পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে। এক, যারা মনে করে ডাল কোনো খাবারই না এবং তারা পারতপক্ষে ডাল খায় না। দুই, যারা মনে করে ডাল মানুষের প্রধান খাবার এবং তাদের সমস্ত খাবারের সাথেই ডাল থাকা লাগে। আমার বন্ধু শংকর দ্বিতীয় দলে। শুধু যে দ্বিতীয় দলে সেটাই না, তাকে এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও বলা যায় চোখ বন্ধ করে। ডাল জিনিসটা নিয়ে অদ্ভুত অবসেশন আছে শংকরের। তার পৃথিবী সম্পূর্ণ ডালময়।
তাকে যদি ফোন দিয়ে বলি, 'দোস্ত সর্বনাশ হয়ে গেছে আমার।'
সে প্রথম যে প্রশ্ন করবে সেটা হলো, 'কেন, ডালে লবন কম হইছে?'
যেন ডালে লবন কম হওয়া থেকে বড় কোনো সর্বনাশ এই পৃথিবীতে হতেই পারে না।
যদি বলি, 'না রে, বিশাল সর্বনাশ।'
- শিট, তাহলে কি লবন বেশি হইছে?
- ধুর, আমার লাইফই শেষ।
- মানে কি? খেতে বসে ডাল পাসনি?
.
এই হলো অবস্থা। শংকরকে যদি বলি, 'দোস্ত আমার ক্যান্সার হইছে।'
সে শান্ত গলায় বলবে, 'আচ্ছা, তারপর বল। বাসার সবাই কেমন আছে?'
কিন্তু যদি বলি, 'দোস্ত দুপুরে খেতে গিয়ে ডাল পাইনি।'
মুহুর্তে তার কণ্ঠস্বর চেঞ্জ হয়ে যাবে। চিৎকার দিয়ে বলবে, 'এ কী সর্বনাশ। তুই এক্ষুনি টেবিল থেকে উঠে পড়। যত দ্রুত সম্ভব। আমার বাসায় চলে আয়। তিন প্রকার ডাল রান্না হইছে। একসাথে খাবো।'
.
শংকর জীবনে একবারই প্রেমে পড়েছিলো এক মেয়ের। প্রেমপত্রে লিখেছিলো, 'তোমাকে প্রথমবার দেখেই মনে হয়েছে তুমি যেন এক প্লেট গরম ভাতের সাথে ঘন সোনামুগ ডাল। মেসের ডালের মত পাতলা ঠোট আর হোটেলের ডালের মত গাড় কাজল দেয়া ডালের বড়ার মত বড় বড় চোখে তুমি যেন ঠিক পরীস্থানের কোনো পরীর রান্না করা ডাল রেসিপি। আমার প্রিয় মসুরির ডালের কসম, তোমার সাথে সারাজীবন ডালের বাটি ভাগ করে নিয়ে একসাথে খেতে চাই।'
.
স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রেম আলোর মুখ দেখেনাই। আরেকবার মেসেঞ্জারে এক মেয়ের সাথে ভালোই চ্যাট এগিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু পরে নাকি মেয়েটা হুট করে কথা বন্ধ করে দেয়। শংকরকে কে বোঝাবে যে শুধুমাত্র ডাল টপিক নিয়ে খুব বেশিদিন কথা বলে যাওয়া কোনো মেয়েই পছন্দ করবে না। তাছাড়া কোনো সুন্দরী মেয়েকে মেসেঞ্জারে 'পাতলা ডাল' নিকনেম কেউ দেয়?
.
পরে ফ্যামিলির পছন্দে এরেঞ্জ ম্যারেজ হয় তার। সেই বিয়েও টিকেনি। বিয়ের আঠারো দিনের মাথায় সে বউকে ডিভোর্স দিয়ে দিছে। বউ এর দোষ শংকর ডাল রান্না করে রেখে গেছিলো। বউ লবন চেখে দেখে ভেবেছে লবন বেশি হইছে, তাই পানি দিয়ে জ্বাল দিছে।
শংকর ডাল মুখে দিয়েই একবার শুধু বউ এর দিকে তাকাইছে। তারপর বের হয়ে পুরান ঢাকার সিরাজের দোকানে গিয়ে ডাল ভাত খেয়ে সোজা উকিলের কাছে গিয়ে ডিভোর্স পেপার রেডি করে এসেছে।
শংকরের মতে পুরান ঢাকায় সিরাজ হোটেলে সে লাইফের বেস্ট ডাল খেয়েছে। যেমন স্বাদ, তেমন গন্ধ, তেমনই লবন হলুদ পারফেক্ট পরিমানে দেয়া। যদিও একবারই সে সেই স্বাদ পেয়েছিলো৷ প্রতিবার নাকি অতো ভালো হয় না। কিন্তু আবারো কখনো হতে পারে সেই আশায় প্রতি সপ্তায় অন্তত একবার সিরাজ হোটেলে ডাল ভাত খায় সে।
.
বাংলাদেশের এমন কোনো হোটেল নাই যেখানে ডাল সে চেখে দেখেনি। ভাত খেতে বসলে মানুষ যেমন আগে ভাজা ভর্তা দিয়ে অল্প খেয়ে মাংস নেয়, শংকর তেমনি আগে মাছ মাংস দিয়ে অল্প ভাত খেয়ে পরে ডাল নেয়। ডাল তার খাবারের মেইন কোর্স। মরার পর শংকর স্বর্গে যাওয়া নিয়ে ভয়ে আছে। সে শুনেছে স্বর্গে নাকি মাছের কলিজা আর পাখির মাংস ভুনা পাওয়া যায়। ডাল পাওয়া যায় এমন কোনো তথ্য সে কোথাও পায়নি।
.
এই ডালের চক্করে দুইবার চাকরি চলে গেছে শংকরের। একবার সে অফিসের বস সহ পুরা স্টাফকে বাসায় ডালভাত খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে শুধু ডাল আর কাচালঙ্কা দিয়ে খেতে দিয়েছিলো। আরেকবার জাপানী ক্লায়েন্টের সাথে সোনারগা হোটেলে মিটিংয়ে গিয়ে প্রোডাক্টের ব্যাপারে কোনো কথা না বলে তাদেরকে দেড় ঘন্টা ধরে বিভিন্ন প্রকার ডাল বিষয়ে জ্ঞান দিয়েছে। তারপর খাবারের অর্ডার ক্যানসেল করে জাপানী টিম নিয়ে পুরান ঢাকার সিরাজ হোটেলে ডাল আর রুটি খাওয়াতে নিয়ে গেছে।
এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় শংকর বললো, 'নাক চ্যাপ্টা জাপানীরা মানুষ হিসাবে খুব ভালো। পুরো এক বাটি ডাল এক চুমুকে খেয়ে বলেছে, নাইচ স্যুপ।'
তারপর নাকি তাদের একজন বমি করা শুরু করেছে। শংকর অত্যন্ত অবজ্ঞা নিয়ে বলেছে, 'হালারা সাপ ব্যাং খেয়ে মানুষ। ভালো জিনিস পেটে সইবে কিভাবে!'
.
এ তো গেলো চাকরি হওয়ার পর চলে যাওয়া। কিন্তু আরো কতগুলো চাকরি যে হতে হতেও হয়নি তার ইয়ত্তা নেই। মেধাবী স্টুডেন্ট শংকর, রেজাল্ট ভালো, লিখিত পরীক্ষাতেও ফার্স্ট সেকেন্ড হয়, কিন্তু ঝামেলা বাধে ঐ ভাইভাতে গিয়েই।
পরীক্ষক হয়তো প্রশ্ন করলো, 'তোমার হবি কি?'
শংকর হাসিমুখে জবাব দেবে, 'ডাল দিয়ে ভাত খাওয়া।'
- না, কি খাবার প্রিয় জানতে চাইনি। তোমার অবসরে কি করতে ভালো লাগে?
- ডাল রান্না করতে ভালো লাগে। কারণ অন্যের রান্না ডাল আমি সাধারণত খেতে পারিনা। লবন হলুদ মশলা পরিমান মত হয় না। একেক ডাল রান্নার একেক নিয়ম। মসুর ডালে আপনি যতটুকু পানি দিবেন মাসকলাই এর ডালে ততটুকু পানি দিলে হবে? হবে না।
- ডাল রান্না ছাড়া অবসরে আর কি করেন?
- দোকান থেকে ডাল কিনে আনি। একদম ফ্রেশ দেশি ডাল না হলে আপনার ভালো লাগবে না। আজকাল তো কতধরনের চায়না, ইন্ডিয়ান ডাল পাওয়া যাচ্ছে। একদম স্বাদ নেই।
- আচ্ছা অন্য টপিকে যাই। আমাদের কোম্পানির জন্য আপনি এমন কি করতে পারবেন যা অন্য কেউ পারবে না?
- কোম্পানি এমপ্লয়িদের ফার্স্টক্লাস ডালভাত খাওয়াতে পারবো তিন বেলা। সাথে লেবু আর কাচালঙ্কা। উফ!
- আপনাকে বাবুর্চি পদের জন্য ডাকা হয়নি৷ মার্কেটিং ম্যানেজার পদের জন্য ডাকা হয়েছে। আচ্ছা বলুন, যদি কোনো ক্লায়েন্ট কোম্পানির পাওনা টাকা আটকে রেখে দেয় তো কিভাবে তার থেকে টাকা আদায় করবেন?
- ক্লায়েন্টকে দাওয়াত দিয়ে যত্ন করে সিরাজ হোটেলের স্পেশাল ভুনা ডাল দিয়ে তন্দুরি রুটি খাওয়াবো।
- এতে কি কাজ হবে বলে আপনার মনে হয়?
- অবশ্যই স্যার। একশো বার হবে৷ হতেই হবে। ডালের বড়ার কসম।
.
সঙ্গত কারণেই চাকরি হয় না শংকরের। কিন্তু সে কারণটা ধরতে পারে না। সে বোঝে না যে সে একজন অস্বাভাবিক মানুষ। সে বোঝে না, কোনো স্বাভাবিক মানুষ কখনো ডালের বড়ার কসম খায় না।
.
আমার ধারণা যদি কোনোদিন শংকরের ফাসির আদেশ হয় তো সে শেষ চাওয়া হিসাবে কয়েক পদের ডাল দিয়ে ভাত খেতে চাইবে।
.
সে এই জেনারেশনের ওপর রেগে আছে, কারণ এরা নাকি ডাল খেতে চায় না। খালি পিজা বার্গারের ধান্দায় থাকে।
তো একদিন আমাকে কল দিয়ে খুশি খুশি গলায় বলতেছে, 'দোস্ত সুসংবাদ। আজই খোজ পেলাম আমার ছোটভাই নাকি এলাকার কয়েক পোলার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে ডাল খায়। খবরটা শুনে এতো খুশি হইছি বলার মত না। বোকা ছেলেটা ভাবছে ডাল খাওয়া দেখলে কেউ ওদের রাগ করবে। আরে ডালই তো খাচ্ছিস, কোনো নেশা তো আর না।'
আমি আমতা আমতা করে বললাম, 'ঐ ডাল মানে নেশাই।'
- হ দোস্ত ঠিকই বলেছিস। ডালের থেকে বড় নেশা আর হয় না।
- আরে এই নেশা সেই নেশা না। এই ডাল মানে ফেনসিডিল।
.
আরেকদিন কল দিয়ে বলতেছে, 'ধুর, ওটা কোনো ডালের জাতই না। সেদিন রুটি দিয়ে খেয়ে দেখলাম। ঔষধের মত খেতে। মিষ্টি। না আছে লবন না হলুদ। ডাল হবে ঝাল ঝাল। মিষ্টি তো রসগোল্লাও হয়৷ ডাল নামের কলংক। আমার ছোটভাইরে বলে দিছি খাইলে মসুরি খা, মুগ খা, মাসকলাই খা, ফেনসিডিল নামের ডাল যেন আর না খেতে দেখি।'
- সিরিয়াসলি?
- কি?
- তুই ফেনসিডিল রুটি দিয়ে খাইছিস?
- হুম, শুধু শুধু টাকা নষ্ট। এক বোতল ষোলোশো টাকা। এই টাকায় সিরাজের হোটেলে এক মাস ডাল রুটি খাওয়া যাইতো।
.
তো এই হলো আমার বন্ধু শংকরের অবস্থা। আপনারা না দেখলে কোনোদিন বিশ্বাস করতে পারবেন না যে একটা মানুষ তিনবেলা ডাল খাচ্ছে। চব্বিশটা ঘন্টা ডাল নিয়ে ভাবছে এবং কথা বলছে। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিলো। এর মধ্যেই ঘটলো ঘটনাটা।
.
সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো। আমি অফিস থেকে ফিরে বেলকনিতে চা নিয়ে বসেছি। এমন সময় ফোন বাজলো।
ওপাশ থেকে শংকরের গলা, 'দোস্ত সর্বনাশ হয়ে গেছে।'
আমি ওর সর্বনাশ সম্পর্কে জানি। হাসলাম। বললাম, 'ডালে লবন কম হইছে?'
- না, তারচেয়েও ভয়াবহ।
- হাহা, লবন বেশি হইছে?
- না রে, আমার লাইফ শেষ।
- টেবিলে ডাল পাসনি? তুই কই? এটা কার নাম্বার?
- এসব কিছুই না। আমি থানাতে। আমি একটা খুন করে ফেলেছি। আমাকে বাঁচা প্লিজ।
.
ছুটে থানায় গেলাম। শংকর পুলিশ কাস্টডিতে। পুলিশ এবং শংকরের থেকে ঘটনা যা শুনলাম তা হলো ওর প্রমোশন হয়েছে। সেটা সেলিব্রেট করার জন্য এক বড় হোটেলে খেতে গিয়েছিলো। সেখানে ডাল অর্ডার করার পর ওয়েটার বলেছে, 'এসব নাই। ভালো কিছু অর্ডার করুন।'
শংকর রেগে গেছে, 'ডাল ভালো কিছু না?'
ওয়েটার বলেছে, 'আরে নাহ, ধুর, থার্ডক্লাস খাবার৷ রুচিশীল খাবারের মধ্যে ডাল পড়ে না।'
শংকর রেগে গিয়ে ওয়েটারকে খুন করে ফেলেছে।
.
আমি অবাক হই, 'এইটুকু বলায় একেবারে খুন করে ফেললি?'
- খুন তো করিনি।
- তাহলে?
- জাস্ট একটা ধাক্কা দিছি। এক ধাক্কায় দরজা দিয়ে বাইরে ফেলে দিছি। সে মরে গেলে আমার কি দোষ?
.
জানা গেলো রেস্টুরেন্টটা ছিলো সাত তলায়। শংকর সাত তলা থেকে ফেলে দিয়েছে ওয়েটারকে। আরো জানা গেলো সে মারামারির একপর্যায়ে বলেছিলো, 'ডালের বড়ার কসম তুই শেষ।'
ডালের বড়ার কসম খেয়ে ফেলার পর নাকি কিছু করার থাকে না৷ এই ভয়াবহ কসম না খেলে নাকি ঘটনা এতোদূর গড়াতো না।
ও হ্যা, সে আরো বলেছিলো, এক মায়ের ডাল খেয়ে থাকিস তো সামনে আয়।
- মায়ের দুধ শুনেছি, ডাল কি?
- আই মিন, মায়ের হাতের ডাল।
.
শংকরের কেস চলতেছে। সে জেলে আছে। এখনো রায় হয়নি। আমি মাঝে মাঝে দেখতে যাই। জিজ্ঞেস করি, কেমন আছিস? এখানে কেমন কাটছে?
সে বলে, সবই ভালো ছিলো শুধু সকালে ডাল দেয় না। রুটি আর সবজি খালি।
- আর দুপুরে?
- দুপুর আর রাতে ক্যান্টিন থেকে ডাল কিনে খেতে পারি। সমস্যা হয় না।
.
তারপর একদিন শংকরের ফাসির আদেশ হয়৷ ফাসি হয়েও যায়। কিন্তু একটা জিনিস শুনে আমরা ভীষণ অবাক হই। শেষ ইচ্ছা হিসাবে সে সিরাজ হোটেলের ডাল খেতে চায়নি। সে নাকি তার আঠারো দিন সংসার করা বউ পায়েলের জন্য একটা চিঠি লিখে রেখে গেছে।
আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে যাই। এতোগুলো বছর পর তার বউ এর কথা মনে পড়লো? কেন মনে পড়লো? কি লেখা আছে সেই চিঠিতে? লাইফে প্রথমবার তাহলে ডালের থেকে ইম্পর্টেন্ট কিছু সে ভেবেছিলো!
.
আমরা ধারণা করেছিলাম পায়েল বৌদি আমাদেরকে চিঠিটা পড়তে দিবে না। হাজার হোক, ব্যক্তিগত জিনিস। কিন্তু সে আমাদের চিঠিটা পড়তে দেয়। আমরা পড়ে আরো অবাক হয়ে যাই।
.
চিঠিতে লেখা ছিলো-
.
'প্রিয় পায়েল,
কোনো একটা কারণে আমাদের একসাথে থাকা হয়নি। দোষ কার ছিলো সে কথায় যাবো না। ওসব ব্যাখা বিশ্লেষণ করে আর লাভ নেই আসলে। জেলের ভেতর আমার করার কিছুই ছিলো না। সারাদিন শুধু ভেবেছি। শুনলে অবাক হবা, ভাবনাগুলো ছিলো তোমাকে নিয়ে। তোমার সাথে আমার যা হয়েছিলো সেটা নিয়ে। এখন আমি জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে পৌছেছি। এখন মনে হচ্ছে তোমাকে এতোদিন ভেবে আমি যা পেয়েছি সেই কথাটা বলে যাওয়া দরকার। পায়েল, তুমি আমার ডালে পানি দিয়ে জ্বাল দিয়েছিলে। সেটা যদি ঠান্ডা পানি না দিয়ে আগে থেকে পানি গরম করে সেই পানি দিতে, আর শেষে যদি দুটো শুকনো লঙ্কা ছেড়ে দিতে, তাহলে ডালটা খেতে আরো ভালো হতো!'
ইতি, শংকর।'
.
আর হ্যা, চিঠির শেষে পুনশ্চ দিয়ে লেখা ছিলো, শুকনা না পেলে কাচা লঙ্কা দিলেও হতো কিন্তু!
লেখা: সোহাইল রহমান
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।