফেললো সাথে একটা ছেলেও।আরে বাহ রে
এতো তুই আর মেয়েটা কোথায় যেনো দেখেছি....
দেখেছি...
ও নিধিয়া দেখ দেখ অনেকটা নিধিয়ার মতো।
কিরে তুই।
এই থামতো।দাড়া এখনি ছিড়ে ফেলছি।
না না পৃষ্ঠাটা আকাশ কেড়ে নিয়ে লুকিয়ে ফেললো নিজের খাতার ভিতরে।
নিশাত পড়ায় মন দিলো আবারো।
আকাশ ছাদে উঠলো।নিচ থেকে অনেকগুলো মাথা দেখা যাচ্ছিলো মেইন গেট থেকে।
ও বুঝতে পারলো না উপর থেকে।বিল্ডিংটা ১৮ তলায়।
ও রুমে এসে নিশাতকে বললো।
বাইরে না মনে হচ্ছে অনেকগুলো ছেলে কোন মেয়েকে ডিস্টার্ব করছে।
চলতে দেখি বেপারটা কি।
।দুইভাই
ঝাপ দিয়ে চলে গেলো নিচে।আরে ও তো নিধিয়া চল চল।
নিশাত দাড়িয়ে রইলো চুপ করে।
আকাশ গিয়ে বললো কারা তোরা এইভাবে মেয়েদের বিরক্ত করিস।
কেন রে
ভোলানাথ তোর বুঝি দরদ লাগে।
উত্তর দিলো টনি
টনি হলো ভার্সিটির ছাত্র।
কেউ ওর ভয়ে কিচ্ছু বলেনা
টনি একটা মস্তান।কেউ যদি ওর বিরুদ্ধে কিছু বলে তাহলে ওর জান নিয়ে টানাটানি হয়ে যাবে।
গতবছরে একটা ছেলের হাতও কেটে নিয়েছিলো।
আকাশ বললো দেখ নিধিয়া আমার বন্ধু ছেড়ে দে ওকে।
কিরে নিশাত হেল্প কর নিধিয়ার। এভাবে মেয়েদের অপমান করছে আর তুই দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিস। কি করবো তাছাড়া আমি এইসবের ভিতর নেই।
বাদ দাও আকাশ।ওটা তো একটা মুর্তি। চোখের সামনে একটা মেয়েকে টিচ করছে ওনার তাতে কিছু যাই আসেনা কারন ওনি একটা মানুষই নই!! বেশ কড়া গলাই নিধিয়া বললো।
ছাড় সইতান,মেয়েদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হয় ফ্যামিলি থেকে শিক্ষা পাসনি।
কেউ আসবেনা চাদপাখি।চলো আমার সাথে।
সামনে থেকে একটা জোরে কোষে গালে থাপ্পর আসলো প্রায় ১০ মিনিট কান তাল ধরে আছে।আর গুলোকে পিটিয়ে কাত করে রেখেছে।মারপিট দেখে নিদিয়া অবাক।
যেনো ওর সামনে কোন সুপারহিরো মারপিট করছে।
এরকমতো সিনেমায় দেখেছে ও।
নিজের গায়ে একটু চিমটি দিলো হ্যা আমি সজ্ঞানেই আছি তো!!
সবগুলো বাবা গো বলে দৌড় দিলো।
টনি বললো দেখে নিবো তাকো।
আবে....... দাড়া....
দৌড় দিলো টনি ভয়ে।
নিধিয়া:যাক বাবা আপনি তাহলে প্রতিবন্ধি না??
নিশাত:মানে???
আমি তো ভাবলাম আপনি কিছু পারেননা। হ্যা তো পারিনা তাই কি। দেখেন চোখের সামনে এরকম মেয়েদের উত্যোক্ত করলে আমি সবাইকে হেল্প করব
ক্লিয়ার!!!!!!
আকাশ হা হয়ে আছে। কিরে হা টা বন্ধ কর চল এবার।আর আপনি এত রাতে বের হয়েছেন কেন।
আসলে আমি বাসায় গিয়েছিলাম কাল পিকনিক তো তাই কিছু জিনিসপত্র আনতে আর মার দেয়া আর্শীবাদ।
এভাবে রাত করে কোথাও বের হওয়া ঠিক না।
আকাশ, বস কি দেখালি এটা হিন্দি ছবির নায়ক যেনো নায়িকাকে বাচাচ্ছে।
চুপ করতো সব কিছুতে বেশি বেশি।
চল রুমে হাট।আর হ্যা আপনিও রুমে যান।
যার যার রুমে চলে আসলো।পরদিন সকালে সবাই রেডি গাড়িতে উঠবে।
আকাশ, নিশাত রেডি বাসে উঠবে।বাস ছেড়ে দিছে।
হ্যা মিঃ হ্যালো প্লিজ হাতটা ধরুন নাহলে সরে যান।
বাসের দরজার মুখে দাড়িয়েছিলো নিশাত।
একটা লাল শাড়ী ফুটন্ত গোলাপ যেনো ফুটে উঠছে চোখের সামনে। আরে হাত টা ধরুন আরে। পিছন থেকে একটা হাত টেনে তুললো নিধিয়াকে।
আরে নিধিয়াকে তুলছিস না কেন বাস তো ছেড়ে দিছে তোর কি মাথা খারাপ।
আরে বাহ নিধিয়া শাড়িতে তোমাকে হার মানাচ্ছে।
থ্যাংকস।
নিধিয়া রেগে বললো আছেন তো দরজার সামনে, না
সরে যাচ্ছেন আর না টেনে তুলছেন।
মতলবখানা কি??
ও হ্যালো আবারো হাতের তুরি দিলো নিধিয়া।
একক্ষন নিশাত কোথায় হারিয়ে গেছিলো।
যা যা বলেছে কিছু শুনেনি আকাশ।
গার্ডের হুুইসেল বাজলো যার যার সিটে বসার জন্য।
নিশাত আর মিনা একসাথে বসলো।মিনা হচ্ছে একটু লাজুকে নিশাতকে খুব পছন্দ করে শুধু তাই নই।
নিশাতকে ক্লাসের সব মেয়েরা স্মার্ট বয় বলে ডাকে।
ও কোন মেয়ের দিকে ঠিক করে তাকাই না।
মেয়েরা ওর জন্য যেনো বর্শি দিয়ে রেখেছে মাছ উঠলেই টপ করে তুলবে।কিন্তু নিশাত তো কাউকেই পাত্তা দেইনা।
আকাশ আর নিধিয়া এক সিটে বসলো।
ও ভালো হয়েছে যাক ভ্রমনের সময় অত্যন্ত গল্প করে যেতে পারবো।
আচ্ছা শোন আকাশ।
তোমার ভাই এমন গম্ভিরে কেন???
হা হা করে হেসেই উড়িয়ে দিলো।
আসলে ও ওমনি। অনেক ভালো ছেলে।ওর মতো ভাই সহজে পাওয়া যায়না। দাড়াও তোমাকে একটা ছবি দেখাই।
আকাশ ওর ব্যাগের ভিতর থেকে একটা খাতা বের করলো। আর নিশাতের আকা ছবিটা নিধিয়াকে দেখালো।
নিধিয়া অবাক...........
আরে এ তো আমার ছবি হুবহু। তুমি একেছো বুঝি।
না হ।
নিশাত।
কি??
এতো সুন্দর ছবি আকতে পারে ওনি।
সত্যি অনেক বাহবা দিতে হয় অনেক।নিশাত অনেক কিছু পারে কারন ওর ভিতরে অলৌকিক........
থেমে গেলো আকাশ মুখে হাত দিলো।
এগুলো কেউ কখনো টের না পায় মা তো বারন করে দিয়েছে।
কি?? কি!! থেমে গেলে কেনো আকাশ??
কথা বলো কি অলৌকিক নিশাতের ভিতর...
না না কিছু না। আচ্ছা তা আমার ছবির সাথে ওনাকে কেন একেছে।
আকাশ অনেক ছবি একে ফেলে যার বাস্তবরুপ পরিনত হয়।
দুর...... এটা কিভাবে সম্ভব।
এটা তো মনে হচ্ছে বনের গহিনে ছবি আকা।
হাসি পাচ্ছে আমার তোমার এই কথা শুনে।যাই হোক তোমার ভাইকে আমি মুডি বয় বলেই ডাকবো।
এই না না। এইসব বলতে যেওনা।
ও মেয়েদের একটু পছন্দ করেনা।
ওদিকে মিনা তো লজ্জায় মরে যাচ্ছে নিশাতের পাশের সিটে বসাতেই। তুমি কি কিছু খাবে আমার কাছে চা,কফি,বিস্কিট আছে এই নাও
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।