- থ্যাংকস।
- না না নাও না কেমন নরম গলায় বললো মিনা।
একটু করে তাকাচ্ছে নিশাতের দিকে আর মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে।
ধুর এই জন্য আমি কোথাও যেতে চাইনা, এই আকাশটা না!! উফ।
এই স্টান্ড আপ??
কি সমস্যা তোমার হ্যা??
কখন থেকেই আল্লাদি আল্লাদি ভাব নিয়ে গায়ে গা ঘেষে বসছো। মতলব খানা কি??
পাশের সিট থেকে নিধিয়া বেশ জোরে জোরেই হাসছে। সাথে আকাশও।
কিরে তোরা হাসছিস আমি এখনি নেমে যাচ্ছি এই বাস স্টপ স্টপ। এই না না দাড়া দাড়া আমি বসছি। নিধিয়াকে বললো আমি মিনার পাশে গেলাম তুমি প্লিজ আকাশকে হ্যান্ডেল করো প্লিজ।ও খুব রাগি অনেক কস্টে রাজি করিয়েছি। ওকে। নে এখানে বস। না আমি কোন মেয়ের পাশেই বসবোনা। ইশরে বয়ে গেছে আপনার পাশে বসতে। নিজের চেহারাটা একটু আয়নায় দেখেছেন কি ব্রিশ্রী হুতুমের মতো।
কিরে তোরা হাসছিস আমি এখনি নেমে যাচ্ছি এই বাস স্টপ স্টপ। এই না না দাড়া দাড়া আমি বসছি। নিধিয়াকে বললো আমি মিনার পাশে গেলাম তুমি প্লিজ আকাশকে হ্যান্ডেল করো প্লিজ।ও খুব রাগি অনেক কস্টে রাজি করিয়েছি। ওকে। নে এখানে বস। না আমি কোন মেয়ের পাশেই বসবোনা। ইশরে বয়ে গেছে আপনার পাশে বসতে। নিজের চেহারাটা একটু আয়নায় দেখেছেন কি ব্রিশ্রী হুতুমের মতো।
নিশাত যেনো বোকার মতো চুপ করে শুনছিলো সব।
এ বলে কি আমার চেহারা????
ও কোন কথা না বাড়িয়ে চুপ করে বসে পড়লো নিধিয়ার পাশে।
১৫ মিনিট মতো চুপ সবাই।
এই আকাশ পানি হবে???
পাশের থেকে কার যেনো ঝনঝন শব্দে কাচের কিচিরমিচির আওয়াজে চুরি পড়া হাত থেকে একটা পানির বোতল এগিয়ে আসলো??
মুখ না দেখেই পানির বোতলটা সামনে নিয়ে খাওয়া শুরু করলো।
থ্যাংকস বলে বোতলটা আগিয়ে দিতেই দেখে নিধিয়া।
আরো বোকা লাগছে নিশাতের কাছে।
নিধিয়া মুচকি হাসি দিলো।
দেখুন অভার ষ্মার্ট হবেননা। পানি চেয়েছেন তাই দিয়েছি তাছাড়া এরকম পানি আমি সবাইকে দিই।
কিচ্ছু বলার আগে নিশাত চুপ হয়ে গেলো।
রিতিমত বোকা।
এই প্রথম কোন মেয়ে নিশাতকে বোকা বানাচ্ছে এভাবে।
দেখুন বলে আঙ্গুল তুললো......
ওমনি বাসের ব্রেক চেপে ধরলো ড্রাইভার।
কি বেপার এখনো তো ২০ মিনিট রাস্তা।
আর যাবেনা সাহেব চাকা পামচার হয়ে গেলো।
প্রফেসর সুচি ম্যাম বললো
গাইস এখানে নামতে হবে। চাকা পামচার হয়েছে।
সবাই একসাথে থাকবে। কেউ যেনো একাকি চলবেনা।
ওকে ম্যাম।
সবাই বাস থেকে নামলো। মোট ৫০ জন। পাচটা দল করা হলো। নিশাতের দলে ১০ জন, আকাশের দলে ১০ জন, নিধিয়ার দলে ১০ জন, টনির দলে ১০ জন, পারভেজের দলে ১০ জন।
পারভেজ হলো ভালো ছেলে তবে ওর একটা হার্টের রোগ আছে যে কোন সময় মৃত্যুবরন করতে পারে।
সবাই যে যার দল নিয়ে চলতে থাকলো।
সামনে সুন্দর লেখ।
ওয়াউ কি অসাধারন চারিদিকে।
অনেক অতিথি পাখির সমাগম বেশ।
সামনেই দ্যা ওউনারব্যাল ফরেস্ট।
এখানে অনেক পশুপাখি আছে।
বাগ সিংহ নাই আগেই বলে দিয়েছে ম্যাম।
তবে জংলীদের বসবাস আছে।এরা বনের ভিতর বাস করে।
ম্যাম আগেই নিষেধ করে দিয়েছে। বনের ভিতর প্রবেশ না করতে।
অসাধারন চারিদিকের দৃশ্য, কি সুন্দর সব গাছপালা, চারিদিকে ভিন্ন জাতের বন্য হরিন,ইশ কি সুন্দর মায়াবি চোখে দেখে দেখে ঘাস খাচ্ছে।
প্রায় দুপুর।
লান্স এর জন্য হুইসেল দিলো গার্ডিয়ার।
সবাই লান্সটা সেরে নিলো।একটু জিরিয়ে নিবে।
হঠাৎ করেই পশ্চিম আকাশে মেঘ জমে বসলো।
প্রফেসর ম্যাম সবাইকে বাসে আসার জন্য বললো।
সবাই পাশের টি কেবিনে বসলো আপাতত একটা বাংলো ভাড়া করলো।
যার যার রুম দেখিয়ে দিলো কেয়ার টেকার।
এক একটা রুমে তিনজন করে।
নিশাত আকাশ আর পারভেজ।
সবাই একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারো ঘুরতে বের হলো বনের পশুপাখি দেখে চলে আসলো রুমে।
সন্ধ্যায় আবারো জমকালে মেঘে দানা বাদলো আর ঝরিয়ে পড়লো অঝোর ধারায় বৃষ্টি।
নিশাত বাইরে দাড়িয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে চারিদিকের সৌন্দর্য দেখছিলো।
হঠাৎ তার কানে ভেসে আসলো গুন গুন করে গানের গলা।
অসম্ভব মধুর গলায় কেউ গাইছে।
আস্তে আস্তে বাংলোর ছাদে উঠলো। খুব সুন্দর করে কেউ গান গাচ্ছে আর বৃষ্টিতে ভিজছে।
ভেজা শরীরে প্রথম কোন মেয়েকে নিশাত দেখলো।নিশাত আস্তে আস্তে মেয়েটির দিকে এগিয়ে গেলো।
মেয়েটি পিছন থেকে তাকাতেই আরে আপনি..........
নিশাত আবারো চুপ।
প্রতিটা কথায় বৃষ্টির ফোটা নাক ছুয়ে চিকন দুটি ঠোটে এসে গড়িয়ে পড়ছে।
বাহ বেশ সুন্দর গাইতে জানেন তো বলতে গিয়েও চুপ করে থাকে।
পিছনে আকাশের আওয়াজ।
বাহ নিধিয়া তুমি গানে জানো বুঝি।
এই একটু আড্ডো।
কেন??
না অসাধারন।
তুই কখন আসলি নিশাত আকাশ কে বললো। কি করবো বল ভাই এতো সুন্দর কন্ঠে গান গাইলে তাও এই বৃষ্টি আচ্ছন্ন সন্ধ্যায় কিভাবে চুপ করে রুমে থাকি বলতে... নিধিয়া তোমার ভাগ্য ভালো বনের পশুপাখি এখনো ভিড় জমায়নি..... কি যে বলো আকাশ। রুমে চলে গেলো সবাই। রাত ৩ টার সময় একটা পায়ের নুপুরের আওয়াজ এলো....... আস্তে আস্তে বেয়ে চলে যাচ্ছে এক পা দু পা ফেলে।নিশাত উঠে সাহসের সাথে দেখতে গেলো কে??? ছাদে উঠছে। নিশাত পিছু নিলো আসতে আস্তে আস্তে এক পা দু পা ফেলতে লাগলো। পিছন থেকে কাথে কে যেনো হাত দিয়ে বললো আরে আরে আপনি কি পাগল, পড়বেন তো। নিচে ছাদের শেষ সিমানা। এক পা ছাদে এক পা হাওয়ায়। আপনি এখানে কেন?? না মানে একটা পায়ের আওয়াজ। হ্যা আমিও শুনেছি। তাই উঠে দেখতে এসেছি কিন্তু আপনি নিজেই ছাদ থেকে পড়তেন আর একটু হলে। থ্যাংকস। নিধিয়া চোখ দুটো বড়ো করে তাকিয়ে থাকলো। আকাশ আবারো নিজেকে বোকা ভাবলো আবার কি বললো, দূর ছাই। হে মিঃ আপনি থ্যাংকস বলতে জানেন বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। যাই হোক আপনি কেন পড়তে যাচ্ছিলেন। পায়ের নুপুরের আওয়াজে প্রেমে পড়েছেন বুঝি মিচকি হাসি দিলো নিধিয়া। পিছন থেকে আকাশ বললো কিরে তুই এখানে আর আমি সারা মুল্লক খুজে হয়রানি। পানি তৃন্ষা পেয়ে ছিলো বিছানায় তাকিয়ে দেখি তুই নাই আর...
তুই কখন আসলি নিশাত আকাশ কে বললো। কি করবো বল ভাই এতো সুন্দর কন্ঠে গান গাইলে তাও এই বৃষ্টি আচ্ছন্ন সন্ধ্যায় কিভাবে চুপ করে রুমে থাকি বলতে... নিধিয়া তোমার ভাগ্য ভালো বনের পশুপাখি এখনো ভিড় জমায়নি..... কি যে বলো আকাশ। রুমে চলে গেলো সবাই। রাত ৩ টার সময় একটা পায়ের নুপুরের আওয়াজ এলো....... আস্তে আস্তে বেয়ে চলে যাচ্ছে এক পা দু পা ফেলে।নিশাত উঠে সাহসের সাথে দেখতে গেলো কে??? ছাদে উঠছে। নিশাত পিছু নিলো আসতে আস্তে আস্তে এক পা দু পা ফেলতে লাগলো। পিছন থেকে কাথে কে যেনো হাত দিয়ে বললো আরে আরে আপনি কি পাগল, পড়বেন তো। নিচে ছাদের শেষ সিমানা। এক পা ছাদে এক পা হাওয়ায়। আপনি এখানে কেন?? না মানে একটা পায়ের আওয়াজ। হ্যা আমিও শুনেছি। তাই উঠে দেখতে এসেছি কিন্তু আপনি নিজেই ছাদ থেকে পড়তেন আর একটু হলে। থ্যাংকস। নিধিয়া চোখ দুটো বড়ো করে তাকিয়ে থাকলো। আকাশ আবারো নিজেকে বোকা ভাবলো আবার কি বললো, দূর ছাই। হে মিঃ আপনি থ্যাংকস বলতে জানেন বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। যাই হোক আপনি কেন পড়তে যাচ্ছিলেন। পায়ের নুপুরের আওয়াজে প্রেমে পড়েছেন বুঝি মিচকি হাসি দিলো নিধিয়া। পিছন থেকে আকাশ বললো কিরে তুই এখানে আর আমি সারা মুল্লক খুজে হয়রানি। পানি তৃন্ষা পেয়ে ছিলো বিছানায় তাকিয়ে দেখি তুই নাই আর...
চলবে....
24 Episode Dan Na Kno
ReplyDelete