ঝিনাইদহের মহেশপুরে সোহাগ হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের
পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায়
তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার
অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আজ
বুধবার দুপুরের দিকে মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামে সোহাগের শ্বশুর বাড়িতে এ
ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সোহাগের স্ত্রী শারমিন
আক্তার শিলাকে আটক করেছে। সোহাগ মহেশপুর উপজেলর যাদবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের
শফিউল্লাহ ওরফে পান্নুর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে
সোহাগ-শারমিন দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সম্প্রতি দুই
পরিবার বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। বুধবার শারমিন তার স্বামীকে বাবার বাড়ি
জাগুসা গ্রামে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দুপুরে সুযোগ বুঝে তার লিঙ্গ কর্তন
করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহাগকে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে
আহত সোহাগ জানায়, আমার স্ত্রী শারমিনের সাথে অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের
সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই আমার সাথে ঝড়গা করতো। আজ আমাকে খবর দিলে
শশুরবাড়ি জাগুসা গ্রামে যাই। সেখানে দুপুরে ঘরের মধ্যে সুযোগ বুঝে ধারালো
বটি দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, তার পুরুষাঙ্গের মাঝ থেকে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, তার পুরুষাঙ্গের মাঝ থেকে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মহেশপুর
থানার ওসি মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় সোহাগের স্ত্রী
শারমিন আক্তার শিলাকে আটক করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধারালো বটি ও কর্তন
যাওয়া পুরুষাঙ্গটি উদ্ধার করেছে।
সোর্স: বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।