আজ বিয়ে সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আসিককে সকাল থেকে খুজেই পাচ্ছি না। তাই আসিককে খুজতে ছিলাম। দেখলাম সবাই সাজু গুজু নিয়ে ব্যাস্ত। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেলাম...
- এই কেরে? চোখ কি হাতে নিয়ে ঘুরতাছিস চোখে দেখিস না।
- সরি সরি! আমি আসলে দেখতে পাই নি!
.
- ওহ আপনি, না তাইলে ঠিক আছে। (জান্নাতি)
.
- তা সবাই তো সাজু গুজু নিয়ে ব্যস্ত। আপনি কেন এখন রেডি হচ্ছেন না।
.
- বাহ আজ সুর্য কোন দিক থেকে ওঠছে। যার সাথে আগে থেকে কথা বললে কথা বলতো না আজ সেই নিজ থেকে কথা বলছে। (জান্নাতি
- না মানে! দেখলাম সবাই সাজ গোজ নিয়ে ব্যস্ত তাই বললাম।
এটা বলে আমি ওই খান থেকে চলে আসলাম। বাড়ি ভর্তি মেহমান। বরযাত্রির আসার সময় হয়ে যাচ্ছে তাই ভাবলাম আমিও রেডি হয়ে নিয়। কিন্তু কি পড়া যায়, কি পড়ি।
ভাবতে ভাবতে সুট কোর্ট টা বের করলাম। তখনি জান্নাতি বলে উঠলো এটা বাঙালির বিয়ে এখানে বিদেশি সুট কোর্ট পরবেন না। এই বলে বিছানার ওপর দুইটা প্যাকেট রেখে বললো। - এখানে দুটো পাঞ্জাবি আছে। একটা নীল আর একটা কালো, যে কোন একটা পড়বেন।
এই বলে জান্নাতি রুম থেকে চলে গেল।
- পাঞ্জাবি দুটো হাতে নিয়ে ভাবছি কোনটা পরা যায়। উফ ভেবে লাভ নাই আজ কালো টাই না হয় পড়ি। পাঞ্জাবি পড়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। দেখি আসিক আমার দিকে আসতাছে।
- বাহ পাঞ্জাবিতে তোকে বেশ ভালোয় মানিয়েছে। (আসিক)
- দেখতে হবে না পাঞ্জাবিটা কার দেওয়া। (জান্নাতি)
- তুমি ওকে এটা পড়েতে দিয়েছো?? (আসিক)
- হুম। তোমার বন্ধু তো সুট কোর্ট পড়তেছিল। কিন্তু তুমি বলো বাঙালির বিয়েতে কি ওই সব মানায়। (জান্নাতি)
- কিন্তু তুই পাঞ্জাবি কিনলি কখন।?? (আসিক)
- কাল কিনেছি। তুমি আর আপু যখন প্রিয়ার জন্য শাড়ি চুজ করছিলে তখন।(জান্নাতি)
- হুম ভালো করেছিস... আচ্ছা বরের গাড়ি এসে গেছে আমি যাই বলে আসিক চলে গেল। আমিও আসিকের পিছে পিছে চলে আসলাম। তবে জান্নাতিও কালো রং একটা শাড়ি পরেছে হাল্কা মেকাপ চুল গুলো এলোমেলো পাখার বাতাসে উড়ছে সবমিলিয়ে অসাধারন। সবাই বরের গাড়ির দিকে যাচ্ছে, আমি বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে গেটের দিকে তাকাতেই আমার বুকের ভিতরে ধুক করে ওঠলো। ৮ বছরের সেই অচেনা মুখের আড়াল ভেঙ্গে আজ চেনা মুখ গুলো দেখতে পেলাম। মা-বাবা, চাচা-চাচি সবাই আছে কিন্তু মাইশাকে দেখতে পেলাম না। মা কে দেখলাম অনেক পাল্টে গেছে চুলে পাক ধরেছে। সবাই কে ওই ভাবে দেখে মনে হলো মা-বাবা তো একটা বিয়েতে গিয়েছিল তাইলে এখানে কেন।
- আমার পাশে সেই কখন জান্নাতি এসে দাড়িয়ে আছে বুঝতেই পারি নাই। জান্নাতি কে জিজ্ঞাস করলাম, আচ্ছা বরের পিতার নাম কি??
- আসাদুজ্জামান আসাদ(জান্নাতি)
- তার মানে আসাদ আংকেলের ছেলের বিয়ে? আসাদ আংকেল আর আমার বাবা দুজন বন্ধু। আমি বাড়ির ভিতর থেকে চলে আসলাম। কারণ আমাকে বাবা চিনতে পারলে কেলেংকারি হতে পারে। বাড়ি থেকে একটু দূরে পুকুর পাড়ে এসে বসে আছি।
কিরে তুই এভাবে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস? তুই বললি কারো সাথে আমাকে দেখা করাবি কই সে?
- আচ্ছা তোর ভাইকে তুই ভালোবাসিস? (জান্নাতি)
- হুম। আমার নিজের চাইতে বেশি। (মাইশা)
- তাইলে তোর সামনে যে মানুষটি দাড়িয়ে আছে তাকে চিনতে পারছিস?
- না কে ইনি??
- তুই যাকে তোর নিজের থেকে বেশি ভালোবাসিস তোর ভাই।
আমি দাড়িয়ে ওদের কথা শুনছি। তবে ওদের কথা শুনে বুঝলাম এই মেয়ে আর কেও না আমার বোন মাইশা।
- মাইশা আমার মুখের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো যে আমার কপালে কাটা চিহ্ন আছে নাকি। ছোট বেলা মাইশার খুন্তির বাড়িতে আমার কপাল কেটে যায় যা এখনো দাগ আছে। মাইশা আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল। আমিও আর ঠিক থাকতে পারলাম না আমিও কেঁদে দিলাম এই কান্না কষ্টের কান্না নয় এটা এক বোনের হারানো ভাইকে ফিরে পাবার খুশির কান্না।
- ভাই তুই এতদিন কোথায় ছিলি? আমি তোকে কতো খুজেছি। আমার কথা কি একবারো মনে পড়ে না।
- মনে পড়ে দেখেতো ফিরে আসলাম।
- যানিস ভাইয়া তোর কথা পরিবারের কেউ শুনতে চায় না। আর ওই শান্তা সব সময় বাবাকে ওল্টা পাল্টা বলে রাগিয়ে রাখে যেন তুই কোন দিন ফিরে না আসতে পারিস।
অনেক সময় মাইশার সাথে কথা বললাম। মাইশা আমার থেকে ওয়াদা নিয়ে গেল কাল যেন আমি ওই বাড়িতে যায়। সেখানে মার সাথে দেখা করাবে।
- ভাই থাক আমি গেলাম আব্বু মনে হয় আমায় খুজছে।
- আচ্ছা যা। আর হ্যা আমার কথা কাউকে বলিস না।
- আচ্ছা বাই।
আজ ছোট বোনের সাথে দেখা করে অনেক ভালো লাগলো। আমার বোনটা অনেক বড় হয়ে গেছে।
- ধন্যবাদ
- ধন্যবাদ কেন?? (জান্নাতি)
- আমাকে আমার বোনের সাথে দেখা করানোর জন্য।
- বলেছিলাম না দেখা করাবো। তাই এক ভাইয়ের সাথে এক বোনের দেখা করালাম।
- আমি আর কিছু বললাম না। তবে এই ভেবে আমার আনন্দ লাগছে যে কাল মার সাথে দেখা করতে পারবো। অনেক বছর পর মার সাথে কথা বলতে পারবো।
.........To be continue
- হুম ভালো করেছিস... আচ্ছা বরের গাড়ি এসে গেছে আমি যাই বলে আসিক চলে গেল। আমিও আসিকের পিছে পিছে চলে আসলাম। তবে জান্নাতিও কালো রং একটা শাড়ি পরেছে হাল্কা মেকাপ চুল গুলো এলোমেলো পাখার বাতাসে উড়ছে সবমিলিয়ে অসাধারন। সবাই বরের গাড়ির দিকে যাচ্ছে, আমি বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে গেটের দিকে তাকাতেই আমার বুকের ভিতরে ধুক করে ওঠলো। ৮ বছরের সেই অচেনা মুখের আড়াল ভেঙ্গে আজ চেনা মুখ গুলো দেখতে পেলাম। মা-বাবা, চাচা-চাচি সবাই আছে কিন্তু মাইশাকে দেখতে পেলাম না। মা কে দেখলাম অনেক পাল্টে গেছে চুলে পাক ধরেছে। সবাই কে ওই ভাবে দেখে মনে হলো মা-বাবা তো একটা বিয়েতে গিয়েছিল তাইলে এখানে কেন।
- আমার পাশে সেই কখন জান্নাতি এসে দাড়িয়ে আছে বুঝতেই পারি নাই। জান্নাতি কে জিজ্ঞাস করলাম, আচ্ছা বরের পিতার নাম কি??
- আসাদুজ্জামান আসাদ(জান্নাতি)
- তার মানে আসাদ আংকেলের ছেলের বিয়ে? আসাদ আংকেল আর আমার বাবা দুজন বন্ধু। আমি বাড়ির ভিতর থেকে চলে আসলাম। কারণ আমাকে বাবা চিনতে পারলে কেলেংকারি হতে পারে। বাড়ি থেকে একটু দূরে পুকুর পাড়ে এসে বসে আছি।
কিরে তুই এভাবে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস? তুই বললি কারো সাথে আমাকে দেখা করাবি কই সে?
- আচ্ছা তোর ভাইকে তুই ভালোবাসিস? (জান্নাতি)
- হুম। আমার নিজের চাইতে বেশি। (মাইশা)
- তাইলে তোর সামনে যে মানুষটি দাড়িয়ে আছে তাকে চিনতে পারছিস?
- না কে ইনি??
- তুই যাকে তোর নিজের থেকে বেশি ভালোবাসিস তোর ভাই।
আমি দাড়িয়ে ওদের কথা শুনছি। তবে ওদের কথা শুনে বুঝলাম এই মেয়ে আর কেও না আমার বোন মাইশা।
- মাইশা আমার মুখের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো যে আমার কপালে কাটা চিহ্ন আছে নাকি। ছোট বেলা মাইশার খুন্তির বাড়িতে আমার কপাল কেটে যায় যা এখনো দাগ আছে। মাইশা আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল। আমিও আর ঠিক থাকতে পারলাম না আমিও কেঁদে দিলাম এই কান্না কষ্টের কান্না নয় এটা এক বোনের হারানো ভাইকে ফিরে পাবার খুশির কান্না।
- ভাই তুই এতদিন কোথায় ছিলি? আমি তোকে কতো খুজেছি। আমার কথা কি একবারো মনে পড়ে না।
- মনে পড়ে দেখেতো ফিরে আসলাম।
- যানিস ভাইয়া তোর কথা পরিবারের কেউ শুনতে চায় না। আর ওই শান্তা সব সময় বাবাকে ওল্টা পাল্টা বলে রাগিয়ে রাখে যেন তুই কোন দিন ফিরে না আসতে পারিস।
অনেক সময় মাইশার সাথে কথা বললাম। মাইশা আমার থেকে ওয়াদা নিয়ে গেল কাল যেন আমি ওই বাড়িতে যায়। সেখানে মার সাথে দেখা করাবে।
- ভাই থাক আমি গেলাম আব্বু মনে হয় আমায় খুজছে।
- আচ্ছা যা। আর হ্যা আমার কথা কাউকে বলিস না।
- আচ্ছা বাই।
আজ ছোট বোনের সাথে দেখা করে অনেক ভালো লাগলো। আমার বোনটা অনেক বড় হয়ে গেছে।
- ধন্যবাদ
- ধন্যবাদ কেন?? (জান্নাতি)
- আমাকে আমার বোনের সাথে দেখা করানোর জন্য।
- বলেছিলাম না দেখা করাবো। তাই এক ভাইয়ের সাথে এক বোনের দেখা করালাম।
- আমি আর কিছু বললাম না। তবে এই ভেবে আমার আনন্দ লাগছে যে কাল মার সাথে দেখা করতে পারবো। অনেক বছর পর মার সাথে কথা বলতে পারবো।
.........To be continue
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।