আমি ঃ কিছু না পরে বলবো।
আরিফা ঃ আমি তোমাকে আগে না করেছিলাম কিন্তু তোমাকে আফিফার পাসে দেখে বুঝতে পারলাম যে আমি তোমার পাসে কাউকে সহ্য করতে পারবো না।
আমি ঃ আহারে সিনিয়র আপুর কথা শোন, আমাকে অন্য কারো কাছে সহ্য করতে পারে না, কি ভালবাসারে, ভালবাসার চোটে গালে থাপ্পড় মারে।
আরিফা ঃ ঐ ফাইজলামি করো না তো, পারলে আমাদের বাসায় একবার এসো।
আমি ঃ অনেক গেছি গো, আপনি পারলে আজকে আমাদের বাসায় আসেন।
আরিফা ঃ তোমার মা বাবাকে গিয়ে কি বলব , তারা যদি জানতে চায় কেন আসছো,।
আমি ঃ বলবা বিয়ের দাওয়াত দিতে আসছো।
আরিফা, বিয়ের দাওয়াত তো আগেই দিয়ে আসছি,।
আমি ঃ ঐ ফকিন্নি বলবি তানিশার সাথে দেখা করতে আসছিস।
আরিফা ঃ ঐ তোমার মুখের ভাষা এত খারাপ কেন।
আমি
ঃ আমি করোলা দিয়ে বেশি ভাত খাই তাই আমার মুখের কথা তিতা,। তবে গতকাল
কিন্তু অনেক মিষ্টি খাইছি, তোমার ঠোঁটে যা মিষ্টি আছে, বাপরে বাপ।
আরিফা ঃ আবার বাজে কথা, এইসব কথা আমার কাছে ভালো লাগে না।
আমি ঃ বিয়েই তো করে এইসব করার জন্য।
আরিফা ঃ সামনে পাইলে থাপ্পর দিয়ে দাত ফেলে দিতাম।
আমি ঃ আচ্চা ঠিক আছে, তুমি আমাদের বাড়িতে আসো।
আরিফা ঃ ঠিক আছে আমি এখন তাহলে রেডি হচ্ছি।
আমি ঃ ঠিক আছে বায়, বেবি টেক্সি টেম্পু অটোরিকশা।
আরিফা ঃ দূর ছাই।
আমি আরেকটু ঘুমাই পরে দেখা যাবে, কি হয়,
একঘন্টা পর আমার রুমে মনে হয় কেউ ডুকলো।
আমার বিছানার পাশে এসে বসলো।
আমি ঘুমের ভান করে আরিফার হাত ধরে ফেললাম।
আরিফা একদম চুপ করে আছে, আমি এবার ঝড়িয়ে ধরতে যাবো এমন সময়, আরিফা দিলো একটা
ঠাস করে উঠলো।
আমি ঃ ( চোখ কোচলি) কী হলো মারলে কেন
আরিফা ঃ ভালো ভাবে থাকলে ভালো লাগে না।
আমি ঃ তুমি আমার রুমে আসলে কখন।
আরিফা ঃ তুমি জানো না কখন আসছি।
আমি ঃ না জানি না।
আরিফা ঃ তাহলে আমি যখন রুমে আসলাম তখন তোমার বুকের হার্ট বিট এমন ধরফর করছিলো কেন, ঘুমিয়ে থাকলে এমন করে কারো।
আমি মনে মনে বলি এই মেয়েতো পুরাই সিআইডি যাওয়া উচিত।
আমি ঃ এমনটা তুমি পাসে থাকলে মাঝে মাঝেই হয়, কিন্তু আজকে যে ঘুমের মধ্যেও এমন হবে তা বুঝতে পারিনি।
আরিফা ঃ থাক থাক আর মিথ্যা বলতে হবে না।
আমি ঃ সবি যখন বুঝতে পারো তাহলে এত ভুমিকা করো কেন।
আরিফা ঃ আনিছ ভাই সম্পর্কে কোন তথ্য পাইছো নতুন করে।
আমি ঃ না এখনো পাইনি পেলেই তোমাকে জানাবো।
আরিফা ঃ আর কিন্তু বেশি সময় নাই খোজ খবর নাও, যদি শেষমেশ আনিছ ভাইকে বিয়ে করতে হয় তাহলে বাসর ঘরে আমার লাশ ঢুকবে।
আমি ঃ এত চিন্তা করো না তোমার বিয়ের দিন সব কিছু সামলিয়ে নিবো।
আরিফা ঃ সঠিক ও ভালো প্রমাণ ছাড়া আনিছ ভাইয়ের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
এমন সময় আফিফার ফোন এলো।
আফিফা ঃ hi baby how are you।
আমি ঃ হেলো আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো।
আফিফা ঃ আজকে কিন্তু দুজন মিলে একসাথে লাঞ্চ করবো।
আমি ঃ ঠিক আছে।।
আফিফা ঃ একটা কিস দাও এখন।
আমি ঃ এখন না পরে দিবো।৭
আফিফা ঃ এখনি দিবা ।
আমি ঃ ঠিক আছে দিচ্ছি,
মোবাইলটা হাতে নিয়ে আরিফার সামনে দাঁড়িয়ে আরিফার গালে একটা চুমু দিলাম, ৭
আর ঐ দিকে আফিফা ভাবছে ওকে চুমু দিছি।
কোন কেটে দিয়ে আবার আরিফার দিকে তাকালাম।৫
আবার একটা মারছে। ঠাস
আমি ঃ এইটা আবার কেন,
আরিফা ঃ এইসব চলছে তাহলে।
আমি ঃ এইটা তো মোবাইলে ছিলো।
আরিফা ঃ রাখ তোর মোবাইল তূই যদি স্বপ্নেও অন্য কোন মেয়েকে কিস করিস তাহলে তোর খবর আছে,।
আমি ঃ এইটা তো নাটক করছি।
আরিফা ঃ নাটকের নাম করে মেয়েদের কে চুমা খাওয়া।
আমি ঃ বাস অনেক বলে ফেলছো, যখন তখন তোমার এই টর্চার আমার উপর আর করবে না, আমার কাছে ভালো লাগে না।
আরিফা ঃ তাহলে নিজেকে একটু ভালো করে ফেলো তাহলে মারের যায়গায় কিস করবো।
আমি ঃ দরকার নাই তোমার কিসের।
আরিফা ঃ আহারে বাবুটা আমার রাগো করে,, এই বলে একটা চুমা দিলো।
আমি ঃ তাহলে কি নিয়ে যেন কথা বলছিলাম, ও চিন্তা করো না সব কিছু সামলিয়ে নিবো।
আরিফা ঃ ওরে বাটপার, কিস পাবার জন্য এত নাটক।
আমি ঃ আরিফা আনিছ ভাইয়ের বাসা কোথায়।
আরিফা ঃ ঢাকায়।
আমি ঃ কিশোরগঞ্জ কি কোন আত্মীয় বাড়ি আছে।
আরিফা
ঃ তেমন কেউ নেই। তবে আনিছ ভাইয়ের একটা বান্ধবী আছে সে আনিছ ভাইয়ের সাথে
বিদেশে পড়াশোনা করেছে এক সময় তাদের মাঝে ভালো বন্ধুত্ব ছিলো মনে হয়।
আমি ঃ এখন কি হয়েছে।
আরিফা ঃ এখন মনে হয় কোন যোগাযোগ নেই।
আমি ঃ ও, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, তুমি বাসায় যাও।
আরিফা ঃ আমি তো তোমাকে নিয়ে একটু বাহিরে যাবো বলে ভেবেছিলাম।
আমি ঃ ঘুরে বেড়ানোর অনেক সময় পাবে আপাতত আমার কিছু কাজ আছে তা করতে হবে, তোমাকে নিয়ে পড়ে ঘুরতে যাবো ইনশাল্লাহ ।
আরিফা ঃ তোমার আবার কিসের কাজ।
আমি ঃ তুমি বুঝবে না।
আরিফা ঃ আসিফার সাথে দেখা করবে নাকি।
আমি ঃ দেখা করবো তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না, এক যায়গায় যেতে হবে।
আরিফা ঃ তুমি কি আমার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছো ।
আমি ঃ তুমি একটু ঠান্ডা হও,, আমাকে একটু সময় দাও রাতে তোমার সাথে দেখা করবো।
আরিফা ঃ প্রমিজ করছো তো।
আমি ঃ হ্যা প্রমিজ করছি।
তারপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে আফিফাকে ফোন দিলাম।
আমি ঃ কোয় তুমি।
আফিফা ঃ বাসায় কোন প্রয়োজন আছে।
আমি ঃ আজকে তোমাকে একটা যায়গায় নিয়ে যাবো এখন তুমি আসো,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
0 Comments:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।