সাপের সাথে সহবাস - পর্ব (২০)

নন্দিনীকে নিশাত বললো মা তুমি বাড়ি যাও আমি আসছি।নিতাই বাবুর গাড়ির পিছন পিছন সে দৌড়াতে থাকলো। নিতাইবাবু আকাশদের বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলো। বেপারটা বেশ রহস্যজনক। রাত ১২ টা বাজে নিতাই সাহেব রেনেসা ম্যামের দরজায় কড়া নারলো ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো কে কে?? নিতাই বাবু বললোআমি, মিসেস রেনেসা ম্যাম। একটু দরজাটা খুলুন প্লিজ। রেনেসা ম্যাম দরজা খুলে দেওয়ায় নিতাই বাবু ভিতরে ঢুকলো।বাহ অনেক সুন্দর তো আপনার বাসাটা। তা ভাড়া কত ম্যাম ১০ হাজার টাকা। ও।জহ আচ্ছা আপনি ছাড়া আর কে কে থাকে এখানে????? রেনেসা ম্যাম আমি একাই। 

কেন কেন? আপনি তো মিসেস তাহলে আপনার??? আগেই উত্তর দিলো ম্যাম দেখুন সাহেব আপনি এত রাতে আমার বাসায় কি এই জন্য এসেছেন আপনার কিছু জানার থাকলে সকালে স্কুল থেকে জেনে নিবেন। রাগবেননা প্লিজ ম্যাম। রাগলে আপনাকে ভারী অসুন্দর দেখায়।হ্যা যেই কারনে এসেছি খুনিকে পাওয়া গেছে যদিও একনো তদন্ত হয়নি। আচ্ছা কিচ্ছু মনে করবেননা আমি আপনার বাসাটা দেখতে চাই।বেশ সুন্দর বাসা বাড়ি বানানোর জন্য পারফেক্ট। রেনেসা ম্যামের বিরক্ত লাগছে বোধয়। গোয়েন্দা সাহেব চারিদিক ভালো করে ঘুরে আসলো আর বললো ম্যাম এখন তাহলে যাই প্রয়োজন হলে আবার আসবো। রেনেসা ম্যাম দরজা আটকিয়ে দিলো ভিতর থেকে। নিশাত নিজে দেখতে চাই কে করছে এইসব,কেনই বা করছে কি তার উদ্দেশ্য...... 





পরের দিন রাতে নিশাত আবারো বাইরে বের হলো নিতাই বাবুকে দেখলো আকাশদের বাড়ির দিকে যেতে। ও পিছু পিছু হাটা দিলো। দরজা খুলে দিলো রেনেসা ম্যাম। ভিতরে থেকে কি মি যেনো আওয়াজ পেলো ঠিক দুর থেকে শোনা যাচ্ছেনা। নিতাই বাবু: দরজা খুলে দিতেই চোখ ছানাবড়া।সামনে যেনো কে দাড়িয়ে।ছোট জামা, আর একটা টাইট সর্ট স্কার্টে রেনেসা ম্যাম। নিশাত: একি রেনেসা ম্যামের এরকম পোশাক কেন?? নিতাই বাবু ঘরে প্রবেশ করলো।জি ম্যাম কি জন্য ফোন করে ডেকেছেন?? আপনি কি জানেন খুনের বেপারে...?? 

নিশাত জানালায় উকি দিয়ে দেখতে থাকলো, ম্যাম অনেক নরম স্বরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলছে সাহেব আমার স্বামী গত হয়েছে ৩ বছর। তখনই আমি একটা চাকরি নিই। রেনেসা ম্যাম ইচ্ছে করেই পানির গ্লাস নিচে ফেলে দেয়। ওফ পড়ে গেলো আপনি বসুন আমি তুলে দিচ্ছি। বলেই নিচু হয়ে সব সাফ করলো ম্যামের ছোট জামায়। অন্যরকম লাগছে যে কেউ পাগল হয়ে যাবে। রেনেসা ম্যাম বললো একটা বাচ্চাও নেই যে বুকে নিয়ে বাচবো। আপনি একটু দাড়ান সরবত নিয়ে আসি। এই নিন সরবত খান আর কথা বলি।
 
আমি বাচ্চাদের অনেক ভালোবাসি ওরা আমার কাছে সন্তানের মতো। আচ্ছা সত্যি কি খুনি ধরা পড়েছে? হ্যা পড়েছে তবে এখনো নিউজে দেখানো হয়নি।আপনি যেনো কি বলতে চাইছিলেন।হ্যা একটু একটু করে কাছে গেলো রেনেসা ম্যাম গল্পেরএই সেই কথা বলে। নিতাই বাবুর নাকের কাছে গিয়ে ফসফস করে নিশ্বাস ছাড়লো।নিতাই বাবুর চোখ বুজে আসছিলো।ম্যাম ওনাকে জড়িয়ে অনেক নোংরা কাজ করছিলো। সন্দেহর দানা বেধেছে রেনেসা ম্যামের উপর।নিতাই বাবু কেমন ওনার সঙ্গ দিলো, ওনাকে কিছু দিয়ে বশ করেছে। নিতাই বাবু রেনেসা ম্যামকে সন্দেহর খাতায় নাম রেখেছিলো এটা আমার বুঝতে বাকি নেই। প্রতিরাতে নিতাই বাবু আর ম্যাম এক বিছানায়........ নিশাত ঠিক করলো ও নিজেই এর সমাধান করবে। ও আকাশের রুমে জানালা দিয়ে প্রবেশ করলো। আকাশ ঘুমিয়ে। নিশাতের জাদুর বশে আকাশের চোখে দেখা দৃশ্যগুলো দেখছিলো। সব শেষে নিশাত থমকে গেলো কি এইগুলো? কি দেখছে ও বিশ্বাসই করতে পারছেনা। তবে, নিশাত সোজা বাড়ি গেলো। নন্দিনি দেখলো: নিশাত অনেক চিন্তিত। নন্দিনী মাথায় হাত রেখে বললো তোমার বইয়ের থেকে আমি একটা ড্রয়িং করা ছবি পেয়েছি। এটা কে এঁকেছে। এই ছবিটা বাস্তবরুপ এমন আছে নিশ্চয়। তুমি যা অঙ্কন করবে সবগুলোর বাস্তব রুপ থাকবে। 

মা মা...রেনেসা ম্যাম.... কি বাবা.... বলো.... রেনেসা ম্যাম আমাদের ম্যাম না। এটাই খুনি। সব বাচ্চাদের মাথা কেটে নিচ্ছে।এই ছবিটার সাথে রেনেসার ম্যামের মিল আছে। সব ঘটনা খুলে বললো নন্দিনীকে...... নন্দিনী বললো :শোন তুমি কোন ছবি অঙ্কন করলে সেটার অবশ্যই সত্যি হবে। সাধুবাবা আমাকে বলেছিলো তোমার বেপারে..... আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে...... কি চায় রেনেসা ম্যাম, বাচ্চাদের এভাবে কেন হত্যা করছে......... নন্দিনি: তাহলে আকাশের জীবন সংকটে আছে........... আকাশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে........ নন্দিনী বললো নিশাত তুমি একা যেওনা...... মা তুমি চিন্তা করোনা...... সেইদিন তো আমি একাই বাস খাদে পড়া থেকে রক্ষা করেছিলাম। না বাবা এই রেনেসা ম্যাম কোন সাধারন কিছু না। সে অনেক শক্তিশালি। 

তুমি অপেক্ষা করো নন্দিনী আর নিশাত আকাশদের বাড়ির দিকে রওনা দিলো। নিচের রুমে রেনেসা ম্যাম আর নিতাই বাবুকে অন্তরঙ্গ অবস্হাই দেখলো নন্দিনী। নন্দিনি তাড়াতাড়ি করে আকাশদের কক্ষে প্রবেশ করলো। আরে এত রাতে নিশাত তুই। হ্যা আমি....... আন্টি আঙ্কেল কোথাই জিঙ্গেস করাতেই চোখের পানি ছেড়ে দিলো......আকাশ। নন্দিনী ওদের দুইজনকেই নিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসলো বাড়ির দিকে রওনা দিলো। হঠাৎ দমকা হাওয়া অনেক দ্রুত বেগে নন্দিনীর দিকে আসতে লাগলো। নিশাত আকাশ তোমরা দুইজনে আমার দুইহাত ধরো কেউ কোনভাবে আমার হাত ছাড়বেনা কিন্তু। তুফান শুরু হলো কোথা থেকে। আকাশ অনেক ভয় পেয়ে গেলো আন্টি আন্টি ও চলে এসেছে আন্টি এবার আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে কেউ বাচতে পারবো না হু হু করে কাদতে শুরু করলো। আকাশ অনেক ভয়ে আছে নিশাত অভয় দিয়ে বললো চুপ কর........


চলবে.....


গল্পটির পরবর্তী পর্ব পেতে গল্পটি নিচের শেয়ার অপশন থেকে অথবা লিংক কপি করে ফেসবুকে শেয়ার করুন....


SHARE THIS

Author:

0 Comments:

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।