আপুর বান্ধবী যখন বউ - পর্ব (১৩)

রব্বানী ঊ ঃ আপনি যদি আপনার বাইকটা একটু দিতেন বা আপনি যেতেন তাহলে আমার অনেক উপকার হতো।
আমি ঃ আমার বাসা চিনো।
রাব্বানী হোসাইন ঃ না ভাই ।

আমি ঃ তাহলে আমার বাইক পৌঁছে দিবে কিভাবে।
রব্বানী হোসাইন ঃ ভাই একটু গেলে বেশি ভালো হতো।
আমি ঃ ঠিক আছে চলো।
তারপর রব্বানী হোসাইন কে সাথে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।
হাসপাতালে গিয়ে বললাম






আমি ঃ আমি এখন আসি।
রব্বানী হোসাইন ঃ ভাই এত টুকু যেহেতু আসছেন একবার আমার বন্ধু কে দেখে যান।
আমি ঃ তোমরা না মিয়া,, আচ্চা চলো।
তারপর হাসপাতালের ভিতরে যাচ্ছি এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন আমার কোলার ধরে টান দিলো।
আমি ঃ কোন শালারে। পিছনে তাকিয়ে দেখি আফিফা
আফিফা ঃ শালা না দুলাভাই শালী বলেন।
আমি ঃ তুমি এখানে কেন।
আফিফা ঃ ভাবি কে সাথে নিয়ে আসছি, চেকাপ করানোর জন্য।
আমি ঃ বাহ এর মধ্যেই সবাই ভাবিকে নিজের করে নিলে, তা আনিছ ভাই কোথায়।
আফিফা ঃ আনিছ ভাই তো ভাবিকে সাথে নিয়ে গেল, আচ্চা এখানে কোথায় আসছেন।
আমি ঃ এক ছোট ভাইকে দেখতে।
আফিফা ঃ আপনার সাথে এই তিন নাম্বার ছাগলের বাচ্চা আবার কে।
আমি ঃ ও রাব্বানী হোসাইন, আমার জুনিয়র ।
রাব্বানী হোসাইন ঃ এই মেয়ে তিন নাম্বার ছাগলের বাচ্চা মানে কি।

আফিফা ঃ এই যে মিস্টার আসছে কথা বলেন, আমি আমার দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলছি, আর এই হাসপাতাল।
রাব্বানী হোসাইন ঃ ভাই কিছু বলছেন না কেন।
আমি ঃ আচ্চা আফিফা তুমি তোমার কাজে যাও,, রাব্বানী হোসাইন চলো,, কোথায় তোমার বন্ধু।
আফিফা ঃ আরে ধারান একটা ছবি তুলি তারপর যাবেন।
আমার কাদে হাত দিয়ে মুখ বেঁকিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নিলো।
আমি ঃ এই ছবি দিয়ে কি করবে।
আফিফা ঃ ফেইসবুকে পোস্ট করবো, আর আপনাকে ট্যাগ করবো।
আমি ঃ এইসব আরিফা পছন্দ করে না, আমাকে বকা শুনিও না।
আফিফা ঃ ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই, নিজের কাছে রেখে দিবো।

তারপর চলে এলাম,
রাব্বানীর বন্ধু কে দেখে রব্বানী হোসাইন কে বাসায় পৌছে দিয়ে আমি বাসায় চলে এলাম।
এসে একটু  বিছানায় নিজের শরীরটা কে এলিয়ে দিলাম।
এমন সময় আরিফা ফোন করলো।

আরিফা ঃ কোথায় তুমি।
আমি ঃ বাসায়।
আরিফা ঃ জান একটু আমাদের বাসায় আসবে।
আমি ঃ কেন তোমার বাসায় যাবো কেন।
আরিফা ঃ তাহলে তোমার রুমের দরজা খুলো।
আমি গিয়ে দরজা খুললাম একি এই মেয়ে তো আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।
আরিফা আমার রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো,

আমি ঃ দরজা লাগালে কেন।
আরিফা ঃ তোমাকে একটু আদর করবো।
আমি ঃ কি উল্টা পাল্টা কথা বলছো।
আরিফা ঃ ঐ ছেমরা আমি তরে আমার বাসায় যেতে বললাম বললি যেতে পারবি না আর আফিফা ফোন করার সাথে সাথে হাসপাতালে গেলি এক নজর দেখার জন্য।

আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম।
আমি ঃ কি সব উল্টা পাল্টা কথা বলছো।
আরিফা ঃ আফিফা ফেইসবুকে পোস্ট করছে তোরে ট্যাগ করছে আমারে ট্যাগ করছে আমার সব বন্ধুদের কে ট্যাগ করছে, তোর শরীরে হাত দিয়ে ছবি তুলছে তোর মজা লাগছে তাইনা, আমি গায়ে হাত দিলেই গায়ে ফুসকা পড়ে তাই না।
আমি ঃ আমি তো আফিফার সাথে দেখা করতে যায়নি,, আমি আমার জুনিয়রের বন্ধু কে দেখতে গিয়েছিলাম।
ঠাস ঠাস ঠাস
আরিফা ঃ কান ধর ।
আমি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
আমি ঃ তুমি আমাকে মারতে পারলে।
আরিফা ঃ আমি ছাড়া অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাতে পারবি না,, এখন কানদর।
আমি ঃ আমি তো আফিফার সাথে দেখা করতে যায়নি।
আরিফা ঃ আর নাটক করার প্রয়োজন নাই তুই কানদর।
আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
আরিফা ঃ বল আর কোন মেয়ের দিকে তাকাবো না।
আমি ঃ আর কোন মেয়ের দিকে তাকাবো না।
আরিফা ঃ গুড বয় এখন কান ছাড়।
আমি ঃ আরো কিছু বলবা।
আরিফা ঃ এখন তোমাকে নিয়ে শপিং করতে যাবো।
আমি ঃ আমার শরীর ভালো না, তুমি যাও।
আরিফা ঃ আফিফার সাথে দেখা করার সময় মন ভালো থাকে।
আমি ঃ আরিফা একদম চুপ করো, আমি তোমাকে কতবার বলবো যে আফিফার সাথে আমি দেখা করতে যায়নি।
আরিফা ঃ আচ্চা বিশ্বাস করলাম এখন চলো শপিং করতে যাবো।

আমি ঃ আমি বললাম আমি যেতে পারব না, তোমার মন চাইলে তুমি যাও, আর আমাকে একা থাকতে দাও।
আরিফা ঃ  ঠিক আছে না গেলে নাই, আমি মা কে ডাক দিচ্ছি।
আমি ঃ যা খুশি করো, আমি যেতে পারব না।
আরিফা যাকে ডেকে আনলো।
মা ঃ কি হয়েছে তোর সমস্যা কি, একটু শপিং করতে যেতে বলছে সাথে যা।
আমি ঃ কিন্তু।
মা ঃ কোন কিন্তু না, সোজা যা ।
আমি ঃ ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

তারপর মা চলে গেল।

আরিফা ঃ আমি জানি কিভাবে কাকে সোজা করতে হয়।
আমি ঃ তুমি আমাকে বিশ্বাস করলে না তো আফিফার উপর বিশ্বাস করলে কোন সমস্যা নাই। আমিও দেখে নিবো।
আরিফা ঃ আহারে আমার বাবুটা রাগ করেছে, আসো তোমাকে আদর করে দেয়,
তারপর কিস দেবার জন্য আমাকে ধরেছে
আমি ঝটকা দিয়ে চলে গেলাম ওয়াশ রুমে।
গোসল করে আরিফার সাথে বের হয়েছি।
আরিফা ঃ তুমি কিছু বলছো কেন।
আমি ঃ আমার কথার কোন মূল্য নেই, অতএব আমার কথা না বলাটাই ভালো।
আরিফা ঃ এমন ভাবে কথা বলছো কেন।
আমি ঃ এর চেয়ে ভালো ভাবে কথা আমি বলতে পারি না।
আরিফা ঃ আমার সাথে রাস্তায় খারাপ ব্যবহার করছো করো কোন সমস্যা নাই, বাসায় যাও মার কাছে সব বলবো।
তারপর কি যেন শপিং করলো আমি কিছু দেখিনি।

আমার সাথে বাসায় আসলো মায়ের হাতে কয়েকটা ব্যাগ দিয়ে বললো মা তোমার ছেলে আমার সাথে রাস্তায় খারাপ ব্যবহার করেছে।

মা ঃ আমিরুল আরিফা যা বলছে তা সত্য।
আমি ঃ হ্যা আমি খারাপ ছেলে তাই খারাপ ব্যবহার করেছি।
ঠাস ঠাস ঠাস ।
মা ঃ আগেরবার আরিফা আমাকে তোর ছবি গুলো দেখিয়েছে আমি কিছু বলিনি আরিফা না করে ছিলো, এখন দেওয়াটা খুব জরুরি ছিলো তাই দিলাম।

আমি সোজা চলে এলাম রুমে।
রাতে খাবার জন্য অনেকক্ষণ ডাকার পর গেলাম।


আমি ঃ বাবা আমি দেশের বাহিরে গিয়ে পড়ালেখা শেষ করতে চাই।
তানিশা ঃ তোর কি মাথা ঠিক আছে, তুই যাবি দেশের বাহিরে তাও আবার পড়ালেখা করার জন্য, হাসালি।
আমি ঃ বাবা তুমি ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
বাবা ঃ পড়ালেখার জন্য আমি না করবো না, কিন্তু তুই বিদেশে একা একা থাকতে পারবি।
আমি ঃ খুব পারবো, আগামী মাসে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবে তুমি সব কিছু ব্যবস্থা করে রেখো, আমি মাস্টার্স দেশের বাহিরে করতে চাই।
মা ঃ বিয়ে করে তোর বাবার ব্যবসায় হাত দে,, বাজে চিন্তা মাথায় আনিশ না।
আমি ঃ বাবা তুমি ব্যবস্থা করে দাও।
রাতে রুমে এসে বসে আছি এমন সময় আরিফা ফোন দিলো।
আমি ঃ কিছু বলবা তুমি।
আরিফা ঃ খাওয়া দাওয়া শেষ করছো।
আমি ঃ হ্যা, তুমি করছো ।
আরিফা ঃ করছি, কি করো তুমি।
আমি ঃ বসে আছি রাখি এখন ঘুমাবো, ভালো লাগছে না।
আরিফা ঃ তোমার কি শরীর খারাপ হয়েছে আমি আসবো।
আমি ঃ না আসার দরকার নাই, আমি একটু ঘুমাতে চাই।

এবাবে প্রতিটা দিন ঝগড়া হয়, ভালো লাগে না আর,
পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসলাম সব গুলো পরীক্ষা বেশ ভালো করেই শেষ হলো।
রাতে খাবার সময় হাতে একটা চিঠি দিলো।

বাবা ঃ এইনে তোর ভিসা আর আর পাসপোর্ট, আগামীকাল গিয়ে টিকেট ওকে করে আসিস, আর আজকে রাত ভালো করে চিন্তা করে দেখ।
আমি ঃ ঠিক আছে।
মা আর তানিশা আমার দিকে তাকিয়ে আছে, মা ভেবেছিল ঐদিন কথা গুলো আমি নাটক করে বলছিলাম।
তারপর রুমে আসি এসে কাগজ পত্র গুলো দেখছি।
পিছন থেকে মা রুমে এলো।
মা ঃ আমার উপর রাগ করে চলে যাচ্ছিস ।
আমি ঃ কি যে বলো মা, তোমার উপর রাগ করবো কেন, এখানে থাকলে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়িয়ে সময়টা চলে যাবে , দেশের বাহিরে গেলে মন দিয়ে পড়ালেখা করতে পারবো।
মা ঃ তুই চলে গেলে আমার বাসা একদম খালি হয়ে যাবে।
আমি ঃ মাত্র দুইটা বছর মা, এরপর তো চলেই আসবো।
আর তানিশা তো আছে, আরিফাও মাঝে মাঝে আসবে হয়তো।

মা ঃ ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখ,,।
আমি ঃ অনেক আগেই চিন্তা করে নিয়েছি।

এমন সময় তানিশা রুমে এলো।

তানিশা ঃ তুই বিদেশে যাবি তা আমাদের বলিসনি কেন।
আমি ঃ তোর সামনেই তো বাবা কে বলেছিলাম, আর হ্যা এরপর দুইদিন গিয়ে ছিলাম বাবার অফিসে আর একদিন পাসপোর্ট অফিসে।
তানিশা ঃ না গেলে হয় না।
আমি ঃ নারে পড়ালেখা করে আসি, জীবনে পড়ালেখা নিয়ে কখনো সিরিয়াস হয়নি, দুইটা বছর সিরিয়াস হয়ে পড়ালেখা করি,,।
তানিশা ঃ আরিফা কি জানে যে তুই বিদেশে যাচ্ছিস।
আমি ঃ না, টিকেট কেটে পড়ে বলবো এর আগে কেউ কিছু বলবে না।

তারপর একটা ঘুম দিলাম,
টিকেট কাটার সময় রাস্তায় আফিফা আর রাব্বানী হোসাইন বসে বসে গল্প করছে।
আমি গিয়ে সামনে দাঁড়ালাম।

আফিফা ঃ দুলাভাই আপনি এখানে।
আমি ঃ রাব্বানীর সাথে কি করো ।
আফিফা ঃ এমনি দেখা করছি।
আমি ঃ কিসের জন্য দেখা করতে আসলে।
রাব্বানী হোসাইন ঃ ভাই ঐ দিন আপনাকে ট্যাগ করে পোস্ট করেছিলো, আর আমি ওর আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে ছিলাম পরে আমরা একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছি।
আমি ঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো তোমাদের কথা শুনে, তোমরা কথা বলো আমি আসি।
তারপর টিকেট কেটে বাসায় আসি।

আরিফা কে কল দিলাম।

আমি ঃ আরিফা কেমন আছো তুমি।
আরিফা ঃ ভালো আছি, তুমি কেমন আছো, আর শোন আগামীকাল আমার সাথে দেখা করবে বলে দিলাম।
আমি ঃ ঠিক আছে, আমি দেখা করতে আসবো তোমার সাথে আমার ইমার্জেন্সি দেখা করতে হবে।
আরিফা ঃ সামনে তো আমাদের বিয়ে তা সেই দিকে কি তোমার কোন খেয়াল আছে।
আমি ঃ কে বললো এখনো তো পড়াশোনা শেষ হয়নি।
আরিফা ঃ অনার্স তো শেষ করলা আরকি।
আমি ঃ মাস্টার্স কোর্স শেষ করে তারপর বিয়ে, বাদ দাও এইসব কথা আগামীকাল দেখা হচ্ছে এখন রাখি।
আরিফা ঃ এত রাখি রাখি করছো কেন,
আমি ঃ কিছু বলবা ।
আরিফা ঃ আগামীকাল আমার সাথে এতিম খানায় যেতে হবে তোমাকে।
আমি ঃ ঠিক আছে যাবো।
আরিফা ঃ সকাল ৯ টার সময় আমার বাসায় থাকবে বলেছিলাম।
আমি ঃ ঠিক আছে,
আরিফা ঃ ওকে বাবু রাখি ।
আমি ঃ হুম।

আগামীকাল আরিফাদের বাসায় গিয়ে আংকেল ও আন্টির কাছে বলবো দেখি উনারা কি বলেন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আরিফার বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। আংকেল অফিসে যাবার জন্য বের হচ্ছেন ।

আমি ঃ আংকেল একটু সময় দিতে পারবেন।
আংকেল ঃ বলো বাবা কি বলবে আমার আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে।
আমি ঃ আংকেল আগামীকাল আমি বিদেশে যাচ্ছি।
আংকেল ঃ কোন দেশে পিকনিকে যাচ্ছো ।
আমি ঃ পিকনিকে যাচ্ছি না।
আংকেল ঃ আমি জানি তো পরীক্ষা শেষ এখন বন্ধ বান্ধবী মিলে ঘুরতে যাবে , কোন সমস্যা নাই আরিফা কে নিয়ে যাও।
আমি ঃ আংকেল আপনি আমাকে বলতে দেন,, আমি কোন পিকনিকে যাচ্ছি না, আমি পড়ালেখা করার জন্য বিদেশে যাচ্ছি দুই বছরের জন্য।
আংকেল ঃ কি সব আবোল তাবোল বলছো, সামনে তোমাদের বিয়ে এখন এইসব কথা বলছো কেন।
আমি ঃ আংকেল আরিফা মেয়ে মাস্টার্স এই বছর শেষ আর আমার শুরু আমি আরিফার যোগ্য হয়ে বিয়ে করবো।
আংকেল ঃ তোমার বাবা মা কি বলে।
আমি ঃ মা বাবা সবাই রাজি এখন আপনি অনুমতি দিলেই মেতে পারি।
আংকেল ঃ কেরিয়ার নিয়ে ভাবছো এটা একদম ঠিক ভাবনা, তবে মন দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে।
আমি ঃ দোয়া করবেন।

তারপর আংকেল চলে গেলো ,
আন্টির কাছ থেকেও একি ভাবে বিদায় নিলাম।

তারপর আরিফার রুমে গেলাম।

আমি ঃ ভিতরে আসতে পারি।
আরিফা ঃ বলার কি আছে ভিতরে আসো।
আমি ঃ নিচে তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখানে এলাম ।
আরিফা ঃ আমিও রেডি চলো।
তারপর আরিফার সাথে এতিম খানায় গিয়ে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করে পার্কের দিকে রওনা দিলাম।
একটা যায়গায় বসলাম।
আমি ঃ আরিফা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আরিফা ঃ বলো ।
আমি ঃ আমি তোমার কাছে একটা জিনিস চাইবো দিবে।
আরিফা ঃ আমার যা আছে সবি তোমার।
আমি ঃ তা আমি জানি, আমার কথাটা শুনো নিজেকে শক্ত করো।
আরিফা ঃ কি এমন কথা যার জন্য এত নাটক করছো।।
আমি ঃ আমি আগামীকাল কানাডায় চলে যাচ্ছি।
আরিফা ঃ হা হা হা কেন।
আমি ঃ পড়ালেখা করার জন্য।
আরিফা ঃ পড়ালেখা নিয়ে মজা করো না তো।
আমি ঃ আগামীকাল চলে যাচ্ছি, বিকালে আমার ফ্লাইট ।
আরিফা ঃ তুমি কি সিরিয়াস।
আমি ঃ হ্যা ।
আরিফা কান্না শুরু করে দিলো।
আমি ঃ তুমি কান্না করছো কেন।
আরিফা ঃ দেশে কি পড়ালেখা করা যায়না, বিদেশে যাওয়ার কি দরকার,  তুমি যেতে পারবেনা এটাই আমার শেষ কথা।
আমি ঃ আমার সব কিছু রেডি, তোমাকে জানানো আমার প্রয়োজন তাই বললাম, আর এমনিতেও আজ কাল আমার কথা তোমার বিশ্বাস হয় না, বিশ্বাস হয় আফিফার কথা, সাইদের কথা তানিশার কথা। শুধু আমার কথা ছাড়া , এই পর্যন্ত তুমি আমাকে কয়টা থাপ্পর দিছো তা তুমি নিজেও বলবে পারবে না, আগামী দুইটা বছর আমাকে কারো কাছে মার খেতে হবে না।


আরিফা ঃ তার মানে তুমি আমার সাথে রাগ করে এমন করেছো।
আমি ঃ আমার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজের পায়ে দাড়াবো তারপর বিয়ে করবো।
আরিফা ঃ তুমি বিয়ে না হয় পাঁচ বছর পর করো কিন্তু বিদেশে যেওনা ।
আমি ঃ তুমি কি চাওনা তোমার স্বামী মাথা উঁচু করে চলুক,,, তোমাকে এখন বিয়ে করলে মানুষে আমাকে বলবে মেয়ে মাস্টার্স পাস ছেলে অনার্স আমি আমার ভালোবাসা কে মানুষের কাছে হাসির খোরাক করতে পারবো না।
আরিফা এটাই কি তোমার শেষ কথা।
আমি ঃ আমাকে যেতে দাও, এতে দুজনের ভালো হবে।

চলবে................

SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।